Samakal:
2025-09-18@01:49:46 GMT

ঈদের তিন বেলার সাজ 

Published: 27th, March 2025 GMT

ঈদের তিন বেলার সাজ 

ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা, সাজপোশাকের জিনিস কেনেন সবাই। প্রত্যেকেই চান ঈদের সাজে সুন্দর ও সাবলীল থাকতে। উৎসবের এ দিনটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন আয়োজন থাকে। প্রতিটি সময়ের জন্য চাই আলাদা সাজভাবনা। তাছাড়া এবারের ঈদ গরমের মধ্যে পড়ছে বলে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে সাজটা হওয়া উচিত হালকা, আরামদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রেড বিউটি স্টুডিও অ্যান্ড স্যালুনের স্বত্বাধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন।
সকালের সাজ 
ঈদের সকাল শুরু হয় নামাজের আয়োজন, পারিবারিক আড্ডা আর মিষ্টিমুখের আনন্দে। এ সময় চাই হালকা, পরিপাটি ও প্রশান্তির অনুভূতি জাগানো সাজ।
ঈদের দিনের বাহারি সাজ নিয়ে রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, সকাল বেলার মেকআপে ত্বকের সঙ্গে মানানসই হলেও বিবি ক্রিম, সিসি ক্রিম এমন কিছু ফেইসে ব্যবহার না করাটাই ভালো। প্রথমেই সিরাম এবং একটি ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করে ফাউন্ডেশন দিতে হবে। ফাউন্ডেশনের পর যেখানে আমাদের কনসিলিং করা দরকার, যেমন ঠোঁটের পাশে, চোখের নিচে হালকা করে কনসিলারের সঙ্গে লুজ পাউডার দিয়ে সেট করে নেব। পরে আইব্রাশটা সুন্দর করে এঁকে নিয়ে হালকা কালারের আইশ্যাডো ব্যবহার করে মাশকারা দিলেই চোখের সাজ শেষ। এখানে কাজল, লাইনার ব্যবহার না করলেই দেখতে সুন্দর লাগবে। ঠোঁটে ন্যুড কালার অথবা হালকা পিংক কালার লিপস্টিক দিতে পারেন।
সকালের সাজে খোলা চুলেই দেখতে ভালো লাগবে বলে জানালেন এই রূপ বিশেষজ্ঞ। সকালের সাজের সঙ্গে হালকা ও মসৃণ ফেব্রিকের, যেমন–কটন, লিনেন, মসলিনের পোশাক পরার পরামর্শ দেন আফরোজা পারভীন। তিনি বলেন, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সকালে হালকা গহনা বেছে নিন। হালকা সাজের সঙ্গে ছোট্ট কানের দুল, হাতের পাতলা চুড়ি বা রিস্টওয়াচ ভালো লাগবে।
দুপুরের সাজ 
দুপুরের সাজ হতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ, যেখানে থাকবে স্টাইল, আরাম এবং সিজনাল স্পর্শ। কারণ, এ সময় থাকে অতিথি আপ্যায়ন, ছবি তোলাসহ প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্ত। তবে, গরমের কথা মাথায় রেখে সাজপোশাকের ক্ষেত্রে আরাম ও সাচ্ছ্বন্দ্য প্রাধান্য দিন।
দুপুরের সাজের ব্যাপারে আফরোজা জানান, দুপুরের মেকআপে স্মোকি লুক মানাবে না। ফ্রেশ লুকের সঙ্গে একটু পিংকিশ ব্লাশন, আইলাইনার, মাসকারা থাকলে দেখতে সুন্দর লাগবে। ঠোঁটে হালকা চকচকে গ্লোসি বা ম্যাট ব্রাইট পিঙ্ক রঙের লিপস্টিক দুপুরের জন্য মানানসই।
তিনি আরও জানান, দুপুরের সাজে আমরা সামনের চুলগুলোকে যদি একটু আটকে নিই তাহলে দেখতে সুন্দর লাগবে। এক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে সামনের চুলের ডিজাইনটা করা যায়, এতে সৌন্দর্য বাড়বে। আবার কেউ চাইলে চুলে খোঁপাও করে নিতে পারবে, এটি আরামদায়কও হবে। এছাড়া চুল খোলা রাখতে চাইলে হেয়ার সিরাম বা সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। 
পোশাক বাছাইয়ে সফট রঙের সালোয়ার কামিজ বা হালকা কাজের শাড়ি পরতে পারেন। এর সঙ্গে মিলিয়ে মিডিয়াম সাইজের ঝুমকা বা স্টাডস পরতে পারেন।

রাতের সাজ
রাতের দাওয়াত, পার্টি বা পারিবারিক জমায়েতের জন্য প্রত্যেকেরই চাই একটু বেশি জমকালো লুক। সে লুক যেন অতিরিক্ত ধরনের না হয়। 
এ ব্যাপারে আফরোজা পারভীন বলেন, রাতের বেলা মেকআপ করার আগে ময়েশ্চারাইজার এবং সিরাম ব্যবহার করে স্কিনটাকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। তারপর ফাউন্ডেশন, কনসিলার দিয়ে বেইজ তৈরি করে, হাইলাইটার দিয়ে গ্লো করে বেইজ কমপ্লিট করতে হবে। গোল্ডেন বেস রোজ, গোল্ডেন আইশ্যাডো ব্যবহার করা যায়। চাইলে চোখের সাজের ক্ষেত্রে একটু স্মোকি ফিল করতে পারি বা ন্যাচারাল আই লুকে মোটা করে লাইনার করতে পারি। ঠোঁটে ডার্ক, রেড, বেরি অথবা যেকোনো ডার্ক কালারের ক্লাম টোনের লিপস্টিক পরতে পারি।
রাতের সাজে হেয়ার স্টাইল নিয়ে তিনি বলেন, চুল কার্ল করা যায়, চুলে টিজিং করা যায়। চুল তুলে খোঁপা করাসহ বিভিন্ন হেয়ারস্টাইল করা যায়। চুল খোলা রাখতে চাইলে ওয়েভি বা স্ট্রেইট লুক দিতে পারেন। পোশাকের ক্ষেত্রে ভারী এমব্রয়ডারি বা সিল্কের শাড়ি বা গর্জিয়াস কুর্তি পরতে পারেন। এর সঙ্গে মানিয়ে স্টেটমেন্ট জুয়েলারি, যেমন– বড় কানের দুল, মালা বা ককটেল রিং পরতে পারেন। এই রূপবিশেষজ্ঞ আরও বলেন, সকাল, দুপুর, রাত যেকোনো সময়েই সাজগোজের পর মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন। তাছাড়া হাতে থাকতে পারে মেহেদির হালকা ডিজাইন, আর কাঁধে ট্রেন্ডি এমব্রয়ডারি করা দোপাট্টা, যা আপনাকে আলাদা করে তুলবে। 
অন্যান্য সাজ
হালকা পারফিউম বা বডি মিস্ট ব্যবহার করতে পারেন, যা দিনভর আপনাকে ফ্রেশ রাখবে। হিল বা ফ্ল্যাটস বেছে নেওয়ার সময় আরামকে গুরুত্ব দিন, কারণ ঈদের দিন চলাফেরা বেশি হয়। তাই জুতা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে ভেবেচিন্তে নেওয়া উচিত হবে। তাছাড়া চুল ও স্কিনের হাইড্রেশন বজায় রাখতে ঈদের আগের দিন ভালো করে কন্ডিশনিং করুন।
ঈদের সাজ মানে কেবল বাহ্যিক রূপচর্চা নয়, বরং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। তাই পোশাক, সাজ ও স্টাইল সবকিছুতে আরাম এবং ব্যক্তিত্বের ছাপ রাখুন। এতেই ফুটে উঠবে আসল সৌন্দর্য। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর স ন দর আফর জ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ আজ, কোথায়, কখন, কোন দল

ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল।

বিক্ষোভের আগে বায়তুল মোকাররম, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় দলগুলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি চলবে।

প্রায় অভিন্ন দাবিতে সাতটি দল তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায়, আগামীকাল শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে দলগুলোর।

জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচি পালন করবে। সাতটি দলের কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ দফা, কেউ ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন। দাবিগুলো হচ্ছে

জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (কেউ কেউ উচ্চকক্ষে) সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সাড়ে চারটায় জামায়াত

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।জোহরের পর ইসলামী আন্দোলন

জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আসরের পর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ কর্মসূচিতে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ছাড়া খেলাফত মজলিস বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এতে দলের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।

একই সময়ে, একই জায়গায় মিছিল করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও। বিকেল চারটায় একই জায়গায় বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।

আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজধানীর মধ্য এলাকায় একযোগে সাতটি দলের বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের সমাগমে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য নগরবাসী দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে পারেন। যদিও আজ ও আগামীকাল সকালে বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এই সাত দল কর্মসূচি বিকেলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ