ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কাল হেরেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল লিভারপুল। লা লিগায় সর্বশেষ রাউন্ডে জিততে পারেনি শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে থাকা শীর্ষ দুই দল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। সিরি ‘আ’র শীর্ষ দল ইন্টার মিলানও সর্বশেষ ম্যাচে জয় পায়নি। শিরোপাপ্রত্যাশীদের বাজে এক সপ্তাহে অবশ্য জিতেছে বুন্দেসলিগার এক নম্বর দল বায়ার্ন মিউনিখ।

এ সপ্তাহেই ছয় ম্যাচ হাতে রেখে ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে পিএসজি। ফুলহামের কাছে সর্বশেষ ম্যাচে হারলেও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুল এখনো নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১১ পয়েন্টে এগিয়ে। তবে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের অন্য দুটিতে শিরোপা লড়াই এখনো জমজমাট।

হোঁচট খেল লিভারপুল, প্রতিদ্বন্দ্বীরাও

সপ্তাহের প্রথম ম্যাচে আর্সেনালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলকে ১৪ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল এভারটন। ফুলহামের কাছে হেরে সুযোগটা নিতে পারেনি লিভারপুল। তবে এখনো আর্সেনালের চেয়ে ১১ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা লিভারপুলই শিরোপা জয়ে অবিসংবাদিত ফেবারিট। চ্যাম্পিয়ন হতে শেষ সাত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট দরকার দলটির। তবে আর্সেনাল যেভাবে ‘সাহায্য’ করে যাচ্ছে, তাতে এত পয়েন্ট না–ও লাগতে পারে আর্নে স্লটের দলের। শিরোপার লড়াইটা প্রায় একপেশে হয়ে গেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পাওয়ার লড়াইটাকে জমজমাটই বলতে হয়। শীর্ষ তিন দল লিভারপুল, আর্সেনাল ও নটিংহাম ছাড়াও লড়াইয়ে আছে চেলসি, ম্যানচেস্টার সিটি, অ্যাস্টন ভিলা ও নিউক্যাসল।

আরও পড়ুনম্যারাডোনা: কখনো দেবতা, কখনো বিপ্লবী, আবার কখনো জোচ্চোর ও মাদকসেবী২ ঘণ্টা আগেলড়াইটা এখন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের

কিছুদিন আগেও ত্রিমুখী শিরোপার লড়াই ছিল লা লিগায়। তবে হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ একটু পিছিয়ে পড়েছে। টানা তিন ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর পর অবশ্য এ সপ্তাহে জিতেছে আতলেতিকো। মাদ্রিদের আরেক ক্লাব রিয়াল এ সপ্তাহে হেরে গেছে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে। তাতে বার্সেলোনা সুযোগ পেয়েছিল ৬ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু হান্সি ফ্লিকের দল রিয়াল বেতিসের সঙ্গে ড্র করায় বার্সা ও রিয়ালের ব্যবধান এখন ৪ পয়েন্টের। আগামী মাসের এল ক্লাসিকোই হয়তো নির্ধারণ করে দেবে কারা চ্যাম্পিয়ন হবে এবারের লা লিগায়।

আরও পড়ুনডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপদের মুখে ২০২৬ বিশ্বকাপ৪ ঘণ্টা আগেইন্টারের ঘাড়ে নাপোলির তপ্ত নিশ্বাস

সিরি ‘আ’তে লড়াইটা এখন দ্বিমুখী। ৩১ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা ইন্টার মিলান সর্বশেষ ম্যাচে ড্র করেছে পার্মার সঙ্গে। এক ম্যাচ কম খেলে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা নাপোলি সুযোগটা নিতে পারে কি না, দেখার বিষয় সেটিই। আজ রাতে পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা বোলোনিয়াকে হারালে ইন্টারের সঙ্গে ব্যবধানটা ১ পয়েন্টে নামিয়ে আনবে নাপোলি। ইতালিতেও চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইটা জমজমাট। সাত-আটটি দলের সুযোগ আছে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেওয়ার।

আরও পড়ুন১৫ বলে ফিফটি করে যত রেকর্ড পারভেজ হোসেনের২০ ঘণ্টা আগেবায়ার্নই শীর্ষে, তবে…

ছয় ম্যাচ হাতে থাকতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার লেভারকুসেনের চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ। টানা তিন ম্যাচে জিতে লেভারকুসেন অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে লাগামটা এখনো জার্মানির সবচেয়ে সফল ক্লাব বায়ার্নের হাতেই। শেষ ছয় ম্যাচের দুটিতে বায়ার্নের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও লাইপজিগ। এই দুই বাধা পেরোতে পারলে বায়ার্নের হাতেই হয়তো উঠবে শিরোপা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর স ন ল ইন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ও আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নবজাতকসহ তাদেরকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই রাতেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম হাসপাতালে) নেওয়া হয়। 

অভিযুক্ত চিকিৎসক পার্থ সমদ্দার কলাপাড়া পৌর শহরের জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক এবং চেয়ারম্যান।শিশুটির

স্বজনদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রসব বেদনা নিয়ে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন লালুয়ার ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রফিকুলের স্ত্রী মিম বেগম। ওই রাতেই মিমের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. পার্থ সমদ্দার। সিজারের কিছুক্ষণ পরই টিকার কথা বলে নবজাতকের পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। পরের দিন থেকেই নবজাতকের বাম পা ফুলতে শুরু করে এবং কান্না বাড়তে থাকে। বিষয়টি চিকিৎসক ও নার্সদেরকে অবহিত করলে তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো ওই ক্লিনিকের কর্মী ও নার্সরা নবজাতকের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণের পাশাপাশি তাদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে অন্যত্র এক্সরে করে জানা যায়, সিজারের সময় নবাজতকের পা ভেঙে ফেলেছেন চিকিৎসক। 

নবজাতকের মা মিম আক্তার বলেছেন, বাচ্চা অনবরত কান্না করলে প্রথমে নার্স ও পরে চিকিৎককে অবহিত করা হয়। বাচ্চার বাম ফুলে গেলে তা জানানো হয়। কিন্তু, তারা এর কোনো প্রতিকার না করে আমাদের ধমকাতে থাকেন। ক্লিনিক ছেড়ে চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন। 

নবজাতকের নানা সিদ্দিক বলেন, টিকার কথা বলে আমার নাতিকে শরীর অবশ করার ইনজেকশন দিয়েছিল নার্সরা। ইনজেকশনের কার্যকারিতা শেষ হওয়ার পরপরই আমার নাতি অনেক কান্না করে। আমার স্ত্রী নার্সদের বললে তারা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। আমাদের সঙ্গে ক্লিনিকের সবাই অনেক খারাপ আচরণ করেছে। এভাবে রোগীদের সঙ্গে প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্মকর্তারাও যদি অসদাচরণ করে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?

সিজারের সময় নবজাকের পা ভাঙেনি, দাবি করে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দার বলেছেন, আমি শিশু বিশেষজ্ঞ নই। নবজাতককে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেছেন, যদি সিজারিয়ান অপারেশনের প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে এনেস্থেসিস্টও সিজার করতে পারেন। তবে, এনেস্থেসিস্ট একাই সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারেন না।

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ