ঢাকা দক্ষিণে মশকনিধন কর্মীরা হাজিরা দিয়ে যান চা খেতে, খোঁজ নিলে শুরু হয় কাজ
Published: 8th, April 2025 GMT
মশকনিধনে ওষুধ ছিটানোর কথা ছিল সাতজনের; কিন্তু কাজে যান তিনজন। তাঁরাও আবার ওষুধ ছিটানোর কাজ করেন মাত্র আধা ঘণ্টা। সেটিও এই প্রতিবেদক গিয়ে খোঁজ নেওয়ার পর। গত রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে মশকনিধনের এই চিত্র দেখা যায়।
মশকনিধন কর্মীদের কাজ দেখতে রোববার দিনভর দক্ষিণ সিটির তিনটি ওয়ার্ডে ঘুরেছেন এই প্রতিবেদক।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে রজ্জব আলী সরদার রোড, মুরাদপুর হাইস্কুল রোড, মাদ্রাসা রোড, পোকার বাজার এলাকা ঘুরে মশকনিধন কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে এই ওয়ার্ডের মশক সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিসে তিনজন এসেছিলেন। বাকি তিনজন আগামীকাল (গতকাল সোমবার) কাজে যোগ দেবেন।
সেগুনবাগিচা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের এই আন্ডারগ্রাউন্ডেই মশা মারার সব ওষুধ ও যন্ত্রপাতি রাখা হয়। গত রোববার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কর্মীদের কাউকেই এখান থেকে ওষুধ ও যন্ত্রপাতি নিয়ে বের হতে দেখা যায়নি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।