মুক্তাগাছায় বালুভর্তি ট্রাকের আড়ালে ভারতীয় পণ্য পাচার, ধরল র্যাব
Published: 4th, March 2025 GMT
বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় বালুভর্তি ট্রাক। বালুর স্তর কিছুটা সরাতেই বেরিয়ে আসে ভারতীয় চিনির বস্তা ও ব্লেড। আজ সকালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় র্যাবের অভিযানে দুটি ট্রাকে ভারতীয় ১৭০ বস্তা চিনি ও ১ লাখ ২০ হাজার পিস ব্লেডের চালান ধরা পড়েছে। এই অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুক্তাগাছায় আজ সকাল ৯টার দিকে অভিযান চালানোর সময় নিমুরিয়া এলাকায় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। বাইরে থেকে ট্রাকের ওপরে ত্রিপল দিয়ে মোড়ানো বালু দেখা যায়। পরে বালু সরিয়ে সেখান থেকে ১১১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ট্রাকের চালক পালিয়ে গেলেও চালকের সহকারী রাকিবুল হাসানকে (২২) আটক করা হয়। অন্যদিকে মুক্তাগাছার চেচুয়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হালিমের গোডাউনের সামনে থেকে একই রকম বালুভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। ট্রাকের ওপরের বালু সরিয়ে সেখান থেকে ৬৯ বস্তা ভারতীয় চিনি ও ১ লাখ ২০ হাজার পিস ভারতীয় জিলেট ব্লেড উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ট্রাকের চালক ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর বরিয়ান এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান সিরাজকে (২৮) আটক করে র্যাব।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুজ্জামান বলেন, এসব পণ্য অবৈধ পথে ভারত থেকে পাচার হয়ে এসেছে। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চোরাই পথে আসা ভারতীয় পণ্য পরিবহনের কাজের সঙ্গে জড়িত। মুক্তাগাছার একটি চক্র চোরাই পথে আসা এসব পণ্যের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে পৃথক মামলায় মালামালসহ আটকদের মুক্তাগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।