Samakal:
2025-05-01@07:50:36 GMT

ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢাললেন ইয়াহিয়া

Published: 28th, February 2025 GMT

ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢাললেন ইয়াহিয়া

শুরু হলো অগ্নিঝরা মার্চ। মহান স্বাধীনতার মাস। ১৯৭১ সালের এ মাসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ, অচিরেই যা জনযুদ্ধের রূপ লাভ করে। ওই বছরেরই ১৬ ডিসেম্বর সফল পরিণতিস্বরূপ জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। তাই ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিনটিকে বলা যায় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ের সূচনার দিন।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সংঘটিত আন্দোলনকে বলা হয় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রভাতকাল। 

১৯৫২ সালে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেলেও তার সূচনা হয় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ হরতালের মাধ্যমে। অনেক লড়াই-সংগ্রামের পরিণতিতে মাত্র কয়েক মাস আগে–১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট–প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানে সেটিই ছিল প্রথম হরতাল। ওই আন্দোলনেই এ ভূখণ্ডের বাঙালি মুসলমান তার জাতিগত পরিচয় সম্পর্কে সম্বিৎ ফিরে পায়, অনুভব করে ধর্মীয় সাজুয্য সত্ত্বেও পাকিস্তানের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী থেকে তারা প্রায় সব অর্থেই স্বতন্ত্র। বাঙালি হিন্দুর সঙ্গে যৌথ পথচলাও শুরু হয় তখন থেকে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে এ দেশের মানুষ মুখোমুখি হয় ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনের। 

যদি বলা হয় এ নির্বাচনই ছিল অগ্নিঝরা মার্চ তথা স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বের ভিত্তি তাহলে ভুল হবে না। এই নির্বাচনটিই স্পষ্ট করে দেয় ছয় দফার ভিত্তিতে বাংলার মানুষ নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে চায়। পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে সংলাপ বা লড়াইয়ে কে বা কোন দল প্রতিনিধিত্ব করবে তাও এতে নির্ধারিত হয়। ওই নির্বাচনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতার স্বীকৃতি দেয়। 
তৎকালীন সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খানের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি শাসকদের হতবাক করে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ১৬২ আসনের মধ্যে ১৬০টিতে জয় পায়। ৩০০ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মর্যাদা লাভ করে। সংখ্যলঘু দল হয় জুলফিকার আলি ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি–পিপিপি, যদিও তারা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল।

কথা ছিল, নির্বাচনে বিজয়ী দলের কাছে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন, সেই দল অন্যদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের জন্য সংবিধান বানাবে। কিন্তু ইয়াহিয়ার পাশাপাশি পিপিপি সংসদের অধিবেশন নিয়ে টালবাহানা শুরু করে। 

বলে রাখা দরকার, নির্বাচনটি নিয়েও সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো নানা টালবাহানা করে। এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ১৯৭০ সালের ৫ অক্টোবর; কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরোধিতা উপেক্ষা করে বন্যার উছিলা দিয়ে ইয়াহিয়া তাঁর নতুন তারিখ ৭ ডিসেম্বর ঠিক করেন। ডিসেম্বরে ভোলায় প্রলঙ্করী এক ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রচুর হতাহতের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আবারও নির্বাচনটি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেখ মুজিবের কড়া হুঁশিয়ারির পর সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়, শুধু সিদ্ধান্ত হয় দুর্গত এলাকার ভোট হবে জানুয়ারিতে।
সুতরাং জাতীয় পরিষদের অধিবেশন নিয়ে সরকার তথা পশ্চিম পাকিস্তানের এস্টাবলিশমেন্টের গড়িমসি বিচিত্র কিছু ছিল না। শেখ মুজিব ১৫ ফেব্রুয়ারি পরিষদের প্রথম অধিবেশন চেয়েছিলেন। কিন্তু ইয়াহিয়া জানালেন, দুই অঞ্চলের নেতাদের মধ্যে শাসনতন্ত্রের মৌলিক ধারা নিয়ে সমঝোতা না হলে তিনি অধিবেশন ডাকবেন না। শেখ মুজিব বলে দিলেন, সংসদের সভাতেই দুই অঞ্চলের সদস্যরা ওই আলোচনার সুযোগ পাবেন। ভুট্টো জানালেন, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের আগে তাঁর দলের পক্ষে সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়। ইয়াহিয়া এ প্রস্তাব গ্রহণ করে ৩ মার্চ সংসদের প্রথম অধিবেশনের তারিখ ঘোষণা করলেন।

কিন্তু ১৯৭১ সালের ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন। তাঁর যুক্তি, পিপিপি ও অন্য কয়েকটি দল এতে যোগদান করবে না বলায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ঘোষণায় পুরো ঢাকা প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট খেলা চলছিল। সেখানকার দর্শকরাও খেলা পণ্ড করে যোগ দেন পল্টন-গুলিস্তানে বিক্ষোভরত হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে। সেদিন দিলকুশার পূর্বাণী হোটেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক ছিল। জনতা সেখানে গিয়ে জোরদার কর্মসূচি দাবি করেন। পূর্বাণী হোটেলেই শেখ মুজিব দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ২ ও ৩ মার্চ সারাদেশে সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেন। তিনি জানিয়ে দেন, ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভা হবে, যেখানে মূল ঘোষণা দেবেন।

সাইফুর রহমান তপন: সহকারী সম্পাদক, সমকাল

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প রথম আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, যে বাস্তবতা ভোলা যাবে না

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১—এই ২৪ বছর ধরে পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তানকে তদানীন্তন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী যেভাবে ‘অভ্যন্তরীণ কলোনি’ হিসেবে লুণ্ঠন, শোষণ, বঞ্চনা, পুঁজি পাচার ও অমানুষিক নিপীড়নের অসহায় শিকারে পরিণত করেছিল, সে সম্পর্কে নিচে কয়েকটি নজির উপস্থাপন করছি। এগুলো জানার পর বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী কারোরই পাকিস্তানপ্রেমী হওয়া অযৌক্তিক। কেউ যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতবিরোধী হয়, সেটাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করলে দোষণীয় নয়। কিন্তু পাকিস্তান তো এখনো বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। 

১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার জনগণ ছিল পাকিস্তানের জনগণের ৫৬ শতাংশ, কিন্তু উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্তগুলো প্রমাণ করছে, কত নির্মমভাবে পাকিস্তানের শাসকমহল পূর্ব পাকিস্তানকে (‘পূর্ব বাংলা’ থেকে যার নাম ১৯৫৫ সালে হয়েছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান’) বঞ্চনা, শোষণ, লুণ্ঠন, পুঁজি-পাচার ও বৈষম্যের শিকার করেছিল—

১. প্রাথমিক পর্যায়ে পাকিস্তানের রপ্তানি আয়ের ৭৫-৭৭ শতাংশই আসত পূর্ব বাংলার রপ্তানি পণ্য থেকে। ওই রপ্তানি আয়ের প্রায় পুরোটাই ১৯৪৭-৪৮ অর্থবছর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার দখলে নিতে শুরু করেছিল। ষাটের দশকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন যখন জোরদার হতে শুরু করেছিল, তখন বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের একটা ক্রমবর্ধমান অংশ পূর্ব পাকিস্তানে বরাদ্দ করা হলেও ১৯৪৭-১৯৭১ এই ২৪ বছরের শেষে এসেও কখনোই বছরে রপ্তানি আয়ের এক-পঞ্চমাংশও পূর্ব পাকিস্তান নিজেদের ভাগে পায়নি, এই ২৪ বছরের গড় বার্ষিক হিস্যা ছিল মাত্র ১৮ শতাংশ।

২. ইঙ্গ-মার্কিন বলয়ে অবস্থান গ্রহণের কারণে পাকিস্তান জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন দাতাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান পাওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার পেয়েছিল। ২৪ বছরে ওই বৈদেশিক সাহায্যের মাত্র ১৭ শতাংশ পেয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান। স্বাধীনতার পর ওই ১৭ শতাংশ ঋণের দায়ভার বাংলাদেশ গ্রহণ করার পরই কেবল দাতাদেশ ও সংস্থাগুলো নতুন করে স্বাধীন বাংলাদেশকে ঋণ ও অনুদান দিতে রাজি হয়েছিল।

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইলেও কোনোমতেই ভুলে যাওয়া যাবে না যে পাকিস্তান এখনো বাংলাদেশের জনগণের কাছে গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায়নি এবং বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনাও পরিশোধ করেনি

৩. পূর্ব পাকিস্তান থেকে ২৪ বছরে পাকিস্তানের ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করেছিল, তার মাত্র ৮ শতাংশ বাংলাদেশের ঋণগ্রহীতারা পেয়েছে, বাকি ৯২ শতাংশই পাকিস্তানের সরকার ও শিল্পপতি-ব্যবসায়ীরা কবজা করে নিয়েছেন।

৪. ওই ২৪ বছরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারি বাজেটের মাত্র ২৮ শতাংশ পূর্ব পাকিস্তানে ব্যয়িত হয়েছিল, বাকি ৭২ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানে।

৫. ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত পাকিস্তানের তিনটি পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার ব্যয় বরাদ্দের মাত্র ২৯ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে পূর্ব পাকিস্তানে।

৬. পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোতে পূর্ব পাকিস্তানিদের অনুপাত কখনোই ৭ শতাংশ অতিক্রম করেনি। সশস্ত্র বাহিনীগুলোর অফিসারদের মধ্যে বাঙালিদের অনুপাত এমনকি ৫ শতাংশেও পৌঁছায়নি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত।

৭. ১৯৭০ সালে খোদ পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত প্রাইভেট খাতের শিল্পকারখানার মাত্র ১১ শতাংশের মালিক ছিল বাঙালিরা, বাকি ৮৯ শতাংশের মালিক ছিল হয় পশ্চিম পাকিস্তানিরা নয়তো অবাঙালিরা। পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থিত একটি শিল্পকারখানার মালিকও বাঙালি ছিল না।

৮. মুক্তিযুদ্ধের সময় ডিসেম্বর মাসে যখন পাকিস্তানের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, তখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব ব্যাংকের ভল্ট খালি করে অর্থ পাচার করে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানে। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের রিজার্ভের সব সোনা ও বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করা হয়েছিল পাকিস্তানে।

৯. ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের সিভিল প্রশাসনে বাঙালি ছিল মাত্র ১৬ শতাংশ, আর বাকি ৮৪ শতাংশই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি ও অবাঙালিরা।

১০. যখন ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল, তখন পূর্ব পাকিস্তানে থাকা নৌবাহিনীর জাহাজ, বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারের একাংশ এবং পিআইএর বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ বার্মার সহায়তায় পাকিস্তানে নিয়ে যেতে পেরেছিল পাকিস্তান সরকার।

১১. পাকিস্তানের তিনটা রাজধানী করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদের বিপুল নির্মাণ ব্যয়ের সিংহভাগই বহন করেছিল পূর্ব পাকিস্তান।

১২. ২৪ বছরে পাকিস্তান সিন্ধু নদ ও এর শাখাগুলোতে বাঁধ ও ব্যারাজ নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচব্যবস্থা গড়ে তুলেছে বৈদেশিক সাহায্যের মাধ্যমে। এ কারণে পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশের ৬৫ শতাংশ কৃষিজমি ১৯৭০ সালে সেচের আওতায় এসেছিল। এর বিপরীতে ওই ২৪ বছরে পূর্ব পাকিস্তানের মাত্র ২২ শতাংশ কৃষিজমি সেচের আওতায় আনা হয়েছিল। উপরন্তু আর্থিক ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার অজুহাতে পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা সমস্যার সমাধানে অর্থায়ন করতে বারবার অস্বীকার করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার।

স্বাধীনতা-উত্তর ৫৪ বছরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন বারবার বিঘ্নিত হলেও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেকখানি এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২০২৫ সালে ২ হাজার ৭৫০ ডলার ছাড়িয়েছে, অথচ পাকিস্তানের মাত্র ১ হাজার ৫৪৭ ডলার। এই অর্থনৈতিক বাস্তবতা অকাট্যভাবে প্রমাণ করে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের জনগণের জন্য কতখানি যৌক্তিক ছিল।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার সরকারের মতো ভারতের কাছে নতজানু হবে না, সেটাই যৌক্তিক। কিন্তু বাংলাদেশের সীমানার প্রায় তিন পাশ ঘিরে থাকা বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় না রাখলে দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইলেও কোনোমতেই ভুলে যাওয়া যাবে না যে পাকিস্তান এখনো বাংলাদেশের জনগণের কাছে গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায়নি এবং বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনাও পরিশোধ করেনি।

ড. মইনুল ইসলাম অর্থনীতিবিদ এবং অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, যে বাস্তবতা ভোলা যাবে না