মালিকের ‘কিছু ফুটবলার অতিরিক্ত বেতন পায়’ মন্তব্যের জবাব দিলেন ব্রুনো
Published: 15th, March 2025 GMT
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিকদের মধ্যে একজন হচ্ছেন স্যার জিম র্যাটক্লিফ। তিনি দিন দুয়েক আগে একটা সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডর কিছু খেলোয়াড়ের মান যথেষ্ট ভালো নয় এবং কিছু খেলোয়াড় অতিরিক্ত বেতন পাচ্ছেন।  
এই মন্তব্যটা সহজভাবে নেননি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়ক ব্রুনো ফের্নান্দেজ। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে ইউরোপা লিগের ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। মালিকের আনা বিশাল অপবাদের হাত থেকে খানিকয়া হলেও সতীর্থদের রক্ষা করেছেন। এরপর বললেন, চুক্তিটা ক্লাবের সম্মতিতেই যখন হয়, তখন।
র্যাটক্লিফ সেই সাক্ষাৎকারে অবশ্য ফের্নান্দেজকে ‘অদ্বিতীয় ফুটবলার’ বলে প্রশংসাত ভাসিয়েছিলেন। তবে, অন্যান্য খেলোয়াড়দের ‘যতটুকু প্রয়োজন তত ভালো না’ এবং ‘অতিরিক্ত বেতন’ পায় বলতে শুনা যায়।
আরো পড়ুন:
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না নেইমারের
রোনালদোর নৈপুণ্যে আল নাসরের জয়
ব্রুনো এর জবাবে বলেন, ‘এটা স্পষ্টই বলা যায় যে, এমনটা শোনা মোটেই ভালো নয়। আমার মনে হয় না কোনো খেলোয়াড়ই সমালোচনা শুনতে পছন্দ করে। বিশেষ করে যখন আপনার সম্পর্কে বলা হয় যে, আপনি যথেষ্ট ভালো নন অথবা আপনি অতিরিক্ত বেতন পাচ্ছেন”।
ফুটবলার যেমনই হোক, তাদের দলে ভিড়িয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষ। প্রতিটা ফুটবলারই একটা চুক্তির মাধ্যমে দলে আসে আর সেই চুক্তিপত্র যে ম্যানেজম্যান্টই তৈরি করে সেই ব্যাপারটাও মনে করিয়ে দিলেন ব্রুনো, “প্রতিটি খেলোয়াড়ের নিজস্ব চুক্তি রয়েছে। ক্লাব তখনই চুক্তি করে যখন আপনি এখানে আসেন বা যখন আপনি চুক্তি নবায়ন করেন।”
এদিকে র্যাটক্লিফ ফের্নান্দেজের প্রশংসা করলেও রেড ডেভিলদের সাবেক অধিনায়ক রয় কিন তীব্র সমালোচনা করেছেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের। কিন বলেন, “ফার্নান্দে যোদ্ধা নয় এবং তার প্রতিভা যথেষ্ট নয়।”
যদিও শেষ কয়েক বছর ধরে ইউনাইটেডকে ফের্নান্দেজ একাই টানছেন। রেড ডেভিলদের জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত ২৯৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ৯৪ গোল ও ৭৯ অ্যাসিস্ট। এই মৌসুমে ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন ১৫ গোল ও ১৩ অ্যাসিস্ট।
সোসিয়েদাদের বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর কিনের মন্তব্যের জবাবে ফের্নান্দেজ বলেন, “প্রত্যেকেরই একটি মতামত থাকে। আমি মানুষের মন পরিবর্তন করতে পারব না। আমি যা করি সেটা হচ্ছে মাঠে নামা এবং ক্লাবের জন্য আমার সর্বোত্তম চেষ্টা করা। কিন ক্লাবের একজন অসাধারণ অধিনায়ক ছিলেন, যাকে সবাই শ্রদ্ধা করে। আমার শ্রদ্ধাও তার প্রাপ্য। তিনি প্রোগ্রামে তার মতামত দিতে পারেন।”
“আমার অনেক কিছু উন্নতি করতে হবে, শুধু অধিনায়ক হিসেবে নয়, একজন খেলোয়াড় হিসেবেও এমনকি একজন মানুষ হিসেবেও। সেটা ঠিক আছে। সমালোচনা সবসময়ই থাকবে এবং এটি আমাকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে এবং বুঝতে সাহায্য করবে যে এখনও অনেক কিছু শেখার বাকি আছে।"- যোগ করেন ব্রুনো।  
   
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
কিছুদিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, ভেঙে যাচ্ছে ভারতীয় তারকা দম্পতি মাহি ভিজ ও জয় ভানুশালির ১৪ বছরের সংসার। এ খবর চাউর হওয়ার পরও নীরব ছিলেন এই দম্পতি। এর কিছুদিন পর খবর রটে, বিবাহবিচ্ছেদের পর ভরণপোষণের জন্য ৫ কোটি রুপি খোরপোষ দাবি করেছেন। এ নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে যেমন জোর চর্চা চলছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াও সয়লাব। ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী মাহি ভিজ।
এ পরিস্থিতিতে নীরবতা ভেঙেছেন ‘বালিকা বধু’খ্যাত মাহি ভিজি। একটি ভিডিও বার্তায় এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি কোথাও পড়েছি, আমি নাকি ডিভোর্স পেপারে সই করেছি, এখন আমাকে সেই কাগজ দেখান। আমরা যতক্ষণ না নিজেরা কিছু বলছি, ততক্ষণ আপনারা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার রাখেন না। আমি জানি, আমরা পাবলিক ফিগার। কিন্তু আমরা যা বলতে চাই, শুধু সেটাই বলব। বাড়িতে আমার অসুস্থ মা আর তিনটি সন্তান আছে। যার মধ্যে দুইজন এখন সবকিছু বোঝে। এমনকি, খুশি (কন্যা) আমাকে মেসেজ করে বলেছে, ‘মা, এসব কী হচ্ছে! ওরা কেন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাচ্ছে?’ এসব নিয়ে বাচ্চারা স্কুলেও প্রশ্নের মুখে পড়ছে।”
আরো পড়ুন:
হাসপাতালে ধর্মেন্দ্র
মধ্যরাতে শাহরুখের বাড়ির সামনে ভক্তদের ভিড়
খোরপোষের বিষয়ে ক্ষুব্ধ মাহি ভিজ বলেন, “আমাদের বাঁচতে দিন। আমরা তারকা বলেই সবকিছু আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে, এমন নয়। কেউ লিখেছে, ‘আমি নাকি ৫ কোটি রুপি খোরপোষ চেয়েছি।’ আমি বা জয় কি এটা বলেছি? যখন প্রমাণ হাতে পাবেন, তখন কথা বলবেন। আমি তো ঠিকমতো জানিই না খোরপোষ কী!”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে খোরপোষের বিষয়ে মাহি ভিজ বলেন, “আমার মতে, যদি একজন পুরুষ নিজে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে, তবে বিচ্ছেদের পর সেই অর্থে স্ত্রীর কোনো অধিকার নেই। খোরপোষ তখনই যুক্তিযুক্ত, যখন কোনো নারী সারাজীবন গৃহবধূ হিসেবে থেকেছেন এবং কখনো কাজ করেননি। কোনো নারী যদি কাজ করতে পারেন, তবে নিজেরই উপার্জন করা উচিত।”
স্বামীর প্রশংসা করে মাহি ভিজ বলেন, “এ বিষয়ে আমার মুখ থেকে না শোনা পর্যন্ত কোনো কিছু বিশ্বাস করবেন না। আমাদের, আমাদের সন্তানদের ও বাবা-মায়ের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। অনুরোধ করছি, আমাদের একা থাকতে দিন। যদি মনে করি কিছু জানাতে হবে, আমরা নিজেরাই বলব। জয় আমার পরিবার, সে সবসময় আমার পরিবারই থাকবে। সে আমার সন্তানের জন্য দারুণ বাবা এবং একজন অসাধারণ মানুষ।”
২০১১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহি ভিজ ও জয় ভানুশালি। খুব ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন তারা। এ দম্পতির ‘তারা’ নামে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে রাজবীর ও খুশি নামে দুই সন্তান দত্তক নেন এই দম্পতি।
ঢাকা/শান্ত