মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সালাহউদ্দীন: 'শেষ ম্যাচ কি না আপনারাই লিখে দেন'
Published: 26th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে দুই ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের স্কোর ০ ও ২। মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন এক ম্যাচ। ১৪ বলে ৪ রানে আউট হন। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ দুটি ম্যাচ হেরে এই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকেও পড়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারে ব্যাটিং–ব্যর্থতায় মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। বাজে শট খেলে তাঁরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আউট হওয়ায় বড় স্কোর পায়নি বাংলাদেশ।
মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে তাই আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনেও কথা উঠল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ শেষ ম্যাচ খেলবেন, এমন কোনো আলোচনা ড্রেসিংরুমে হয়েছে কি না?
আরও পড়ুনতাহলে কি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার জন্য বিপিএলই দায়ি১৯ মিনিট আগেনিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর সমালোচনায় তাঁদের অবসর নেওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক সেই গুঞ্জনের প্রসঙ্গ তুলেই প্রশ্নটি করেন বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনকে। কোচের উত্তর, ‘গুঞ্জন আপনারা যেহেতু শুনেছেন, আপনারাই ফলটা দিয়ে দিয়েন। আমরা তো কোনো কিছু শুনিনি। আপনারা যেহেতু শুনেছেন, আমার মনে হয় আপনারাই পত্রিকার জন্য লিখে দিয়েন। আমরা এখান থেকে কিছু বলতে পারব না। আমরা এমন কিছু শুনিনি।’
রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়