‘আমার দায়িত্ববোধের অভাব রয়েছে’- বড় ইনিংস খেলা নিয়ে তানজীদ
Published: 6th, April 2025 GMT
ভালো শুরু কিংবা সেট হওয়ার পর হঠাৎ করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসাকে যেন ‘নিয়ম’ করে ফেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এ কারণে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু কিংবা কোনো ব্যাটার ভালো ইনিংস খেলার পরও, স্কোরবোর্ডে সবসময় আরও কিছু রানের আক্ষেপ থেকে যায়।
বড় ইনিংস খেলতে না পারা নিয়ে প্রশ্নে জাতীয় দলের ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম দোষটা দেখছেন নিজেরই, “আমি মনে করি এখানে (ইনিংস লম্বা করা নিয়ে) আমার দায়িত্ববোধের কিছু অভাব রয়েছে। আমি এখন থেকে চেষ্টা করবো, ডিপিএলেও চেষ্টা করতেছি দায়িত্ব নিয়ে কিভাবে দলকে হেল্প করতে পারি।”
রোববার মিরপুরে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তানজীদ। এ সময় তিনি জানান ভুল শুধরে সামনে বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করবেন, “আমি ভালোভাবে শুরু করতে পারছি মাঝখানে হয়তোবা আমি ক্যারি করতে পারছি না। আশা করি এখান থেকে জিনিসটা নিয়ে কাজ করলে পরবর্তীতে কাজে লাগবে।”
আরো পড়ুন:
সুপার লিগের টিকিট পাওয়ার লড়াই
মিরপুরে খেলতে নেমেই ঘূর্ণিজাদুতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রাতুলের ফাইফার
তামিম ইকবাল ২০২৩ বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়ায় ওপেনিংয়ে নবাগত তানজীদ ছিলেন ভরসা। প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ কিছুর আভাস দিলেও মূল মঞ্চে ছিলেন নিষ্প্রভ। ভারতের বিপক্ষে ভালো শুরু করে ৫১, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে থেমেছেন ৩৬ রানে। তানজীদ তার ২৩ ম্যাচের ক্যারিয়ে ত্রিশের ঘরে আউট হয়ছেন ৩ বার আর বিশের ঘরে ৭ বার। তিন ফিফটি থাকলেও একবারও ছুঁতে পারেননি তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার।
দায়িত্ববোধ বাড়ানো উচিৎ জানিয়ে তানজীদের ভাষ্য, “আসলে এমন কিছু না দেখেন, এটা দায়িত্ববোধের বিষয়। এ রকম অবস্থায় সামনে যদি আরও পড়ি আমাকে দায়িত্ববোধ আরও বাড়ানো উচিৎ। সেভাবে আরও হার্ডওয়ার্ক করা উচিত।”
২০২৩ বিশ্বকাপের পর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলেছেন তানজীদ। দুই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে সামনে বড় কিছুর প্রত্যাশা করছেন কি না? তানজীদ বলেন, “বড় কিছু করা নিয়ে আমি এভাবে চিন্তা করি না। আমি চেষ্টা করি দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য। অনেক সময় দেখবেন ইনিংস শুরু করা অনেক কঠিন সব ব্যাটারদের জন্য।”
ঢাকা/রিয়াদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।