পাকিস্তানের কাছে হারলেও যেভাবে বিশ্বকাপে যেতে পারে বাংলাদেশ
Published: 19th, April 2025 GMT
বছরের শুরুতে উইন্ডিজের কাছে সিরিজ হেরেই শেষ হয়েছিল সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার আশা। গত বৃহস্পতিবার ক্যারিবীয় মেয়েদের কাছে হেরেই হুমকির মুখে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। তাই বলে সবকিছু একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। আজ শেষ গ্রুপ ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারাতে পারলে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবেন জ্যোতি-শারমিনরা। এমনকি অল্প ব্যবধানে হারলেও বিশ্বকাপে যাবেন তারা। এজন্য অন্যান্য খেলার ফলের ওপর নির্ভর করতে হবে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রীতিমতো উড়ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান নিয়েছিল তারা। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে এসে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। উইন্ডিজের কাছে হারে ৩ উইকেটে। অথচ এ ম্যাচ জিততে পারলে পাকিস্তানের মতো তারাও এক ম্যাচ হাতে রেখে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যেত। কিন্তু এ দিন ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগে ব্যর্থ হয় তারা। ব্যাটিংয়ে দারুণ ফর্মে থাকা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি মাত্র ৫ রানে বোল্ড হয়ে যান। ফারজানা ও শারমিন বড় জুটি গড়লেও অন্যরা ব্যর্থ হন। বল হাতে ক্যারিবীয়দের চাপে রাখতে পারলেও শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেননি নাহিদা-ফাহিমারা।
ছয় দলের এই বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। টানা চার ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। চার ম্যাচে তিন জয় নিয়ে বাংলাদেশ আছে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে। চার ম্যাচের দুটি জিতে তাদের পরে আছে স্কটল্যান্ড ও উইন্ডিজ। আয়ারল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের আসর শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় স্থানের জন্য এখন বাংলাদেশ, স্কটল্যান্ড ও উইন্ডিজের মধ্যে লড়াই হচ্ছে।
এ তিন দলের মধ্যে বাংলাদেশ কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। আজ পাকিস্তানকে হারাতে পারলে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে। এর কারণ হলো বাংলাদেশের নেট রান রেট (১.
২০২৫ নারী বিশ্বকাপের আসর বসবে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে ভারতে। বাংলাদেশ মাত্র একবারই ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টটি খেলেছে, ২০২২ সালে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ বক প র উইন ড জ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।