ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ধারায় ফিরেছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে স্বস্তির জয় পেয়েছে দলটি। আগে ব্যাট করে রূপগঞ্জ ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২২৮ রান। জবাবে গুলশান ৪৬.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

রূপগঞ্জের হয়ে অমিত মজুমদার ১০৮ বল খেলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৮৮ রান। এছাড়া আরিফুল হকের ৪০ ও আল আমিন জুনিয়রের ২৮ রানে দলটি সম্মানজনক স্কোর পায়। গুলশানের হয়ে আসাদুজ্জামান পায়েল ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন। তার সঙ্গে নিহাদুজ্জামান ৪৫ রানে নেন ৩ উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুলশানের দুই ওপেনার মিলে গড়েন ৯৫ রানের ভিত্তি। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম করেন ৪০ রান। এরপর জাওয়াদ আবরার ৭৫ বলে ৯ চারে ৬৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। খালিদ হাসান (৪৩), নাঈম হাসান (২১), ইফতেখার হোসেন ইফতি (২৫*) ও হাবিবুর শেখ মুন্না (২৪*) সহজেই জয় এনে দেন গুলশানকে। রূপগঞ্জের হয়ে মাহমুদুল হাসান ৩টি ও ফরহাদ হোসেন নেন ১ উইকেট।

অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার দেখেছে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। আগের ম্যাচে গাজী গ্রুপের কাছে ১৭৫ রানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এবার সাভারের বিকেএসপিতে অগ্রণী ব্যাংকের কাছে হেরেছে ৫ উইকেটে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধানমন্ডি ৩৩.

৫ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ১১৫ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে মঈন খানের ব্যাটে। নুরুল হাসান করেন ২২, সানজামুল ১৮ ও জাকিরুল ১৯ রান। অগ্রণীর হয়ে রবিউল হক ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ধস নামান, দুই উইকেট করে নেন আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমান।

রান তাড়ায় শুরুতে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারালেও মার্শাল আইয়ুবের ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে অগ্রণী ব্যাংক। ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে তারা এখন পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে। দুই জয় পাওয়া ধানমন্ডি নেমে গেছে সাত নম্বরে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল ধ নমন ড র পগঞ জ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ