নোয়াখালীতে শিক্ষার্থী-জনতার বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
Published: 7th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতা। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের গণপূর্ত ভবনের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মিছিল নিয়ে জেলার প্রধান সড়কের মোহাম্মদীয়া মোড় থেকে টাউন হল মোড় এলাকায় জড়ো হয়। কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকেও অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। শিক্ষার্থীরা সড়কের গণপূর্ত ভবনের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ চলাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো.
এদিকে একই দাবিতে দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে জেলা শহরে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে কিছুক্ষণ অবরোধ করে রাখেন। শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র গণহত য গণহত য র ইসর য় ল অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়াল
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (১১ জুন) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ১২৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৭৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৫ হাজার ১০৪ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯৪ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
আরো পড়ুন:
গাজা নীতির বিরোধিতাকারী পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে বলল যুক্তরাজ্য
গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধ ‘লজ্জাজনক কেলেঙ্কারি’: ম্যাক্রোঁ
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
অব্যাহত হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক অবরোধ আরোপ করেছে, যার ফলে এর জনসংখ্যা, বিশেষ করে উত্তর গাজার বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ঢাকা/ফিরোজ