তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে ঈদে তাঁরা কী করেন, কোথায় যান কিংবা পারিবারিকভাবে কীভাবে তাঁরা ঈদের দিন উৎযাপন করেন- প্রায়ই এসব প্রশ্ন করেন ভক্তরা। অভিনেত্রী মনিরা মিঠু জানালেন, বড় হওয়ায় পর এখন আর আগের মতো ঈদের আনন্দ নেই। এখন ছোটদের আনন্দ দেখতেই বেশি ভালো লাগে তাঁর।

ছোটবেলা ঈদের স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে মনিরা মিঠু সমকালকে বলেন, ‘ছোটবেলায় নতুন জামা-কাপড় পড়ে হৈহুল্লোর করে ঘুরতে বেরিয়ে যেতাম। এখন আর সেটা হয় না। এখন রান্না নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। মেহমানদের আপ্যায়ন করতে হয়। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। বড় হয়ে গেছি- এখন ছোটদের আনন্দ দেখি।’ ঈদের দিন নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী মনিরা মিঠু। 

একেবারেই ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তখন থেকেই দাদিও বড় ভাইদের কাছে সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন তিনি।

মনিরা মিঠু কথায়, ‘সেই অর্থে আমি আমার মাকে দেখিনি। মা-বাবার বিষয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সত্যি কথা বলতে, বাবা-মা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। ঈদের দিনের অভিজ্ঞতা তো থাক দূরের কথা।’

ছোটবেলার ঈদের দিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমার ভাই অভিনেতা তোফাজ্জল হোসেন সাদিক (চ্যালেঞ্জার) ও মেজভাই জীবিত ছিলেন। সবাই মিলে ঈদ করতাম। আনন্দ ছিল। ভাইয়েরা এখন নেই। বোনটাও এখন অসুস্থ। মেজভাইকে ছাড়া দ্বিতীয়বার ঈদ করতে হচ্ছে। তাদের কথা চিন্তায় আসলে খুব খারাপ লাগে। যা হোক, পরিবার নিয়ে এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনার আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন সুস্থ থাকি, আগামী ঈদটা যেন সুস্থভাবে করতে পারি।’

এবার ঈদে ছোট ও বড় পর্দায় পাওয়া যাবে মনিরা মিঠুকে। তার মধ্যে ‘দাগি’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন তিনি। এছাড়া বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ঈদে আমার অভিনীত দাগি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এখানে আছেন আফরান নিশো, তমা মির্জাসহ আরও অনেকে। এখান দর্শক আমাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে পাবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মন র ম ঠ অভ ন ত র ঈদ র দ ন আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ