মেডিকেল কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
Published: 15th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১২টায় শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে সেখানে সড়ক অবরোধ করা হয়। এতে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকে। অবরোধ কর্মসূচি শেষে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিং করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মানহীনতার অভিযোগ তুলে তা বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এখানে মানহীনতার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন ও বৈষম্যমূলক। আমাদের মেডিকেল কলেজে বর্তমানে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর বিপরীতে রয়েছেন ৫৫ শিক্ষক এবং কিউরেটর রয়েছেন ২ জন। অর্থাৎ প্রতি ছয়জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। তাই শিক্ষক সংকটের মতো যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।
মূলত বিগত পতিত সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই বর্তমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এই ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা করেছেন। তাতে হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও মানসিক স্বাস্থ্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দ্বিতীয় ব্যাচের
শিক্ষার্থী রিংকু দেবনাথ, তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়েল সরকার, চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসনিমুর রিয়াজসহ অন্যরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
ভারতের আসামে গত বছর একাধিক ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে উলফা (আই) নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। সংস্থাটি শনিবার গুয়াহাটির আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (ইনডিপেনডেন্ট ) চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার ইন চিফ। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুজন হলেন অভিজিৎ গগৈ ও জাহ্নু বড়ুয়া।
গত বছর আসামে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন ব্যাহত করতে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে একাধিক আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা তদন্তের ভার নেয় এনআইএ।
এনআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডি স্থাপন করা হয়েছিল।