গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী উড়ালসড়কের পশ্চিম পাশে তাকওয়া বাসের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা এক দম্পতিসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই দম্পতির দুই সন্তানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। 

রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী উড়ালসড়কের পশ্চিম পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত দম্পতি হলেন- টাঙ্গাইল কালিহাতি উপজেলার ঘোড়িয়া এলাকার আনসার আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৩) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন। 

আহতরা হলেন, নিহত দম্পতির ছয় বছরের মেয়ে ও এক বছরের ছেলে। অপর তিনজন হলেন, কোনাবাড়ী এলাকার এনামুল (৩০), মানিকগঞ্জ জেলার ধামরাইয়ের অজিত চরণ (৪৫) ও তার পিতা গোঙ্গাচরণ (৮০)।

স্থানীয়রা জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি অটোরিকশা উল্টো পথে আসছিল। এমন সময় তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রার দিকে যাওয়ার সময় কোনাবাড়ী দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। অটোরিকশায় থাকা স্বামী-স্ত্রী, তাদের দুই সন্তান ও চালকসহ সাত জন ছিলেন। তারা সবাই আহত হন। মেডিকেলে নেওয়ার পথে ওই দম্পতিসহ তিন জনের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের চাচাত ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর তাদেরকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে আনার সময় পথে মারা যায়। তাদের দুই সন্তানকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, “সকালে তারা বাড়ির উদ্দেশ্য টাঙ্গাইল আসার জন্য অটোরিকশায় করে কোনাবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। তারা দুজনেই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।” 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো.

নজরুল ইসলাম বলেন, “রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বেপরোয়া গতির তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তিনজনের বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

অ্যাম্বুলেন্স চালক সুমন বলেন, “কোনাবাড়ি হাসপাতালের সামনে থেকে পাবলিক আমাকে ডেকে নিয়ে আহতদের গাড়িতে তুলে দেয়। তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী মারা গেছে। টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে তাদের এক মেয়ে ও ছেলে সন্তানকে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঠিকানা খুঁজে ওই স্বামী-স্ত্রীর লাশ তাদের বাড়িতে দিয়ে আসছি।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ