বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রাফট স্টোর উন্মোচন করল আড়ং
Published: 8th, March 2025 GMT
ঢাকার ধানমন্ডিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রাফট স্টোর উদ্বোধন করল দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং। এটি তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট। ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে ৮তলা বিশিষ্ট এই স্টোরটি বাংলাদেশের স্থাপত্যশৈলী এবং কারুশিল্পের এক অনন্য নিদর্শন।
আড়ং জানিয়েছে, এই নতুন আউটলেট শুধু একটি ক্রয়কেন্দ্র নয়; এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সৃষ্টিশীলতার প্রতীক। ভবনটির বিশেষ নকশা ও শিল্পসমৃদ্ধ ইন্টেরিয়র, কারুশিল্প, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি আড়ং-এর সম্পৃক্ততার পরিচয় বহন করে।
গ্রাহকেরা প্রতিটি তলায় পাবেন অসাধারণ কিছু শিল্পকর্ম। এখানে রয়েছে চারতলা উচ্চতাবিশিষ্ট নকশিকাঁথা: স্টোরের কেন্দ্রে অবস্থিত এই চমৎকার শিল্পকর্ম বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সূচিকর্মের মাধ্যমে আড়ং-এর গল্প তুলে ধরে।
মৃৎশিল্পের দেয়াল: মাটির তৈরি শিল্পকর্মের এক অনন্য সংগ্রহ যা ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের সঙ্গে আধুনিক নকশার সমন্বয় ঘটিয়েছে।
আলকেমি: তামা ও পুনর্ব্যবহৃত কাচ দিয়ে তৈরি ঝুলন্ত শিল্পকর্ম, যা আলো ও ছায়ার অপরূপ খেলা তৈরি করে।
এই আউটলেটের প্রতিটি কোনা সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে, যেখানে থাকবে হাতে তৈরি বিভিন্ন টেক্সটাইল ও নান্দনিক হস্তশিল্পের অনন্য সংগ্রহ; বিশেষ করে শিশুদের জন্য থাকছে একটি জাদুকরী বন থিমের প্লে গ্রাউন্ড।
এই স্টোরের সপ্তম তলায় রয়েছে অরেঞ্জ প্যারট রেস্টুরেন্ট, যেখানে পরিবেশন করা হবে সুস্বাদু বাংলাদেশি ফিউশন খাবার।
ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা আবেদ বলেন, ‘এই নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর বাংলাদেশের কারুশিল্প ও ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি পণ্য একেকটি গল্প বলে, যা গ্রাহক ও কারুশিল্পীদের মাঝে মেলবন্ধনস্বরূপ। এই স্টোর আড়ংয়ের বিশ্বমঞ্চে এগিয়ে যাওয়ার যে অঙ্গীকার, তারই প্রতিফলন।’
আড়ং বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উদ্যোগ, যা ব্র্যাক পরিচালিত। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আড়ং স্থানীয় কারিগরদের ক্ষমতায়ন, ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং নতুন ট্রেন্ড তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশের লাইফস্টাইল খাতের পথিকৃৎ হয়ে উঠেছে। দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক নকশার সমন্বয়ে আড়ং বাংলাদেশের শিল্প ও কারুশিল্পের ঐতিহ্য উদ্যাপন করে আসছে। বিস্তারিত জানা যাবে www.
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ল পকর ম
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।