অটোরিকশায় ‘টোকেন–বাণিজ্যের’ প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ চালকদের
Published: 7th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাস্তার মাথা এলাকায় ‘টোকেন–বাণিজ্যের’ প্রতিবাদে রাউজানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা। এ সময় চালকেরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
আজ শুক্রবার সড়কের ধোপপুল, নোয়াপাড়া পথেরহাট ও নোয়াপাড়া কলেজ এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ার কয়েক শ অটোরিকশাচালক জড়ো হয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন। সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। দুই পাশে আটকা পড়ে বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য গণপরিবহনও।
অটোরিকশাচালকদের বেশির ভাগই গাড়ি বন্ধ রেখে সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে রাউজান থানা পুলিশের একটি দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এসে অটোরিকশাচালকদের বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। পাশাপাশি চান্দগাঁও থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ‘টোকেন–বাণিজ্য’ বন্ধের আশ্বাস দিলে চালকেরা অবরোধ তুলে নেন।
একাধিক অটোরিকশাচালক ও যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রাস্তার মাথায় রাউজান, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও রাঙামাটির প্রতি অটোরিকশা থেকে মাসে ৮০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে টোকেন নিতে হতো কাপ্তাই রাস্তার মাথা অটোরিকশা ও টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সমিতির কাছ থেকে, যা ৫ আগস্টের পরে বন্ধ হয়। তবে এক সপ্তাহ ধরে আগের মতো ‘টোকেন–বাণিজ্য’ চালু করে রাস্তার মাথায় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করা কিছু চাঁদাবাজ। আগে ৮০০ টাকা নেওয়া হলেও এখন নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে।
রাউজানের অটোরিকশাচালক মুহাম্মদ জাহেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার পতনের পর মনে করেছিলাম সড়কের এসব নৈরাজ্য, জুলুম বন্ধ হবে। কিন্তু আগের চেয়ে এখন চাঁদার টাকা দিগুণ গুনতে হচ্ছে। এমন হলে গাড়িচালকদের আয়ের টাকা পথেই শেষ হয়ে যাবে।’
মুহাম্মদ শাকিল নামের রাঙ্গুনিয়ার একজন চালক বলেন, ভয়ে এখন চালকরা রাস্তার মাথায় ভাড়া নেওয়া বন্ধ রেখেছেন অনেকে। স্থানীয় মুহাম্মদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি এই চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দেন বলে চালকদের অভিযোগ।
চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে কাপ্তাই রাস্তার মাথা অটোরিকশা ও টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণ তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
রাউজান থানার পরিদর্শক দিপ্তেশ দাশ প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তার মাথায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদে অটোরিকশাচালকেরা ঘণ্টাখানেক সড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। চান্দগাঁও থানার মাধ্যমে রাউজানের ওসি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বিষয়টি সমাধান করবেন। চালকদের সঙ্গে উভয় পক্ষ বসে শিগগির চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”
আরো পড়ুন:
কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি
কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”
কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”
ঢাকা/শান্ত