চট্টগ্রামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ, গ্রেপ্তার ৪
Published: 9th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হযেছে।
ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নগরের খুলশী, চকবাজার, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালী থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়। মামলাগুলোতে কয়েক হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে দুইজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী। তারা হলেন- খাইরুল নূর ইসলাম ও মো.
সোমবার ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে অন্তত ২৫টি সংগঠন মিছিল বের করে। এর মধ্যে মিছিল থেকে নগরের জিইসি এলাকায় কেএফসি, পিৎজা হাট ও ডোমিনোজ পিৎজ্জাসহ পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে একদল লোক। এ ছাড়া নগরের লালখানবাজার পুমা, বিরিয়ানি এক্সপ্রেস, নগরের কাজীর দেউড়িতে খোয়াজা রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়েছে। আসকার দীঘিরপাড়ে একটি দোকানের ফ্রিজ ভাঙচুর করা হয়েছে। চেরাগী পাহাড়ে কেএফসিসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা হয়েছে। আসবাব নষ্ট করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ হামলা করেছে, সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নগরের খুলশী থানার এসআই মোহাম্মদ জালাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
খুলশী থানার ওসি আফতাব হোসেন বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া কোতোয়ালী ও চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া পৃথক দুই মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি’র উপ কমিশনার (দক্ষিণ)। পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর র ঘটন য় নগর র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
আগামীকাল ফের সংস্কারের সংলাপ
ঈদুল আজহার ছুটির পর আগামীকাল মঙ্গলবার ফের শুরু হচ্ছে সংস্কারের জন্য গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এর পর বিরতি দিয়ে আবার শুরু হবে।
গত ২ জুন প্রধান উপদেষ্টা এবং কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংলাপের উদ্বোধন করেন। পরদিন শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ। প্রথম দিনে ৭০ অনুচ্ছেদ, নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটি নিয়ে ঐকমত্য গঠনে ৩০ রাজনৈতিক দল এবং জোটের প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়। প্রথম দিনের আলোচ্য সূচিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও সময় স্বল্পতায় তা হয়নি। প্রথম তিন ইস্যুতেও আলোচনা অসমাপ্ত থাকে।
আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া সংলাপে এই তিন ইস্যুতেও আলোচনা হবে। আলোচ্য সূচিতে রয়েছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া। সংলাপ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিটিভিতে। সভাপতিত্ব করবেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।