এবার ভারতীয় সিনেমার তীর্থভূমি বলিউডে পা রাখার সুযোগ এসেছে নুসরাত জাহানের। কলকাতার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর অনেক সতীর্থ এরই মধ্যে বলিউডে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, পায়েল সরকার, পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্যসহ কয়েকজন শিল্পীর নাম; যারা এখনও কলকাতার সিনেমায় দাপটের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এদিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন নুসরাত জাহান। সেই শিকেও ছিঁড়েছে। তবে কোনো সিনেমায় নয়, নুসরাতকে নির্বাচন করা হয়েছে একটি হিন্দি গানের মডেল হিসেবে কাজ করার জন্য। দেরিতে হলেও বলিউডে ডাক পাওয়ায় ভীষণ খুশি এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, পাপনের গাওয়া ‘হাত পে লেহেরায়ে কঙ্গন তেরা’ শিরোনামে হিন্দি গানের ভিডিওতে দেখা যাবে নুসরাতকে। তাঁর বিপরীতে আছেন প্রিয়ঙ্ক শর্মা। ভিডিওটি পরিচালনায় রয়েছেন স্নেহা শেঠি কোহলি। টিপস মিউজিকের তরফে ভিডিওটি প্রযোজনা করেছেন কুমার তুরানি। মূলত এই প্রযোজকের আহ্বানে গানের ভিডিওতে অভিনয় করা বলে জানিয়েছেন নুসরাত।
তাঁর কথায়, টিপস মিউজিক সবসময় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দর্শক-শ্রোতার কাছে নতুন কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করে। বড় এই ব্যানারে কাজ করতে পারা যে কোনো শিল্পীর জন্যই দারুণ সুযোগ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।