আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একাধিক মামলার আসামি ও কারা নির্যাতিত হয়েও সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জহিরুল ইসলাম বাবুকে আওয়ামীলীগের লোক প্রচার করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

গত ১৪-১৫ বছর ধরে সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি করা হয় জহিরুল ইসলাম বাবুকে। আওয়ামীলীগের আমলে অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকতে পারেনি সে। গায়েবী মামলায় পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে দিনে পর দিন অন্যত্র থাকতে হয়েছে তাকে। 

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১২ সেপেম্বর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ ৫৮ দিন কারাবন্দি থাকার পর জামিনে বেরি আসে জহিরুল ইসলাম। সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সকল কর্মসূচিতে তার সক্রীয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কর্মী হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ জহিরুল ইসলাম বাবুকে আওয়ামীলীগের লোক প্রচার করতেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

আইলপাড়া এলাকার মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের হওয়া কয়েকটি মামলায় আসামী করা হয়। এরমধ্যে তিনটি মামলার তারিখ হলো-২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর (জ¦ালাও পোড়াও), ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর (নাশকতা) ও ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর (জ¦ালাও পোড়াও)।

৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি উকিল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, জহিরুল ইসলাম বাবু আমাদের দলের একনিষ্ঠকর্মী। কমিটির সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামীলীগের আমলে কয়েকটি মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে জেল খেটেছে। তাকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার নিন্দা জানাই।

৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, দলের দু:সময়ের কান্ডারী হচ্ছে জহিরুল ইসলাম বাবু। দলীয় সকল কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থক নিয়ে তার সক্রীয় অংশগ্রহণ ছিল। ফ্যাসিস্ট  আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একাধিক গায়েবী মামলার আসামী করা হয় জহিরুল ইসলামকে। 

পুলিশের তৎপরতার কারণে বাসায় থাকতে পারেনি দিনের পর দিন। ৫ আগস্টের পর একটি চক্র অবৈধ সুবিধা নেয়ার জন্য জহিরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারণ বাবু তাদের অবৈধ সুবিধার জন্য বাধা। দলের একজন পরিক্ষিতকর্মী হচ্ছে জহিরুল ইসলাম বাবু। তাকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র আমরা বরদাস্থ করবো না।

এদিকে ৬নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, জহিরুল ইসলাম বাবু কারা নির্যাতিত ও ত্যাগি নেতা। তার সম্পর্কে দলের সিনিয়র নেতারা অনেক ভালো জানেন। 

দলের কর্মী-সমর্থকদের সাথে জহিরুল ইসলাম বাবুর অনেক ভালো সম্পর্ক। দলের জন্য মামলার আসামি হয়ে জেল খাটার পরও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সাথে সে আপোষ করে নাই।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ল গ র স দ ধ রগঞ জ ব এনপ র স র আমল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন বাতিলের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান সিপিবির

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ‘নির্বাচন বাতিল বা বিলম্বের ষড়যন্ত্র’ রুখে দিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে হলে সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন সেনপাড়ায় সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় এ আহ্বান জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তরের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান এবং সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের এই শাখার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি আহাম্মদ সাজেদুল হক, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক লূনা নূর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোতালেব হোসেন ও মহানগর কমিটির সদস্য রিয়াজ উদ্দিন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী সাজ্জাদ জহির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত চার মূলনীতি সমুন্নত রাখতে হবে। শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করতে শ্রমিক, কৃষক, যুব ও নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে। বামপন্থীদের সরকার গঠন করতে সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাঁদের নেতৃত্বেই আগামী দিনের ক্ষমতায় লড়াইকে অগ্রসর করতে হবে।

সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান ছিল, আজ তারাই রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেবল ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, ব্যবস্থার পরিবর্তনই সময়ের দাবি। কমিউনিস্টরা সেই ব্যবস্থার পরিবর্তনের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আহ্বান জানাই, গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত হলো নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী নির্বাচন। আগামীকাল থেকেই আমরা জাতীয় নির্বাচনের কাউন্টডাউন (ক্ষণগণনা) দেখতে চাই।’

নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু না হলে জনগণের মধ্যে অনিশ্চয়তা বাড়বে বলে উল্লেখ করেন রুহিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত হলো নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী নির্বাচন। সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতি, লুটপাট ও শোষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বদলের সংগ্রামকে জনগণের আন্দোলনে রূপ দেবে।’

সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের দেশীয় দোসরদের হাতে দেশের সম্পদ লুট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি আহাম্মদ সাজেদুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখনো অনিশ্চিত যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না। কারণ, বর্তমান সরকার এখনো সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি। জনগণ আজ অর্থনৈতিক সংকট, বৈষম্য ও দুর্নীতির শিকার। একদিকে জনগণের ঘামঝরানো টাকায় দেশ চলছে, অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা দেশের সম্পদ লুট করছে। সমুদ্রবন্দর, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগসহ জাতীয় সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: দুলু
  • অদৃশ্য শক্তি ও ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খোরশেদ
  • নির্বাচন বাতিলের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান সিপিবির
  • বিদেশ যেতে কেন বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন মিলনের
  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী