ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা, দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ
Published: 7th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সোমবার (৭ এপ্রিল) সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। রাইজিংবিডি ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক, জেলা প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য ও ছবি নিয়ে প্রতিবেদন।
মিছিলে উত্তাল ময়মনসিংহ
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে মিছিলে মিছিলে উত্তাল ময়মনসিংহ নগরী। সোমবার সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ নগরীর টাউন হল মোড়ে জড়ো হন। এ সময় মাথায় কালো কাপড় ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুল ইসলাম খান বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি সকাল থেকে চলমান রয়েছে। সেসব কর্মসূচি যেন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সে লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”
কক্সবাজারে মিছিল
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন উপজেলা ও শহরে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। সোমবার দুপুরে এসব মিছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
আরো পড়ুন:
মার্কিন শুল্ক পুনর্বিবেচনা চেয়ে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি
কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ জনতা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আহমদ আলী, সাধারণ সম্পাদক জি এম তাওহীদ আনোয়ার প্রমুখ।
আশুলিয়ায় বিক্ষোভ
গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে সাভারের আশুলিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসের ‘ইয়ার্ন শেড’ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কালীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। সোমবার কালীগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কালীগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণে শেষে কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পথসভায় মিলিত হয়।
কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ
কিশোরগঞ্জে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ বিক্ষোভ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহীদি মসজিদ চত্বরে কিশোরগঞ্জ সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচিতে সবার অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে বিভিন্ন ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যানারে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
যশোরে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনে চলমান নির্মম গণহত্যা ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে যশোরের ছাত্র-জনতা। সকাল ১১টায় শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে যশোর ঈদগাহ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ নাটোরে
দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে নাটোরে ফিলিস্তিনি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সর্বদলীয় তৌহিদি জনতা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন হেফাজতে ইসলাম নাটোর জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
ধামরাইয়ে মিছিল-সমাবেশ
ঢাকার ধামরাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ অংশ নেয়। সোমবার উপজেলার থানা রোড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এসে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান তারা। পরে মিছিল নিয়ে ঢুলিভিটা হয়ে ধামরাই বাজারসহ পৌরসভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
নরসিংদীতে ক্লাস বর্জন
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন নরসিংদীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন উপজেলার সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
ঝিনাইদহে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনে হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঝিনাইদহবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়।
বিক্ষোভে উত্তাল রাঙামাটি
রাঙামাটিতে সকালে ‘নো ওয়ার্ক, নো ক্লাস’ কর্মসূচির পর দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সাধারণ মানুষ শহরের দোয়েল চত্ত্বরে যোগ দেন। সেখানে প্রতিবাদকারীরা ইসরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন। এছাড়া সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে রাঙাামটির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ
গোপালগঞ্জে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়া সমাবেশে বক্তারা ইসরাইল-আমেরিকান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
[ প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন কাঞ্চন, মিলন, সাব্বির, রফিক, রুমন, রিটন, আরিফুল, হৃদয়, সোহাগ, শংকর, বাদল ও তারেকুর ]
ঢাকা/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ব ক ষ ভ কর ইসর য় ল স মব র ব র হয় শহর র উপজ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে দেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে: তারেক রহমান
শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী অপশক্তি রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ নিতে ওত পেতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সরকারের যেকোনো ভুল সিদ্ধান্তে দেশে গণতন্ত্রে উত্তরণের যাত্রাপথকে সংকটে ফেলে দিতে পারে। দেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ, চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। কাজেই এ ব্যাপারে সবাইকে বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
ঢাকার সাভারে শ্রমিক-ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এ ‘নারকীয় আশুলিয়া স্মরণে’ আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার বিকেলে সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সমাবেশে বলেন, জুলাই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে এই সাভার–আশুলিয়ায় শ্রমিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে। হত্যা করে শ্রমিকদের লাশগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। লাশের সঙ্গে এমন বর্বরতা, লাশের সঙ্গে এমন নির্মমতা, মনে হয় কারবালার নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে। ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টের পতনের দিন, সাভার আশুলিয়ায় গণহত্যা চলেছিল, মানুষের ওপর গণহত্যা চলেছিল।
জনগণ একটি ইনসাফভিত্তিক গণতান্ত্রিক মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে, আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ হটিয়ে রাষ্ট্র রাজনীতিতে জনগণের অধিকার, আইনের অধিকার প্রতিষ্ঠার আশায়, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আশায় তাঁরা (শহিদেরা) আত্মত্যাগ করেছেন। আজ যদি শ্রমজীবী, কর্মজীবী মানুষ জানতে চায়, সেই শহীদদের আত্মা যদি জানতে চায়, গণ–অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবী মানুষ শাহাদাত বরণ করেছে; কিন্তু বর্তমানে সরকারে ও প্রশাসনে শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের অবস্থান কি? পলাতক ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে বর্তমানে রাষ্ট্র সংস্কারের যে কর্মযজ্ঞ চলছে, সেখানেই বা তাদের প্রতিনিধিত্ব কোথায়?
তারেক রহমান বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, একজন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে নির্বাচন। প্রতিটি নাগরিক যাতে নিজের কথা নিজে বলতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করার স্বার্থে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে অগ্রাধিকার দেয়। স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন প্রতিটি স্তরে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নিজের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেলে রাষ্ট্র ও সরকারে জনগণের ইচ্ছা প্রাধান্য পাবে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। শিক্ষাঙ্গন, স্থানীয় সরকার কিংবা জাতীয় সরকার—প্রতিটি ক্ষেত্রে বিএনপি জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার পক্ষে। কিন্তু এসব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকার নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারছে কি না, এটি একটি বিরাট প্রশ্ন এই মুহূর্তে জনগণের সামনে।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনাদের সন্তান, স্বজনের মৃত্যু দেশ এবং জনগণকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে। দেশ আপনার শহীদ সন্তানের কাছে ঋণী, প্রতিটি শহীদ পরিবারের কাছে রাষ্ট্র এবং সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। বিএনপি আসন্ন নির্বাচনে জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সাভার আশুলিয়া কিংবা অন্য কোনো সুবিধাজনক এলাকায় শ্রমজীবী, কর্মজীবী মানুষের আত্মত্যাগের সম্মানে একটি বিশেষ স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।’
বুধবার বেলা তিনটায় আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার দারুল ইহসান মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির এ জনসভা শুরু হয়। সভার শুরুতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণ–অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের উপস্থিত পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, এমন কিছু করবেন না, যাতে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়। ছোটখাটো বিষয়গুলো নিয়ে এমন অবস্থা তৈরি করবেন না, যে অবস্থায় আবার সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোনো সুযোগ পায় দেশে ফিরে আসার।’
গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা ও আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আহত ও শহীদ, বিশেষ করে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেবে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করবে। কিন্তু সেটি কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেটি আমি জানি না।’
ক্ষমতায় চিরদিন টিকে থাকার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্বরোচিতভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। গোটা জাতি শেখ হাসিনার বিচার চায় বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন এবং সেখান থেকে অডিও–ভিডিও ভার্সনে এ দেশে আবার নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য, বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। গোপালগঞ্জে ইতিমধ্যে তাঁরা (আওয়ামী লীগ) সেটি তৈরিও করেছে। জাতিকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি), চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সহসভাপতি খন্দকার শাহ মইনুল হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান মোহনসহ সাভার ও ধামরাই উপজেলা এবং এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।