আবারও চমকে দিলেন আফরান নিশো। প্রায় দুই বছর পর নতুন লুকে হাজির হলেন। মঙ্গলবার দুপুরে প্রকাশ পেয়েছে শিহাব শাহীনের ‘দাগি’ সিনেমার টিজার। তাতে ‘দাগি’ লুকে দেখা দিয়েছেন এই অভিনেতা। নতুন লুকে দেখা দিলেন তমা মির্জাও। প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে টিজার। মঙ্গলবার ‘দাগি’র টিজার শেয়ার হয়েছে চরকি, আলফা আই, এসভিএফের অফিশিয়াল পেজ থেকে। এ ছাড়া সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা টিজারটি শেয়ার করেছেন নিজেদের সোশ্যাল হ্যান্ডল থেকে। এর মধ্যে শুধু চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টিজারটি দেখা হয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার, সাড়ে ৩ হাজার মন্তব্য এবং ১৪ হাজার রিয়্যাক্ট। এসভিএফের ফেসবুকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৫৪ হাজার আর আলফা আইর ফেসবুকে ১০ হাজার ভিউ হয়েছে।

১ মিনিট ৭ সেকেন্ডের টিজারে তিনটি ভিন্ন লুক ও পরিস্থিতিতে আফরান নিশোকে পাওয়া গেছে। সিনেমায় তাঁর চরিত্রের নাম নিশান। প্রথমে বড় চুলে, মাঝখানে ছোট চুল আর একদম শেষে কয়েদির পোশাকে হাজির হন তিনি। তাঁর কয়েদি নম্বর ৭৮৬। টিজারের শুরুতেই নিশোকে বলতে শোনা যায়, ‘আব্বা আমাকে সব সময় বলত, “নিশান, জীবনের একটা লক্ষ্য খুঁজে বের কর।”’ এরপর নিশোর কণ্ঠে শোনা যায়, ‘এবার বুঝতে পারতেসি, জীবনের লক্ষ্য। জেলের দাগ একবার যার লাগছে, সে–ই দাগি। সারাটা জীবন।’

আরও পড়ুননিশোর ‘দাগি’ নিয়ে চিন্তিত নন প্রযোজক০১ মার্চ ২০২৫

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে যখন ‘দাগি’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়, তখন আফরান নিশো বলেছিলেন, ‘আমি সব সময় গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে সিনেমা করতে চাই। যেখানে গল্পটাও একটা চরিত্র হবে। সেই দিক থেকে “দাগি”র গল্প আমার খুব ভালো লেগেছে। দর্শকদের জন্য বেশে উপভোগ্য হবে সিনেমাটি।’ মঙ্গলবার প্রকাশ হওয়া টিজার দেখে দর্শকদের ধারণা, নিশোর কথার সঙ্গে বাস্তবের মিল রয়েছে। টিজারে অভিনেত্রী তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিমকেও দেখা গেছে।

‘দাগি’ সিনেমার শুটিংয়ে আফরান নিশো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ

এছাড়াও পড়ুন:

দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি

চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।

গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ