রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কৃষি মন্ত্রণালয় দুটি প্রস্তাবের মাধ্যমে মরক্কো থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি ও ‘যশোর এক্সপোর্ট প্রসেজিং জোন’ প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের পৃথক দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব ৩টিতে মোট ব্যয় হবে ৬২০ কোটি ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৫৭২ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, বিএডিসির মরক্কো থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করা হয়। ইতোঃপূর্বে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তসমূহ অভিন্ন রেখে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কো থেকে ৫ম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৬২২.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে ২ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৩০৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রস্তাবটিতে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মরক্কো থেকে ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৩.৭২ লাখ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত আমদানি ২.৯৫ লাখ মেট্রিক টন।

এছাড়া সভায় টেবিলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মরক্কো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়ে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সারের দাম ৪৪৫.০০ মার্কিন ডলার হিসেবে এই সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, সভায় ‘যশোর এক্সপোর্ট প্রসেজিং জোন’ প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের-এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য ওয়ান স্টেজ টু এনভেলপ টেন্ডারিং পদ্ধতিতে পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি দরপ্রস্তাব জমা হয়। তাদের মধ্যে ২টি দরপত্র রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা যৌথভাবে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এবং খোকন কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে  ১৫৪ কোটি ৩ লাখ ৭ হাজার ৫৭২ টাকা। প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নের জন্য ৭৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৯১ ঘনমিটার মাটি ভরাট করা হবে।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ট র ক টন স র আমদ ন প রকল প র প রস ত ব র আওত য় মরক ক

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ