সার আমদানি ও ইপিজেড এলাকায় ভূমি উন্নয়নে ব্যয় ৬২০ কোটি টাকা
Published: 17th, April 2025 GMT
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কৃষি মন্ত্রণালয় দুটি প্রস্তাবের মাধ্যমে মরক্কো থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি ও ‘যশোর এক্সপোর্ট প্রসেজিং জোন’ প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের পৃথক দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব ৩টিতে মোট ব্যয় হবে ৬২০ কোটি ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৫৭২ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভা সূত্রে জানা যায়, বিএডিসির মরক্কো থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করা হয়। ইতোঃপূর্বে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তসমূহ অভিন্ন রেখে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কো থেকে ৫ম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৬২২.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে ২ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৩০৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রস্তাবটিতে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মরক্কো থেকে ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৩.৭২ লাখ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত আমদানি ২.৯৫ লাখ মেট্রিক টন।
এছাড়া সভায় টেবিলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মরক্কো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়ে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সারের দাম ৪৪৫.০০ মার্কিন ডলার হিসেবে এই সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, সভায় ‘যশোর এক্সপোর্ট প্রসেজিং জোন’ প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের-এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য ওয়ান স্টেজ টু এনভেলপ টেন্ডারিং পদ্ধতিতে পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি দরপ্রস্তাব জমা হয়। তাদের মধ্যে ২টি দরপত্র রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা যৌথভাবে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এবং খোকন কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৫৪ কোটি ৩ লাখ ৭ হাজার ৫৭২ টাকা। প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নের জন্য ৭৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৯১ ঘনমিটার মাটি ভরাট করা হবে।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ট র ক টন স র আমদ ন প রকল প র প রস ত ব র আওত য় মরক ক
এছাড়াও পড়ুন:
৩৫ দিনে হিলি বন্দরে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি
গত ৩৫ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার, কিছু ক্ষেত্রে ৫৪০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এসময় সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল।
হিলির খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, “ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫১ থেকে ৫২ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ কেজি হিসেবে। আশা করছি আগামীতে আরো কমবে।”
আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “২ শতাংশ শুল্কে আমরা চাল আনছি। ৫২০-৫৪০ ডলার দরে আমদানি হচ্ছে। এতে বাজারে দামের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে।”
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২৪২১টি ট্রাকে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল এসেছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে।
ঢাকা/মোসলেম/এস