‘বাবা’র পাশে না থাকায় স্ত্রীকে রিয়া মনিকে বয়কটের ঘোষণা দিলেন হিরো
Published: 16th, April 2025 GMT
মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের পালক পিতা আবদুর রাজ্জাক। হাসপাতালে আবদুর রাজ্জাক যখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন, সে সময় তার পাশে ছিলেন না পুত্রবধূ রিয়া মনি। এজন্য রিয়া মনিকে জীবন থেকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন হিরো আলম।
হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দেন, ‘‘রিয়া মনিকে আমার জীবন থেকে বয়কট করলাম।’’
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবা যখন হাসপাতালে ছিলেন তখন পাশে ছিলেন না রিয়া মনি। এমনকি তার পরিবারের অন্য কোনো সদস্যও আসেনি।’’
আরো পড়ুন:
মারা গেছেন হিরো আলমের বাবা
অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ মারা গেছেন
উল্লেখ্য, রিয়া মনি হিরো আলমের তৃতীয় স্ত্রী। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়া মনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে সময়ই হিরো আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে হিরো আলম রিয়া মনিকে বিয়ে করেন। এরপরে তারা জুটিবেঁধে বেশ কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েট করেছেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা হতে আসিনি, তবে...
গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।
আইমন শিমলা