দুঃস্থ মানব কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
Published: 24th, March 2025 GMT
অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সেবামূলক সংগঠন দুঃস্থ মানব কল্যাণ সোসাইটি দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ জনকল্যাণ মুখি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ৩শতাধিক পরিবারের মাঝে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সমাজের অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সোমবার (২৪ মার্চ) বেলা ৩ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানটুলী বাসট্যান্ডে এ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মোঃ মিঠুন মিয়া'র সভাপতিত্বে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণী এ আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডি,এইচ বাবুল, সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ শফিকুল ইসলাম আরজু, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ, সাংবাদিক অপু রহমান, সমাজ সেবক ফিরোজ কায়সার, তরুন দলের নেতা দেলু, নাসিক ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা তোফাজ্জল, শিপন, রাজা, শাহিন, সজলসহ সংগঠন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত অতিথিরা বলেন, আমাদের সকলের মানবিক চিন্তা থেকে সমাজের অসহায় মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত। তাহা হলে সমাজে দারিদ্রতার সংখ্যা কমে যাবে। আজ এই সামাজিক সংগঠন যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাহা সত্যিই প্রশংসনিয়।আসুন আমরা সবাই যে যার সমর্থ অনুযায়ী মানুষের কল্যাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।
ঈদ সামগ্রী বিতরণে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুঃস্থ মানব কল্যান সোসাইটির সহ সভপতি শিহাব উদ্দিন শিহাব, সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ আহম্মেদ খোকন, অর্থ সম্পাদক শিপন জোমাদ্দার, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সম্রাট, সহ-মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক পিয়াসা আক্তারসহ প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল য ণ ব তরণ স গঠন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শেয়ারবাজারে লেনদেন-খরা কাটছে না, হতাশ বিনিয়োগকারীরা
ঈদের ১০ দিনের ছুটির পর লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী করতে পারেনি দেশের শেয়ারবাজার। দীর্ঘ ছুটির পর আজ রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় দরপতনে। যদিও দিন শেষে সূচক ও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে তা বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী হওয়ার মতো নয়। উল্টো ভালো মৌল ভিত্তির কিছু শেয়ারের দরপতন বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
ঢাকার বাজারে রোববার লেনদেন হওয়া ৩৯২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৯টিরই দরপতন হয়েছে, দাম বেড়েছে ১৪৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬৮টির দাম। লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দামের উত্থান–পতনের প্রভাবে দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে। আর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৬৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৯ কোটি টাকা বেশি।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারের লেনদেন বর্তমানে যে পর্যায়ে নেমেছে, তাতে বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কারও জন্যই তা আশান্বিত হওয়ার মতো না। এই লেনদেনে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর পরিচালন খরচ তোলায় দুঃসাধ্য হয়ে গেছে। ফলে অনেক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক মাস শেষে বাজার থেকে পরিচালন খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে। একইভাবে লেনদেন থেকে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো যে কমিশন আয় করে তা দিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালন খরচ উঠছে না।
সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, বাজেটকে সামনে রেখে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আশান্বিত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘোষিত বাজেটে সরাসরি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো সুখবর ছিল না। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার নিয়ে হতাশা আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে বাজারে কোনো বিনিয়োগকারী তো আসছেনই না, উল্টো বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরাও সুযোগ পেলে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়ছেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাজার দীর্ঘ মন্দার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউস লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে আজ রোববার সূচকের পতনে যেসব কোম্পানি বড় ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে ছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইসলামী ব্যাংক, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, বিএসআরএম লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, রেনাটা, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইউনাইটেড পাওয়ার ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে আজ ডিএসইএক্স সূচকটি ৭ পয়েন্ট কমেছে। তার বিপরীতে সূচকের উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, স্কয়ার ফার্মা, লাভেলো আইসক্রিম, সিটি ব্যাংক, এসিআই, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও বীকন ফার্মা। এসব কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে ডিএসইএক্স সূচকটি ১৮ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে।
লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের এই প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, একদিকে ভালো মৌল ভিত্তির কিছু কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে, অন্যদিকে কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি সেই পতনকে রোধ করেছে। এই কারণে দিন শেষে সূচকটি ইতিবাচক ধারায় ছিল।
ঢাকার বাজারে আজ লেনদেনের এক–পঞ্চমাংশ বা প্রায় ২০ শতাংশই ছিল খাদ্য খাতের দখলে। এ খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫২ কোটি টাকা। যার প্রায় অর্ধেকই আবার একটি কোম্পানির, সেটি লাভেলো আইসক্রিম। রোববার ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি। দিন শেষে ২৫ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। মূলত লাভেলো আইসক্রিমের লেনদেনের ওপর ভিত্তি করেই এদিন খাদ্য খাত লেনদেনের শীর্ষে জায়গা করে নেয়। খাতভিত্তিক লেনদেনের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। এই খাতের কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি টাকা। ব্যাংক খাতকে এদিন লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে রাখার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ব্র্যাক ব্যাংকের। ঢাকার বাজারে আজ রোববার ব্র্যাকের ব্যাংকের ১৫ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। সেই হিসাবে ব্যাংক খাতের সম্মিলিত লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই ছিল ব্যাংকটির একক লেনদেন।
বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহী প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে এখন নতুন করে কোনো আশা দেখছেন না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়ে যাচ্ছেন। বাজেটকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেটি পূরণ না হওয়ায় হতাশা আরও বেড়েছে। যার প্রভাব বাজারে পড়ছে।