আজ তৃতীয় তারাবিহতে পবিত্র কোরআনের সুরা আল ইমরানের ৯২ থেকে সুরা নিসার ৮৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করা হবে। চতুর্থ পারার পুরোটা ও পঞ্চম পারার প্রথম অর্ধেক—মোট দেড় পারা। আজকের তারাবিহতে বদর যুদ্ধ, ওহুদ যুদ্ধ, ইসলামের দাওয়াত, উত্তরাধিকার, এতিমের অধিকার, বিয়েশাদি, পারিবারিক বিরোধ মীমাংসা, মৃত্যু, হাশর, আসমান-জমিন সৃষ্টি, দাম্পত্য জীবন, মুমিনদের বারবার পরীক্ষার কারণ, আমানত আদায়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জিহাদ পালনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
কারা শ্রেষ্ঠ মানুষ
আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ (সা.
বদর যুদ্ধ বদলে দিল ইতিহাস
ইসলামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল এক অধ্যায় বদর যুদ্ধ। দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান মদিনার উপকণ্ঠে বদর নামক স্থানে কাফিরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের এ যুদ্ধ হয়। এটি ছিল ইসলাম ও মুসলিমদের অস্তিত্বের সংগ্রাম। অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। অবিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিশ্বাসের যুদ্ধ। পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দেওয়ার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনীর ১ হাজার সশস্ত্র সেনা, ১০০ ঘোড়া ও ৭০০টি উট ছিল। ৩১৩ জন মুসলমানদের সঙ্গে ছিল মাত্র ২টি ঘোড়া ও ৭০টি উট। আল্লাহ মুসলমানদের বিজয় দেন। কাফিররা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। এতে কুরাইশদের ৭০ জন নিহত ও ৭০ জন বন্দী হয়। মুসলিমদের ১৪ জন শহীদ হন। এ যুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে পৃথিবীজুড়ে মুসলমানদের নাম পড়ে। অবিশ্বাসীদের টনক নড়ে ওঠে। মদিনায় মুসলমানদের অবস্থান মজবুত হয়। সুরা আল ইমরানের ১২১ থেকে ১২৯ নম্বর আয়াতে বদর যুদ্ধের আলোচনা রয়েছে।
আরও পড়ুনআজান ও ইকামতে কী বলা হয়২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪সফলতার চার মূলনীতি
এ সুরায় সর্বশেষ আয়াতে আল্লাহ তাআলা সফলতার চারটি মূলনীতির কথা বলেছেন। এক. ধৈর্য ধারণ করা। দুই. শত্রুর মোকাবিলায় শত্রুর চেয়ে বেশি অবিচলতা ও বীরত্ব অবলম্বন করা। তিন. শত্রুর মোকাবিলায় নিজেকে প্রস্তুত রাখা এবং চার. সর্বাবস্থায় আল্লাহর ভয় অন্তরে পোষণ করা।
সুরা নিসায় নারীদের অধিকার
পবিত্র কোরআনের চতুর্থ সুরা নিসা। মদিনায় অবতীর্ণ এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১৭৬। নিসা অর্থ নারী। এ সুরায় নারীর অধিকার, নারীর উত্তরাধিকার, দাম্পত্য জীবন, তালাক–সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা থাকায় এ সুরার নাম হয় সুরা নিসা।
সুরা নিসার ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা স্ত্রীকে খুশি মনে মোহর দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিয়ে করার জন্য স্ত্রীকে মোহর প্রদান করা ফরজ। দেনমোহর একজন স্বামীর ওপর অর্পিত দায়িত্ব, একই সঙ্গে একজন স্ত্রীর অধিকার ও সম্মান। বিয়ের আগে মোহর দিতে হবে। তবে স্ত্রীর সম্মতিক্রমে পরেও দেওয়া যেতে পারে। দুই পক্ষের আলাপের ভিত্তিতে মোহরানার পরিমাণ নির্ধারণ করা উত্তম। তবে বরের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে দেনমোহর ঠিক করা শ্রেয়। সর্বনিম্ন ১০ দিরহাম কিংবা সমপরিমাণ সম্পদ মোহরানায় ধার্য করতে হবে। উত্তরাধিকারীদের ঠকালে ইবাদত কবুল হয় না।
আরও পড়ুনআজানের দোয়া২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪সুরা নিসার ১১ থেকে ১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মিরাসের বিধিবিধান বর্ণনার পাশাপাশি নারী ও শিশুর উত্তরাধিকারের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। ইসলামের প্রায় বিধানের মূলনীতি আল্লাহ তাআলা নিজে কোরআনে বলে দিয়ে শাখাগত খুঁটিনাটি বিধান নবীর মাধ্যমে মানুষকে জানিয়েছেন। কিন্তু মৃতের পরিত্যক্ত সম্পদ বণ্টনের শাখাগত প্রায় সব খুঁটিনাটি বিধান আল্লাহ নিজে সরাসরি বলে দিয়েছেন। আত্মীয়ের নাম নিয়ে বলে দিয়েছেন, কে কতটুকু পাবে। জাহেলি যুগে নারী ও শিশুদের উত্তরাধিকার হিসেবে কিছুই দেওয়া হতো না। ইসলামের মাধ্যমে নারী ও শিশুদের উত্তরাধিকারের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে এখনো উত্তরাধিকারীদের সম্পদ থেকে মেয়েদের বঞ্চিত করা হয়। কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর সম্পদ থেকে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা, ঋণ আদায়, স্ত্রীর দেনমোহর আদায় এবং অসিয়ত তার প্রাপককে বুঝিয়ে দেওয়ার পর তাঁর অবশিষ্ট সম্পত্তি ইসলামি ফারায়েজ আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে কম–বেশি করা যাবে না। কাউকে ঠকানো যাবে না। মা, স্ত্রী ও কন্যাকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই। ওয়ারিশ ঠকানো ও তাঁদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা ভয়াবহ পাপ। ওয়ারিশ ঠকালে ইবাদত কবুল হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে অন্যায়ভাবে এক বিঘত পরিমাণ জমি দখল করবে, কিয়ামতের দিন সাত স্তবক জমিন তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৬১০)
যে ১৪ শ্রেণির নারীকে বিয়ে করা হারাম
১৪ শ্রেণির নারী আছেন, যাঁদের সঙ্গে রক্ত, দুধ কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে বিয়ে করা যায় না। সুরা নিসার ২৩ থেকে ২৫ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। ১৪ শ্রেণির নারী হলো মা, দাদি ও নানি, কন্যা, সহোদর বোন, আপন ফুফু, আপন খালা, আপন ভাতিজি, আপন ভাগনি, দুধমা, দুধবোন, শাশুড়ি, স্ত্রী পক্ষের কন্যা, পুত্রবধূ এবং একসঙ্গে দুই বোন।
৭টি মৌলিক হক
সুরা নিসার ৩৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে সাতটি মৌলিক হক যথাযথভাবে পালনের আদেশ করেছেন; যেমন এক. আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করা, দুই. মা-বাবা, তিন. নিকটাত্মীয়, চার, এতিম-মিসকিন, পাঁচ. প্রতিবেশী, ছয়. অসহায় মুসাফির ও সাত. নিজের অধীনস্থদের সঙ্গে সদাচরণ করা। একজন প্রকৃত মুমিনের গুণ হলো, এই হক আদায় করা এবং তাঁদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা। পাপী, দাম্ভিকেরা এই হক আদায় করে না। আল্লাহ দাম্ভিকদের পছন্দ করেন না।
রায়হান রাশেদ : লেখক ও আলেম
আরও পড়ুনরোজার প্রস্তুতি যেভাবে নেবেন১২ মার্চ ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল ল হ ত আল বদর য দ ধ ইসল ম র ম নদ র চ ত কর র আয় ত
এছাড়াও পড়ুন:
স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত ত্বক থাকলে ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ রোগীকেও বাঁচানো যায়
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে হতাহত হওয়ার ঘটনার পর দেশের একমাত্র স্কিন ব্যাংকের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এ ব্যাংকের অবস্থান। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মাইলস্টোনের ঘটনার পর অনেকেই স্কিন (চামড়া বা ত্বক) দান করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে ইনস্টিটিউটে যোগাযোগ করছেন। স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্বক থাকলে ৪০ শতাংশের বেশি পুড়ে যাওয়া রোগীকেও বাঁচানো সম্ভব।
২১ জুলাই দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। গত সোমবার রাত ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩৪ জন মারা গেছে। আর সোমবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৪৫ জন। তাদের মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৩৩ জন।
দেশে স্কিন ব্যাংকের যাত্রা শুরুর পর দান করা ত্বক ব্যবহার করে ১০ জন দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই বেঁচে গেছেন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় একজন মারা গেছেন।জীবিত ব্যক্তির শরীর থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করা ত্বক মারাত্মকভাবে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া যে কেউ চাইলে মরণোত্তর ত্বক দান করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে দাতার মৃত্যুর পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মরদেহ থেকে ত্বক সংগ্রহ করা হয়। পরে সেই ত্বক দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
ওজন কমানোসহ কিছু প্লাস্টিক সার্জারির পর বেঁচে যাওয়া ত্বক সংরক্ষণ করার মধ্য দিয়ে দেশের একমাত্র স্কিন ব্যাংকটি যাত্রা শুরু করে। আগে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পর বাড়তি ত্বক ফেলে দেওয়া হতো।
স্কিন ব্যাংকের সমন্বয়কারী ও জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মাইলস্টোনের ঘটনার পর ত্বকদানের বিষয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে; বিশেষত অনেক নারী আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষ এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করেছেন।
তবে সমস্যা হলো, আগ্রহী ব্যক্তিদের বেশির ভাগ চাইছেন, মাইলস্টোনের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থীদের শরীরে যাতে তাঁদের দান করা ত্বক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় যে প্রক্রিয়া শেষে কার দান করা ত্বক কার শরীরে ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া ত্বক দান করার ক্ষেত্রে স্ক্রিনিংসহ পুরো প্রক্রিয়া শুনে অনেকে আর আগ্রহ দেখাননি। এখন পর্যন্ত যাঁরা যোগাযোগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ জন ত্বক দান করতে চেয়েছেন বলে জানান চিকিৎসক মাহবুব হাসান।
ভবিষ্যতে দগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় ত্বক সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। ত্বক সংগ্রহের পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তরল নাইট্রোজেনে ডুবিয়ে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তাহলে সেই ত্বক পাঁচ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।মাহবুব হাসান, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক।৩ জুলাই মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম আন্তর্জাতিক দগ্ধ ও আঘাতপ্রাপ্তদের সম্মেলন। এই সম্মেলনে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ফার্স্ট স্কিন ব্যাংক ইন বাংলাদেশ: দ্য ওয়ে অব ওভার কামিং দ্য চ্যালেঞ্জেস’ শিরোনামের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাহবুব হাসান। প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, দেশে স্কিন ব্যাংকের যাত্রা শুরুর পর দান করা ত্বক ব্যবহার করে ১০ জন দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই বেঁচে গেছেন। আর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় একজন মারা গেছেন।
আপাতত রেজিস্ট্রেশন ও স্ক্রিনিংদেশের একমাত্র স্কিন ব্যাংক উদ্বোধন করা হয় গত ৯ জানুয়ারি। তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যাংকটিতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল। বর্তমানে এই ব্যাংকে দুজন চিকিৎসক ও একজন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন।
স্কিন ব্যাংক যাত্রা শুরুর পর মোট ১৪ হাজার ৫০০ সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক সংরক্ষণ করা হয়েছিল। মাইলস্টোনের ঘটনার আগপর্যন্ত ৯ হাজার সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক ব্যাংকে ছিল। মাইলস্টোনের ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় গত রোববার পর্যন্ত এ ব্যাংক থেকে সাড়ে ৩ হাজার সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক ব্যবহার করা হয়েছে।
স্কিন ব্যাংক যাত্রা শুরুর পর মোট ১৪ হাজার ৫০০ সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক সংরক্ষণ করা হয়েছিল। মাইলস্টোনের ঘটনার আগপর্যন্ত ৯ হাজার সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক ছিল। মাইলস্টোনের ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় গত রোববার পর্যন্ত এ ব্যাংক থেকে সাড়ে তিন হাজার সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক ব্যবহার করা হয়েছে।মাইলস্টোনের ঘটনার পর ত্বকদানের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ত্বকদানের আহ্বান জানিয়ে অনেকেই পোস্ট দিচ্ছেন। তবে কিছু কিছু ভুল তথ্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুনস্কিন ব্যাংক চালু হলো বাংলাদেশে, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত২৫ জুলাই ২০২৫মাইলস্টোনের ঘটনার পর জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অনেকেই ত্বক দান করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তবে স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্বক সংরক্ষিত আছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসক মাহবুব হাসান বলেন, এ মুহূর্তে ত্বকদানে আগ্রহী ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রেশন আর স্ক্রিনিং করে রাখার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে তাঁদের কাছ থেকে ত্বক সংগ্রহ করা যায়।
সংগ্রহ করা ত্বক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তরল নাইট্রোজেনে ডুবিয়ে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখলে পাঁচ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে