Prothomalo:
2025-09-18@03:15:56 GMT

আসল আইপিএল তো শুরু আজ

Published: 23rd, March 2025 GMT

শিরোনাম দেখে চমকে উঠবেন না। গতকাল যে ম্যাচটি দেখেছেন, ওটাও আইপিএলের ম্যাচই ছিল। বিরাট কোহলির ফিফটি, বেঙ্গালুরুর জয়—সবই হিসাবের খাতায় উঠে গেছে। বেঙ্গালুরু সমর্থকদের চিন্তার কারণ নেই! তাহলে ‘আসল’ আইপিএলটা আবার কী!

সেটা জানতে প্রথমে আজকের সূচির দিকে তাকান। আইপিএল বলতে যে দুটি দলের নাম সবার আগে আসে, সেই চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস মাঠে নামবে আজ রাতে।

সারা দুনিয়ায় আইপিএলকে ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে এই দুটি দলের অবদান অনেক। এর আগে হওয়া আইপিএলের ১৭টি আসরের মধ্যে সমান ৫টি করে ১০টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেন্নাই ও মুম্বাই। এই ম্যাচে মুখোমুখি হন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রোহিত শর্মারা। আগে খেলতেন শচীন টেন্ডুলকার, ম্যাথু হেইডেন, কাইরন পোলার্ড, ড্যারেন ব্রাভোরা। শুধু শুধু তো ম্যাচটিকে তো আইপিএলের ‘এল ক্লাসিকো’ বলা হয় না!

আইপিএলকে সারা দুনিয়ায় যদি চেন্নাই ও মুম্বাই পৌঁছে দেয়, তাহলে আইপিএলকে নতুন করে চিনিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুধু আইপিএল নয়, অনেকেই মনে করেন হায়দরাবাদ টি-টোয়েন্টি খেলার ধরনটাই বদলে দিয়েছে। সেই হায়দরাবাদও নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নামছে। তাদের ম্যাচটি রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে।

গত আসরেই পাওয়ারপ্লেতে ১২৫ রান তুলেছেন হেড-অভিষেক, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্ব রেকর্ড। দলটি পাওয়ারপ্লেতে ৮০ রানের বেশি তুলেছে চারবার।

একদিকে আইপিএলের আলোচিত দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির ম্যাচ, অন্যদিকে চার-ছক্কার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হায়দরাবাদের খেলা—আসল আইপিএলময় দিন তো এমনই হবে!

চেন্নাই ও মুম্বাই আইপিএলের সবচেয়ে দুটি ধারাবাহিক দল। আইপিএলে সর্বোচ্চ ১২ বার প্লে-অফে খেলেছে চেন্নাই, আর মুম্বাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ বার উঠেছে প্লে-অফে। আইপিএলে চেন্নাই-মুম্বাইয়ের দাপট ১৭টি আসরের মধ্যে দুদলের ১০ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়াতেই স্পষ্ট।

হায়দরাবাদের বেলায় বিষয়টি একটু ভিন্ন। দলটি ৭ বার প্লে-অফে খেলেছে, শিরোপা জিতেছে একবারই—২০১৬ সালে। তবে এসব ছাপিয়ে হায়দরাবাদ আলোচনায় গত মৌসুমের ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের কারণে। ফাইনালে কলকাতার কাছে হেরে গেলেও অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই মনে করেন হায়দরাবাদই ২০২৪ আসরের সেরা দল ছিল। দলটি নতুন করে দেখিয়েছিল, কীভাবে টি-টোয়েন্টি খেলতে হয়!

ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল

মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।” 

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/চন্দন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ