ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান। ভালোবেসে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। এই দুই নায়িকার সন্তানের বাবাও হয়েছেন তিনি। তবে কারো সঙ্গেই সংসার জীবন স্থায়ী করতে পারেননি। অপু-বুবলী দুজনেই এখন শাকিবের জীবনে অতীত। তবে শাকিবের প্রতি প্রক্তন দুই স্ত্রীর ভালোবাসা এখনো কমেনি। তাই তো জন্মদিনের প্রথম প্রহরে শাকিবকে শুভেচ্ছা জানালেন অপু-বুবলী।

সিনেমার দৃশ্যে দুজনার একটি ফ্রেম ফেসবুকে পোস্ট করে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন জীবন্ত মেগাস্টার শাকিব খান।’ হ্যাসট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, আমার শাহরুখ খান।

এদিকে সাবেক স্বামীর প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীও। তিনি লিখলেন, ‘শুভ জন্মদিন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মহারাজা শাকিব খান। মাঝে জুড়ে দিলেন ভালোবাসার ইমোজি।

শাকিব খানের জন্মদিন আজ (২৮ মার্চ)। শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী ও মা গৃহিণী। অভিনেতার এক ভাই ও এক বোন। তার শৈশব কেটেছে নারায়ণগঞ্জে। ১৯৯৯ সালে নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাকিব খান। তবে দর্শকের মনে ‘কিং খান’ হিসেবে জায়গা করে নিতে শুরু করেন ২০০৭ সাল থেকে।

ঢাকাই সিনেমার বড় তারকা শাকিব খান এখন পর্যন্ত চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। টালিগঞ্জেও বেশ জনপ্রিয় তিনি। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘জানের জান’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘ঠেকাও মাস্তান’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘মুখোশধারী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘খুনি শিকদার’, ‘আমার স্বপ্ন তুমি’, ‘সিটি টেরর’, ‘পিতার আসন’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘তুই যদি আমার হইতি রে’, ‘১ টাকার বউ’, ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’, ‘মাই নেম ইজ সুলতান’, ‘ডেয়ারিং লাভার’, ‘দুই পৃথিবী’, ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’ ও ‘দরদ’।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ