লক্ষ্মীপুরে ১৩ ট্রাক্টর চালক-মালিককে জরিমানা
Published: 9th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাধীন তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন তেওয়ারীগঞ্জ বাজার টু আধারমানিক সড়কে চলাচলকারী ও ফসলী জমি বিনষ্টকারী ১৩ জন ট্রাক্টর চালক ও মালিকের জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৮ মার্চ) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এরআগে বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম রানা এ অভিযান চালান। অভিযানে তেওয়ারীগঞ্জ বাজারের ৯টি ট্রাক্টর চালক ও মালিকের ১০ হাজার করে ৯০ হাজার, ২ জনের ৫ হাজার করে ১০ হাজার এবং ভবানীগঞ্জ চৌরাস্তা এলাকায় এক ট্রাক্টর চালকের ১০ হাজার ও অন্যজনের ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ট্রাক্টর চালক রিয়াদ, সহিদ, ফয়সাল, বিপ্লব, শামীম, মো.
প্রশাসন জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাধীন তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন তেওয়ারীগঞ্জ বাজার টু আধারমানিক সড়ক ও ফসলী জমি বিনষ্টকারী ট্রাক্টর চলাচলে বাধা দিয়ে ১১টি ট্রাক্টর আটক করে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামশেদ আলম রানা।
এসময় ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুট পারমিট ও ফিটনেস সনদ ব্যতীত ট্রাক্টর চালনা এবং গ্রামীন সড়ক বিনষ্ট করার অপরাধে সড়ক পরিবহণ আইনে ১১ জন চালক-মালিকের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিন ভবানীগঞ্জ চৌরাস্তা বাজার টু নতুন তেওয়ারীগঞ্জ বাজার সড়কে অবৈধ ট্রাক্টর চালানোর অপরাধে দুইজনের পৃথক মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউএনও জামশেদ আলম রানা জানান, ট্রাক্টর মালিক ও চালকদের ট্রাক্টর চালানো হতে বিরত থাকার বিষয়ে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/লিটন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সবকিছু সহ্য করে তিনি আজীবন আমার পাশে থেকেছেন: বাঁধন
মানুষ বছরের একটি দিন বাবার জন্য আলাদা করে রাখতে চায়, যেমনটা রাখা হয় মায়ের জন্য। এই বিশেষ দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের প্রতিটি ধাপে বাবার অবদান কতটা গভীর। আজ বাবা দিবসে বাবা প্রকৌশলী আমিনুল হককে নিয়ে কিছু না বলা কথা বলেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
তিনি লিখেছেন, “আমার বাবা আমার সুপারহিরো। তিনি আমাকে ভালোবাসা আর বিশ্বাসে এমনভাবে বড় করেছেন যে, আমি যদি কখনো চাঁদ চাইতাম, তিনি বলতেন, ‘অপেক্ষা কর-আমি নিয়ে আসছি।’ আমি তার মূল্যবোধ, শক্তি এবং অটল সাহসের মাঝে বড় হয়েছি।”
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানুষ তিনি-যিনি আমাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন। তার মতো সৎ এবং দেশপ্রেমিক মানুষ আমি আর কখনো দেখিনি।’
বাবার সঙ্গে তার মতের পার্থক্যও আছে বলে জানালেন এই অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘আমাদের মাঝে মতপার্থক্য আছে-সবসময় একমত হই না। তবু আমাদের সম্পর্কে যে জিনিসটি কখনো বদলায়নি, সেটা হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।’
শৈশব থেকে আজ পর্যন্ত বাঁধনকে নিয়ে অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার বাবাকে। তবুও সব মেনে নিয়ে পাশে থেকেছেন তিনি।
বাঁধনের ভাষ্য, ‘আমি কখনোই একেবারে নিয়মমাফিক বা আদর্শ মেয়ে ছিলাম না। শৈশব থেকে আজ অবধি আমি জানি, আমার কারণে তাকে অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি ছিলাম একগুঁয়ে, আবেগপ্রবণ, কখন কী করি বলা যায় না-তবুও সবকিছু সহ্য করে তিনি আজীবন আমার পাশে থেকেছেন।’
সব শেষে বাবাকে ধন্যবা জানিয়ে বাঁধন লিখেছেন, ‘তুমি যেমন, তেমনি থাকার জন্য ধন্যবাদ আব্বু। আমি তোমাকে এত ভালোবাসি-যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।’