বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিজিটাল বিভাজন কাঠামো। তথ্য আদান-প্রদানে আন্তসংযোগ বা ইন্টারঅপারেবিলিটির ঘাটতির কারণে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল অর্থনৈতিক সেবা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা ও ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে জাতীয় পর্যায়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড নীতিমালা তৈরি এবং দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা প্রয়োজন। পাশাপাশি তথ্য সুরক্ষায় সময়োপযোগী আইনি কাঠামো ও নীতিমালার বাস্তবায়ন দরকার।

ঢাকার একটি হোটেলে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের শেষ দিনে আজ বৃহস্পতিবার ‘ডিজিটাল অর্থনীতি’ শীর্ষক অধিবেশনে এমন অভিমত দেন বক্তারা।

সূচনা বক্তব্যে সিটির এদেশীয় পরিচালক মইনুল হক বলেন, ‘আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছি। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা, ব্লকচেইন, ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মতো প্রযুক্তি আমাদের জীবনধারা ও কাজের ধরন বদলে দিচ্ছে। ব্যবসার পরিবেশকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলেছে।’

মইনুল হক আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল অর্থনৈতিক খাতে আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। বিশেষ করে আইটি সেবা, ইলেকট্রনিকস, সেমিকন্ডাক্টর ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে। সে জন্য এ খাতে সুযোগ বাড়াতে বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক ও সরকারের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন গড়ে তুলে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।

এই অধিবেশনে ‘নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতি’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, এই খাতে এ ধরনের বাধা কাটিয়ে উঠতে হলে ডিজিটাল পাবলিক অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার চলতি মাসেই একটি নতুন সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্স গেজেট আকারে প্রকাশ করবে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা অতীতে ব্যবসার সুরক্ষার কথা ভেবে তথ্য ভাগাভাগি করতে চাইনি। তবে এখন আমাদের সবাইকে এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী আরও বলেন, নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষায় ‘ডিজিটাল পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট’ তৈরি করা হবে, যার আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি ‘ইন্টারঅপারেবিলিটি অথরিটি’ গঠিত হবে। এর মাধ্যমে আন্তসংযোগ তথ্য আদান-প্রদানে মানদণ্ড তৈরি করা হবে।

সম্মেলনে উপস্থিত বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের নীতিগত সাহায্য প্রদানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুবিধার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ, উচ্চগতির ইন্টারনেট, অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি ও শুল্ক কাঠামোসহ সব সুবিধা দেওয়া হবে। তবে এর বিপরীতে আমাদের প্রয়োজনীয় ও দক্ষ কর্মসংস্থান দিতে হবে।’

এরপর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়, যেখানে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রায়োগিক দিক ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। ডিজিটাল অর্থনীতিতে সাইবার সুরক্ষা, তথ্য সুরক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতি, ক্লাউড ফার্স্ট পলিসির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

একই অধিবেশনে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অগ্রগতিতে নীতিমালা ও প্রযুক্তির প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা সঞ্চলনা করেন সিটিব্যাংক এনএ বাংলাদেশের ট্রেজারি অ্যান্ড ট্রেড সলিউশনসের পরিচালক মোহাম্মদ এ আখের। সভায় তথ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন মেটার বাংলাদেশ ও নেপালের পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারওয়ার। তিনি বলেন, তথ্য সুরক্ষায় প্রয়োজন উপযুক্ত আইন ও নীতিমালা। পাশাপাশি উদ্ভাবন ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করা জরুরি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা খুবই প্রয়োজন। তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা ছাড়া উদ্ভাবনের পথে এগোনো সম্ভব নয়।

‘বিনিয়োগে সাফল্যের গল্প’ শীর্ষক আলোচনায় গ্রামীণফোনের বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান। তিনি বলেন, এই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দরকার বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস থেকেই গ্রামীণফোন আজ একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। এ সময় তিনি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করা বেশ চ্যালেঞ্জের। তবে চেষ্টা ও বিশ্বাস থাকলে সবকিছু সম্ভব।

গ্রামীণফোনের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা অট্টো ম্যাগনে রিসব্যাক বলেন, তথ্য সুরক্ষায় অর্থায়ন ও দক্ষতা-এই দুইয়ের গুরুত্ব এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে এ খাতের নীতিমালা প্রণয়ন শুরু করেছে, যা বেশ ইতিবাচক। তবে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের বাস্তবতায় বাংলাদেশকে তথ্য সুরক্ষা খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।

অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি এশিয়ার সাউথ পাবলিক সেক্টর সলিউশনসের প্রধান রোহিত জামওয়াল, অ্যান্ট ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও সরকারবিষয়ক সম্পর্কের পরিচালক ইনফান ঝাং এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দেবদুলাল রায়।

উবারের এশিয়া–প্যাসিফিকের পাবলিক পলিসি ও সরকারি সম্পর্কবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক মাইক ওরগিল বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল ও তথ্য-সম্পর্কিত নীতিমালা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তথ্য সুরক্ষা ছাড়া কার্যকর ডিজিটাল ইকোসিস্টেম সম্ভব নয়।

ডিজিটাল পেমেন্টের ভবিষ্যৎ ও ডিজিটাল অর্থনীতির উত্থান বিষয়ে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, বিকাশের শুরুতে নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনা ছিল বড় চ্যালেঞ্জের। প্রচলিত ব্যাংকিং পদ্ধতি মূলত মুনাফাকেন্দ্রিক। প্রতিটি গ্রাহকের চাহিদা বা সামর্থ্য অনুযায়ী সেবা কাস্টমাইজ করার সুযোগ ছিল না। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে সেই চিত্র এখন বদলাতে শুরু করেছে। গ্রাহকেরা এখন বিকাশের মাধ্যমে সঞ্চয়ও করছেন।

অধিবেশনের শেষ পর্যায়ে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উত্তরণ ও এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারক উলকাসেমাইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুরু করেছিলাম চারজন প্রকৌশলী নিয়ে। আমাদের পথচলা মোটেও সহজ ছিল না। তবে আজ উলকাসেমাই বিশ্বের শীর্ষ সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।’

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে দক্ষ মানবসম্পদ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করে বের হচ্ছেন। এই বিপুলসংখ্যক কর্মীকে প্রশিক্ষিত করে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে কাজে লাগানো উচিত আমাদের।’

এ ছাড়া অধিবেশনটিতে গ্রিনকুয়েস্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা মাসহুক রহমান, বন্ডস্টেইন টেকনোলজিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম, মেটলাইফ বাংলাদেশের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর সাদেক চৌধুরীসহ দেশি–বিদেশি অনেক উদ্যেক্তা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ত ত ম ব দ ধ মত ত কর মকর ত প বল ক আম দ র ব যবস সরক র উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

হয়রানির অবসান চান ব্যবসায়ীরা

কর আদায়ের নামে হয়রানি ও জটিলতার অবসান চেয়েছেন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে উৎপাদন পরিচালনার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। আগামী অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর যৌথ আয়োজনে এনবিআরের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এ দুটি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ছিল বেশি। 

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সভাপতিত্ব করেন। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ এবং ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান। সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক হাফিজুর রহমান।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ভ্যাট আদায়ে কিছু অযৌক্তিক কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এগুলো ভ্যাট কর্মকর্তারা আটকে রেখে অযথা সময়ক্ষেপণ করেন। এতে ব্যবসায়ীরা নানা ঝামেলায় পড়েন। এসব পরিহার করতে হবে। 

ব্যবসা-বাণিজ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বেড়েছে উল্লেখ করে বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, এক সময় বস্ত্র খাতের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ছাড়পত্র বিটিএমএর পক্ষ থেকেই দেওয়া হতো। কিন্তু এনবিআর পুরো বিষয়টি নিজের হাতে নেওয়ার পর জটিলতা বেড়েছে। প্রতিটি ধাপে ছাড়পত্র নিতে হয়। দেখা যায়, ৩০ হাজার টাকা শুল্ককর জমা দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, তারা কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেও দুই বছরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। তার ভাষায় ‘আমরা বিদেশিদের বিনিয়োগের জন্য ডাকছি। অথচ নিজের দেশের উদ্যোক্তারা জ্বালানি সংকটে ভুগছেন।’

মোস্তফা কামাল বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেকের ব্যাংক হিসাব এবং করনথি তল্লাশি করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ঢালাওভাবে তল্লাশি করে ব্যবসায়ীদের যাতে হয়রানি করা না হয়, সে জন্য এনবিআরের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। 

বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, এইচএস কোড নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। এগুলো দূর করতে হবে। তিনি বলেন, ফাইবার রিসাইকেলের ক্ষেত্রে মোট ২২ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। অথচ অন্যান্য দেশ এ ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেন। তাই তিনি এ ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানান। 

এমসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম বলেন, করের আওতা সম্প্রসারণের আলোচনা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এতে যারা কর দেন, তাদের ওপর প্রতিনিয়ত চাপ বাড়ছে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ দরকার। তাছাড়া ব্যবসা পরিচালনার অনেক খরচ অনুমোদন হয় না। তাই ঘোষিত হারের চেয়ে কার্যকর কর অনেক বেড়ে যায়। 

ঢাকা চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি রাজীব চৌধুরী বলেন, সরকারের মোট রাজস্বের ৮৪ শতাংশ আসছে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে। অন্যান্য জেলা থেকে রাজস্ব আসছে না। এসব জেলা থেকে কর আদায় বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে তিনি কর প্রদান সহজ করার ওপর জোর দেন। 

সভায় ব্যবসা ও বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়নে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি  সুনির্দিষ্ট এবং গঠনমূলক বাজেট প্রস্তাবনা দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। 

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক-সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক হাফিজুর রহমান। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। তৈরি পোশাকসহ সব রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো ০.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা, কার্যকরি কর হার কমিয়ে আনা এবং শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোতে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ