চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল। আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন। একই দাবিতে আগামীকাল সোমবার চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কক্সবাজার অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন সৌরভ।

অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সৌরভের হাতে ধরা পোস্টারে লেখা ছিল, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আর কত লাশ চাই?’ পাশে প্রেসক্লাবের গ্রিলে সাঁটানো আরেকটি পোস্টারে লেখা ছিল ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ অথবা ৪ লাইন করার দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি’।

বিকেল ৪টা থেকে একা দাঁড়িয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সৌরভ। এই সময় তিনি সড়কটিতে সম্প্রতি সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন।

সৌরভ বলেন, ‘আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হোক। এখনই চার লাইনের কাজ শুরু করা হোক। এখন কালুরঘাট সেতু হচ্ছে। এটা হলে এই সড়কের ওপর আরও বেশি চাপ বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘আমি ১১টি লাশ দেখেছি। লাশগুলো নিজ হাতে হস্তান্তর করেছি তাঁদের স্বজনদের কাছে। আর কোনো লাশ দেখতে চাই না।’

আরও পড়ুনঈদের ছুটির আট দিনে সড়কে নিহত ১৩২: বিআরটিএ১২ ঘণ্টা আগে

একই দাবিতে আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কক্সবাজার অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন সৌরভ। কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তিনি এই লংমার্চ করবেন।

সৌরভ প্রথম আলোকে জানান, ১১টি প্রতীকী লাশ নিয়ে তাঁরা লংমার্চ করবেন। এতে কোনো ব্যানার থাকবে না। পটিয়া, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলায় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। পরে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুনচট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত বেড়ে ১০০২ এপ্রিল ২০২৫

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হন। হতাহতদের শুশ্রূষা ও দাফন কাফনে সৌরভ পালসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেন।

আরও পড়ুনলোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৫৩১ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে

ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
 
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।  

ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।

সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
 
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’ 

আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’ 

সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • সোনাপুর-নোবিপ্রবি সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণে অংশীজন সভা
  • ‘কৃষির উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে’
  • মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
  • ‘মরণ রাস্তার মোড়ে’ সড়ক দুর্ঘটনা, বিক্ষোভ
  • শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: শ্রম উপদেষ্টা
  • ২৪ কিলোমিটারের দুঃখ দুই উপজেলাবাসীর
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে