গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কারখানায় নিরাপত্তাকর্মীদের হাত-পা বেঁধে ডাকাতি। গতকাল মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়নের বেকাসহরা এলাকায় ইকোট্রিমস বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে গতকাল রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।

কারখানাটির ব্যবস্থাপক (সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড ওয়্যার হাউস) মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে ৯–১০ জনের একটি ডাকাত দল সীমানাপ্রাচীর টপকে কারখানার ভেতরে ঢোকে। তারা তিন নিরাপত্তাকর্মীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে কারখানাটির ইউটিলিটি ভবনের দুটি দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। আরএম কেবল, ওয়েল্ডিং মেশিন ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পিকআপ ভ্যানে ভরে নিয়ে চলে যায় ডাকাত দল। কারখানার ৩০ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক তার ও যন্ত্রপাতি লুট হয়েছে।

কারখানার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গতকাল রাত দুইটার পর কারখানার পশ্চিম পাশের একটি দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। এ সময় একজন নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে এলে তাঁকে দেশি ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। পরে আরও দুজন নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে আসেন, তাঁদেরও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। তিনজনের হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর কারখানাটির অন্য নিরাপত্তাকর্মীদের জড়ো করে বেঁধে রেখে লুটপাট শুরু করে ডাকাত দল। পরে মূল ফটক খুলে ওই পথে একটি পিকআপ ভ্যান ভেতরে প্রবেশ করে। লুটপাট করা জিনিসপত্র পিকআপে ভরে মূল ফটক দিয়েই বেরিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সেখানে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। মালামাল উদ্ধার ও ডাকাত দলের সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ক ত দল গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ