Prothomalo:
2025-06-16@02:33:14 GMT

আসল আইপিএল তো শুরু আজ

Published: 23rd, March 2025 GMT

শিরোনাম দেখে চমকে উঠবেন না। গতকাল যে ম্যাচটি দেখেছেন, ওটাও আইপিএলের ম্যাচই ছিল। বিরাট কোহলির ফিফটি, বেঙ্গালুরুর জয়—সবই হিসাবের খাতায় উঠে গেছে। বেঙ্গালুরু সমর্থকদের চিন্তার কারণ নেই! তাহলে ‘আসল’ আইপিএলটা আবার কী!

সেটা জানতে প্রথমে আজকের সূচির দিকে তাকান। আইপিএল বলতে যে দুটি দলের নাম সবার আগে আসে, সেই চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস মাঠে নামবে আজ রাতে।

সারা দুনিয়ায় আইপিএলকে ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে এই দুটি দলের অবদান অনেক। এর আগে হওয়া আইপিএলের ১৭টি আসরের মধ্যে সমান ৫টি করে ১০টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেন্নাই ও মুম্বাই। এই ম্যাচে মুখোমুখি হন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রোহিত শর্মারা। আগে খেলতেন শচীন টেন্ডুলকার, ম্যাথু হেইডেন, কাইরন পোলার্ড, ড্যারেন ব্রাভোরা। শুধু শুধু তো ম্যাচটিকে তো আইপিএলের ‘এল ক্লাসিকো’ বলা হয় না!

আইপিএলকে সারা দুনিয়ায় যদি চেন্নাই ও মুম্বাই পৌঁছে দেয়, তাহলে আইপিএলকে নতুন করে চিনিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুধু আইপিএল নয়, অনেকেই মনে করেন হায়দরাবাদ টি-টোয়েন্টি খেলার ধরনটাই বদলে দিয়েছে। সেই হায়দরাবাদও নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নামছে। তাদের ম্যাচটি রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে।

গত আসরেই পাওয়ারপ্লেতে ১২৫ রান তুলেছেন হেড-অভিষেক, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্ব রেকর্ড। দলটি পাওয়ারপ্লেতে ৮০ রানের বেশি তুলেছে চারবার।

একদিকে আইপিএলের আলোচিত দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির ম্যাচ, অন্যদিকে চার-ছক্কার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হায়দরাবাদের খেলা—আসল আইপিএলময় দিন তো এমনই হবে!

চেন্নাই ও মুম্বাই আইপিএলের সবচেয়ে দুটি ধারাবাহিক দল। আইপিএলে সর্বোচ্চ ১২ বার প্লে-অফে খেলেছে চেন্নাই, আর মুম্বাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ বার উঠেছে প্লে-অফে। আইপিএলে চেন্নাই-মুম্বাইয়ের দাপট ১৭টি আসরের মধ্যে দুদলের ১০ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়াতেই স্পষ্ট।

হায়দরাবাদের বেলায় বিষয়টি একটু ভিন্ন। দলটি ৭ বার প্লে-অফে খেলেছে, শিরোপা জিতেছে একবারই—২০১৬ সালে। তবে এসব ছাপিয়ে হায়দরাবাদ আলোচনায় গত মৌসুমের ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের কারণে। ফাইনালে কলকাতার কাছে হেরে গেলেও অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই মনে করেন হায়দরাবাদই ২০২৪ আসরের সেরা দল ছিল। দলটি নতুন করে দেখিয়েছিল, কীভাবে টি-টোয়েন্টি খেলতে হয়!

ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে একের পর এক অঘোষিত ভাগাড়, বর্জ্য ফেলে পরিবেশদূষণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হাড়াতলী এলাকা। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার এই এলাকায় গেলে দূর থেকেই নাকে ভেসে আসে উৎকট দুর্গন্ধ। মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের পাশে চোখে পড়ে সারি সারি ময়লার স্তূপ। মহাসড়কের পাশ যেন হয়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে।

শুধু হাড়াতলী এলাকাই নয়; ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের বেশ কয়েকটি স্থানে এমন অঘোষিত ভাগাড় গড়ে উঠেছে। মহাসড়কের প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে কুমিল্লা জেলার অংশ। এর মধ্যে অন্তত ২০টি স্থানে একইভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান মহাসড়কের পাশে তাদের সংগ্রহ করা ময়লা ফেলছে। এতে মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তূপ দিন দিন বাড়তে, মহাসড়ক পরিণত হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে। এভাবে পরিবেশদূষণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লার সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যদি সঠিকভাবে করতে না পারে, তাহলে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কাজটা কী? মানুষ তো ট্যাক্স দেয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য। এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা একধরনের অপরাধও। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এসব বিষয়ে কঠোর হওয়া দরকার।

হাড়াতলী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, প্রায় দুই বছর আগে স্থানটিতে ময়লা ফেলা শুরু করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। এরপর সেটি ধীরে ধীরে পরিণত হয় ভাগাড়ে। দিন যত গেছে, ময়লা ফেলার জায়গাটির আকার ততই দীর্ঘ হয়েছে। এ কারণে ওই স্থান দিয়ে হেঁটে চলাচল করা বেশ দুষ্কর হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন আশপাশের বসবাসকারীরা। ভাগাড়ের আশপাশে অন্তত তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ময়লার দুর্গন্ধে নাকাল।

এভাবে পরিবেশদূষণ বন্ধে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করছি। তবে এ বিষয়ে মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে।মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব, উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ময়লা ফেলতে আমরা বারবার বাধা দিয়েছি, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। সিটি করপোরেশন সবুজে ঘেরা এলাকাটির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। এখনো প্রতিদিন ময়লা বাড়ছে। সিটি করপোরেশন বলে, তারা নাকি এখন ময়লা ফেলে না। তাহলে আমাদের প্রশ্ন, ময়লা কারা ফেলছে?’

স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, শ্রেণিকক্ষে বসা যায় না দুর্গন্ধের জন্য। একটু বাতাসেই নাকে ভেসে আসে ময়লার দুর্গন্ধ। কলেজে প্রবেশের সময় নাক চেপে ধরে আসতে হয়। এ ছাড়া পরিবেশও মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।

জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাড়াতলীতে তিন মাস ধরে তাঁরা আবর্জনা ফেলছেন না। সিটি করপোরেশনের ফেলা ময়লাগুলো ভেকু দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এখন রাতের আঁধারে আশপাশের লোকজন এবং বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলছে। যারা ময়লা ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার প্রবেশমুখ বালুজুড়ি এলাকায় ময়লার ভাগাড়

সম্পর্কিত নিবন্ধ