হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হলে ফিরে পাবেন যেভাবে
Published: 9th, April 2025 GMT
ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষতিকর ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে সেগুলো সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। সাধারণত স্প্যাম বার্তা পাঠানো, মেসেজ ফরওয়ার্ড করা, অনুমোদনহীন তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার এবং নীতিমালাবহির্ভূত কার্যক্রমের জন্য অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে অনেক সময় ভুলবশতও নিষেধাজ্ঞার শিকার হন কেউ কেউ। হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করা না হলে আপিলের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হলে তা ফিরে পাওয়ার কৌশল জেনে নেওয়া যাক।
অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হলে প্রথমেই জানতে হবে অ্যাকাউন্টটি হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে কি না। হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে থেকে হেল্পস ট্যাবে ক্লিক করে টার্মস অ্যান্ড প্রাইভেসি পলিসি অপশনে ক্লিক করলেই হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। যদি মনে হয় যে অ্যাকাউন্টটি ভুলবশত নিষিদ্ধ হয়েছে, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে আপিল করতে হরে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে প্রবেশ করে নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত বার্তাটি দেখতে হবে। এরপর ‘রিকোয়েস্ট আ রিভিউ’ অপশন নির্বাচন করলেই মোবাইল নম্বরে ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ। এরপর নম্বরটি কাজে লাগিয়ে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন নিষেধাজ্ঞাটি অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যে ৪ কৌশলে বেশি হ্যাক করা হয়২১ মার্চ ২০২৫অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধের পর যদি আপিলের সুযোগ না থাকে, তাহলে ই-মেইলের মাধ্যমেও আপিল করা যাবে। এ ক্ষেত্রে এই ঠিকানায় ([email protected]) ই-মেইল পাঠিয়ে ফোন নম্বর (দেশের কোডসহ) উল্লেখ করতে হবে এবং নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইতে হবে। সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে হবে কেন মনে হচ্ছে অ্যাকাউন্টটি ভুলবশত নিষিদ্ধ হয়েছে। ব্যবহারকারীর আবেদন পর্যালোচনার পর হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়ে দেবে নিষেধাজ্ঞাটি প্রত্যাহার করা হবে কি না।
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে যে ৫ কারণে০৩ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প অ য হ য় টসঅ য প র ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত