ভালো শুরু কিংবা সেট হওয়ার পর হঠাৎ করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসাকে যেন ‘নিয়ম’ করে ফেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এ কারণে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু কিংবা কোনো ব্যাটার ভালো ইনিংস খেলার পরও, স্কোরবোর্ডে সবসময় আরও কিছু রানের আক্ষেপ থেকে যায়।

বড় ইনিংস খেলতে না পারা নিয়ে প্রশ্নে জাতীয় দলের ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম দোষটা দেখছেন নিজেরই, “আমি মনে করি এখানে (ইনিংস লম্বা করা নিয়ে) আমার দায়িত্ববোধের কিছু অভাব রয়েছে। আমি এখন থেকে চেষ্টা করবো, ডিপিএলেও চেষ্টা করতেছি দায়িত্ব নিয়ে কিভাবে দলকে হেল্প করতে পারি।”

রোববার মিরপুরে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তানজীদ। এ সময় তিনি জানান ভুল শুধরে সামনে বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করবেন, “আমি ভালোভাবে শুরু করতে পারছি মাঝখানে হয়তোবা আমি ক্যারি করতে পারছি না। আশা করি এখান থেকে জিনিসটা নিয়ে কাজ করলে পরবর্তীতে কাজে লাগবে।”

আরো পড়ুন:

সুপার লিগের টিকিট পাওয়ার লড়াই

মিরপুরে খেলতে নেমেই ঘূর্ণিজাদুতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রাতুলের ফাইফার

তামিম ইকবাল ২০২৩ বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়ায় ওপেনিংয়ে নবাগত তানজীদ ছিলেন ভরসা। প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ কিছুর আভাস দিলেও মূল মঞ্চে ছিলেন নিষ্প্রভ। ভারতের বিপক্ষে ভালো শুরু করে ৫১, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে থেমেছেন ৩৬ রানে। তানজীদ তার ২৩ ম্যাচের ক্যারিয়ে ত্রিশের ঘরে আউট হয়ছেন ৩ বার আর বিশের ঘরে ৭ বার। তিন ফিফটি থাকলেও একবারও ছুঁতে পারেননি তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার।

দায়িত্ববোধ বাড়ানো উচিৎ জানিয়ে তানজীদের ভাষ্য, “আসলে এমন কিছু না দেখেন, এটা দায়িত্ববোধের বিষয়। এ রকম অবস্থায় সামনে যদি আরও পড়ি আমাকে দায়িত্ববোধ আরও বাড়ানো উচিৎ। সেভাবে আরও হার্ডওয়ার্ক করা উচিত।”

২০২৩ বিশ্বকাপের পর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলেছেন তানজীদ। দুই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে সামনে বড় কিছুর প্রত্যাশা করছেন কি না? তানজীদ বলেন, “বড় কিছু করা নিয়ে আমি এভাবে চিন্তা করি না। আমি চেষ্টা করি দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য। অনেক সময় দেখবেন ইনিংস শুরু করা অনেক কঠিন সব ব্যাটারদের জন্য।”

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা

অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।

সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।

স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হুতিদের হামলায় সৌদি যুবরাজের লোহিত সাগর বন্দর পরিকল্পনা কি ভেস্তে যাবে
  • গাজায় নৃশংসতা চালিয়ে ইসরায়েল কি পশ্চিমা বিশ্বেও একঘরে হয়ে যাচ্ছে
  • স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাকেতার
  • কলকাতায় বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেপ্তার , দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের
  • কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
  • ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে চার পরিবর্তন
  • কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
  • গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
  • মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
  • দলবদলের বাজারে চেলসিই রাজা, শীর্ষ দশে আর কারা