দালাল ধরে কাজ করায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য গ্রাহকদের
Published: 13th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) রাজশাহী অফিসে বেশ কিছু সেবার জন্য গ্রাহকেরা প্রতিদিনই ভিড় করেন। কেউ আসেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে, কেউ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, নম্বর প্লেটের কাজ করতে, ফিটনেস নবায়নের জন্যও আসেন কেউ কেউ।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর এই কার্যালয়ে দিনব্যাপী অবস্থান করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। কাজ কীভাবে করাচ্ছেন—গ্রাহকদের কাছে এমন প্রশ্ন করতেই বেশির ভাগ উত্তর দিলেন, দালালের মাধ্যমে করাচ্ছেন। নিজে কিছু জানেন না। এই না জানার কারণে গ্রাহকের পকেট থেকে অতিরিক্ত দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়।
গ্রাহকদের ভাষ্য, কাজ করতে এসে নানা রকম হয়রানি হতে পারে, সময় লাগতে পারে; এ কারণে তৃতীয় পক্ষের (দালাল) মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেন তাঁরা।
আর বিআরটিএ কর্মকর্তারা বলছেন, সেবার মান বাড়লেও সময় বাঁচাতে গিয়ে এবং অলসতার কারণে বাড়তি টাকা বাইরে দিচ্ছেন গ্রাহকেরা।
চিরচেনা ভিড় নেই
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টা। নগরের নওদাপাড়া আমচত্বরের পাশেই বিআরটিএ অফিস। অফিসের গেট খুলে গেছে। সেবা নিতে আসা কেউই নেই। নয়টা বাজতেই কয়েকজন মোটরসাইকেল চালিয়ে এলেন। এসে তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন। তাঁদের দুজন গোদাগাড়ী উপজেলার আলফাজ মিয়া ও মো.
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেল, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য কার্যক্রম অনলাইনে পুরোপুরি করা যায়। আগে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে সেবাগ্রহীতাকে অন্তত চার থেকে পাঁচবার বিআরটিএতে আসতে হতো। এখন একবার এলেই হয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট কার্ড হয়ে গেলে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ধাপ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে গ্রাহক মুঠোফোনে খুদে বার্তাও পাচ্ছেন।
তবে স্মার্ট কার্ড নিতে আসা সবুজ জানালেন, তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাজ করতে নির্ধারিত ফির চেয়ে দুই হাজার টাকা বেশি লেগেছে। তিনি দালালের মাধ্যমে কাজটি করিয়ে নিয়েছেন।
রাজশাহী বিআরটিএতে সেবা নিচ্ছেন গ্রাহকেরা। নেই আগের মতো লাইন। ছবিটি গত বৃহস্পতিবারেরউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র হক র ব আরট এ ক জ কর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।