অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে ও সুনীল নারিনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শনিবার (২২ মার্চ) ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তোলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে ব্যর্থ হয়েছেন বেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিং ও আন্দ্রে রাসেল। বেঙ্গালুরুর হয়ে ক্রুনাল পাণ্ডে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট।

টস জিতে কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠান বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত পতিদার। শুরুতেই বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরু করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ওপেনার কুইন্টন ডি কক। প্রথমে ক্যাচ মিস হলেও হ্যাজলউডের পরের বলে উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে কলকাতা।

তবে সেই চাপ সামাল দেন ওপেনার সুনীল নারিন ও অধিনায়ক রাহানে। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করলেও পরবর্তীতে দুজনেই হাত খুলে খেলেন। পাওয়ার প্লে শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৬০/১। নবম ওভারে সুয়েশ শর্মার এক ওভারেই তুলে নেন ২২ রান। সেই ওভারেই ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন রাহানে। মাত্র ৯.

৩ ওভারেই দলীয় স্কোর পৌঁছে যায় ১০০ রানে।

তবে দশম ওভারে ম্যাচে ফেরে বেঙ্গালুরু। ৪৪ রান করা সুনীল নারিনকে ফেরান রাসিখ সালাম। পরের ওভারে রাহানেকেও সাজঘরে ফেরান ক্রুণাল পাণ্ডে। রাহানে ৩১ বলে ৫৬ রান করেন, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা। দ্রুত দুই সেট ব্যাটার ফিরে যাওয়ায় আবার চাপে পড়ে কলকাতা। এরপর ব্যর্থ হন বেঙ্কটেশ আইয়ার (৭ বলে ৬), রিঙ্কু সিং (১০ বলে ১২) ও আন্দ্রে রাসেল (৪ রান)। এক পর্যায়ে কলকাতার সমর্থকদের মুখেও নেমে আসে হতাশা।

পাঁচ নম্বরে নেমে কিছুটা লড়াই করেন তরুণ ব্যাটার রঘুবংশী। শেষ দিকে ২১ বলে ৩০ রান করে তিনিও ফেরেন যশ দয়ালের বলে। হর্ষিত রানা করেন ৫ রান। ইনিংসের শেষে রমনদীপ সিং (৬*) ও স্পেনসার জনসন (১*) অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৪ রানে থামে কলকাতার ইনিংস।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ