ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতা। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের গণপূর্ত ভবনের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মিছিল নিয়ে জেলার প্রধান সড়কের মোহাম্মদীয়া মোড় থেকে টাউন হল মোড় এলাকায় জড়ো হয়। কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকেও অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। শিক্ষার্থীরা সড়কের গণপূর্ত ভবনের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভ চলাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো.

আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর ওপর বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে, তা নজিরবিহীন। আমরা এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। ইসরায়েলের এই গণহত্যার বিপক্ষে সারা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

এদিকে একই দাবিতে দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে জেলা শহরে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে কিছুক্ষণ অবরোধ করে রাখেন। শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র গণহত য গণহত য র ইসর য় ল অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে। ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র লড়াই থেকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে।

সম্প্রতি আরএসএফ এল-ফাশের শহরটি দখল করার পর এর বাসিন্দাদের নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে।

পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও সংঘাতের শুরু

১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।

বশিরের প্রায় তিন দশকের শাসনের অবসানের দাবিতে বিশাল জনবিক্ষোভ হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সামরিক-বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারটিকে উৎখাত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দেশটির কার্যত প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি ও আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।

এই দুই জেনারেল দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপে একমত হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে মূল বিরোধের বিষয় ছিল প্রায় এক লাখ সদস্যের আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং নতুন এই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে। ধারণা করা হয়, দুজন জেনারেলই তাঁদের ক্ষমতা, সম্পদ ও প্রভাব ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।

আরএসএফ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সেই লড়াই দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে এবং আরএসএফ খার্তুমের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও প্রায় দুই বছর পর সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।

জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান (বামে) এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (ডানে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
  • সুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন
  • সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
  • একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল
  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী