Samakal:
2025-09-18@03:08:57 GMT

গাজার জন্য সমব্যথী নারী

Published: 12th, April 2025 GMT

গাজার জন্য সমব্যথী নারী

গাজা। চোখ বন্ধ করলে ধ্বংসস্তূপ, লাশের সারি, আহাজারি ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। আকাশ সংস্কৃতির যুগে এখন চোখ মেলেই তা দিন-রাত দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। কখন নিষ্পাপ শিশুর ঘুমিয়ে থাকার মৃতদেহ, কখনও খুলি ভাঙা মৃতদেহ। কিংবা বুকের মধ্যে সন্তানের লাশ জাপটে ধরে রাখা নিশ্চুপ বাবার বেদনায় জর্জরিত দৃষ্টি। শেষে একজন সাংবাদিকের জীবন্ত পুড়ে মৃত্যুর তিক্ত স্বাদ গ্রহণের দৃশ্য দেখল বিশ্ববাসী। এমন মানবিক বিপর্যয়ে সারাবিশ্বের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছে বাংলাদেশও। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হচ্ছে প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদে নারীর চিন্তার জায়গায় গাজা কীভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে, তা নিয়ে বলেছেন প্রতিবাদী দুই নারী।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, গাজার অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে মানবতাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা নিরপরাধ নারী ও শিশুদের বছরের পর বছর হত্যা করছে এবং বছর দুই আগে আমি একটা সংবাদে দেখেছিলাম, ইসরায়েলের সংসদে রীতিমতো পরিকল্পনা করে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে– যেন গাজা নির্বংশ হয়ে যায়। যাতে ফিলিস্তিনে নতুন মানবপ্রাণের জন্ম না হয়। এ রকম খুনি ও বিকৃত মানসিকতার মানুষদের ধিক্কার জানানোর কোনো ভাষা হয় না। তবু আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি। তীব্র ক্ষোভ জানানো ছাড়া আর কিছু করার নেই বিধায় এ মুহূর্তে নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগে। আমার শক্তি ও সামর্থ্য থাকলে ইসরায়েলকে তার উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতাম। আমেরিকায় একজন কৃষ্ণাঙ্গকে যখন হত্যা করা হয়, তখন যে ব্ল্যাক লাইফস ম্যাটার আন্দোলন হলো– সেদিকে তাকালে বোঝা যায়, স্থানভেদে মানুষের জীবনের মূল্য পরিবর্তিত হয়; এর চেয়ে হতাশাজনক আর কিছু হয় না। পুরো মানবসভ্যতার সব কথা থেমে যায় এ একটি জায়গায় এসে। 
তিনি আরও বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ দুটো। এক.

আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন একটা দয়ালু মনোভাব নিয়ে বড় হতে পারে এবং দুই. একই সঙ্গে তারা যেন আপসহীনতাও শেখে। কোনো পরিস্থিতিতে যেন তারা আপস না করে। এ দুটো বিষয় আমাদের প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়াকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। 
গাজার এ সংকট তো আমাদের জন্মেরও বহু আগের। বুঝতে শেখার পর থেকে দেখতাম টেলিভিশনে গাজার একই ধরনের সংবাদ। এ সংঘাতগুলো আমরা দেখে অভ্যস্ত। আমাদের মা-বাবা যখন ক্ষুব্ধ হয়েছেন, নিজেরা যখন ক্ষোভ করে আলোচনা করতেন শুনতাম, তখন থেকে ভেতরে বিষয়গুলো গেঁথে গেছে। সব থেকে বেদনাদায়ক বিষয় হলো, আমাদের যে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এ ক্ষোভ– সেটির সঠিক বহিঃপ্রকাশ যে আমরা করতে পারছি না বা গাজার জন্য সে রকম অর্থে যে আমরা কিছু করতে পারলাম না, এটি আসলে অসহায়ত্বের জায়গাটাকে বাড়িয়ে দেয়। রাফা শহর প্রায় শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক মাধ্যমের বদৌলতে যেসব নির্মম ভিডিও দেখছি, তাতে মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়ার অবস্থা হয় মাঝে মধ্যে। নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে একটি ভিডিও দেখে কয়েক রাত আমি ঘুমুতে পারিনি। ভিডিওটি ছিল, একজন চিকিৎসক মা সেবাদানকালে দেখেন একটি লাশ, যেটি ছিল তাঁর নিজ সন্তানের। মায়ের আর্তনাদ আমি সারাজীবনেও ভুলতে পারব না। আমার মনে হয়, প্রতি দেশে দেশে সীমাবদ্ধ না থেকে বৈশ্বিকভাবে একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই নির্মম যুদ্ধের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা যেতে পারে। তাহলে যত বড় পরাশক্তিই হোক, তারা পিছু হটতে বাধ্য। এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ। কারণ আমাদের ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি যদি আমরা হতে পারি, তাহলে মনে হয়, কোনো একটা পজিটিভ প্রভাবে গাজার যুদ্ধে পরিবর্তন আসতে পারে।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, গাজার গণহত্যাকে আমি এক কথায় বলব এটি নির্মম। এর অন্য কোনো বিশেষণ নেই। সাধারণত যে কোনো যুদ্ধে মৃত্যু ও নির্যাতনের তালিকার শীর্ষে থাকেন নারীরা। আবার অনেক সময় তার ব্যতিক্রমও দেখা যায়, যুদ্ধ হতে পারে– এমন অবস্থান থেকে নারী ও শিশুকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। ইসরায়েল যেভাবে গাজায় প্রতিনিয়ত হামলা করছে, তাতে সব সংজ্ঞা, লিঙ্গভেদকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্বিচারে তারা শুধু হত্যা করে গাজাকে মানবশূন্য ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে চলেছে প্রতিনিয়ত। ব্যক্তিগতভাবে আমি যখন এসব নির্মম দৃশ্য দেখি, তখন ভেতরে একটা চিন্তা চলে, এ রকম মানুষও হয়, যাদের ভেতর মানবিকতা বোধটুকুও নেই। গাজাবাসীর এ হাহাকার দেখে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ছন্দপতন ঘটছে। শিশু হলো পবিত্র, শুদ্ধ ও নিষ্পাপের প্রতীক। শিশুদের ওপর ইসরায়েল যেভাবে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, তা দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হয়। কারণ নিজে থেকে কিছু করার নেই– এ জায়গায় সমবেদনা জানানো ছাড়া। একটি শিশুর হাসি কিন্তু তাদের ছোট্ট মুখ দেখেও মানুষ অনেক কিছু ভুলে যায়। ইসরায়েল প্রতিনিয়ত গাজার অসহায় শিশুদের দেখেও তাদের ধ্বংসলীলা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। এটি আমাকে বেশি অবাক করে দেয়। মনুষত্ব্যের মৃত্যু কোথায় গিয়ে ঠেকলে এভাবে শিশু হত্যা করা হয়, শিশুর মৃতদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। আমি লৈঙ্গিক চিহ্নিতকরণ জায়গা থেকে নারী-পুরুষ-শিশু হিসেবে বলব না, বলব মানুষ হত্যা করার যে দৃশ্যগুলো দেখছি প্রতিনিয়ত, তাতে আরও বেশি ঘৃণা তৈরি হচ্ছে ইসরায়েলের প্রতি। বিশেষভাবে শিশুদের কথা না চাইলেও বলতে হয়। আমার ভেতরে প্রশ্ন জাগে, শিশুরা একটা জায়গায় রয়েছে– সেটি জানা সত্ত্বেও কী করে তারা সেখানে নির্বিচারে বোমা ফেলতে পারে? এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো প্রত্যেক মানুষেরই দায়িত্ব বলে মনে করি। মানবিকতার তাগিদে আমি ফিলিস্তিনের জন্য প্রতিবাদে শামিল হয়েছি। তবে দিন শেষে গাজার গণহত্যা নিয়ে কীভাবে নিজের মনোভাব ভাষায় প্রকাশ করা যায়, তা আমার জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, তবে সারা পৃথিবী যেভাবে জেগে উঠেছে, এর কিছুটা প্রভাব ও চাপ অবশ্যই ইসরায়েল অনুভব করবে বলে মনে করি। হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে যদি সবাই সোচ্চার না হই, তাহলে পরবর্তী সময়ে এ ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের মুখে আমাদের মতো ছোট দেশও পড়তে পারে। এর থেকেও বড় বিষয়, মানবিকতার বিনাশ ঘটবে পৃথিবীতে। বিশ্বজুড়ে যে প্রতিবাদী কণ্ঠ তৈরি হয়েছে, এর বড় একটা প্রভাব পড়বে এই রক্তপিপাসু হত্যাযজ্ঞের খেলায়। কারণ মানুষ বিশ্বাস ও আশা নিয়ে বেঁচে থাকে। সেটি যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত। v

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল আম দ র অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে

বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০

বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী

প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। 

দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।

হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী। 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”

 

শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।

লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।

স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, ‍“হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?” 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”

বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
  • সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
  • ৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে