কিলিয়ান এমবাপ্পের সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। রিয়াল মাদ্রিদে নিজেদের প্রথম মৌসুমটা মনমতো হয়নি তাঁর। এরই মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তাঁর দল রিয়াল মাদ্রিদের। অথচ এমবাপ্পের পিএসজি ছাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল অধরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা।

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ই শুধু নয়, লা লিগা শিরোপাও এখন এমবাপ্পেদের হাত ফসকে যাওয়ার পথে। এমবাপ্পের দুঃসময় অবশ্য এটুকুতেই আটকে নেয়। নতুন খবর হচ্ছে, এমবাপ্পের দলও নাকি এবার অবনমিত হয়ে গেছে। নাহ, রিয়াল সমর্থকদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এমবাপ্পে যে ক্লাবে খেলছেন, সে ক্লাব নয়, অবনমিত হয়েছে মূলত ফরাসি তারকার মালিকানাধীন ক্লাব কাঁ।

গত কয়েকটা দিন রীতিমতো আতঙ্কে কেটেছে এমবাপ্পের। লা লিগায় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে মারাত্মক ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। এরপর চ্যাম্পিয়নস লিগেও আর্সেনালের বিপক্ষে লিখতে পারেননি প্রত্যাবর্তনের গল্প। আর এসবের সঙ্গে এবার যুক্ত হলো নিজের মালিকানাধীন ক্লাবের অবনমন।

আরও পড়ুনরোনালদো থেকে এমবাপ্পে: ক্লাবের মালিক হয়েছেন যে ফুটবলাররা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরোতে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব কাঁর ৮০ শতাংশ মালিকানা কিনে নেন এমবাপ্পে। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী ক্লাবমালিকের তালিকায়ও নাম লেখান বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।

ক্লাবটির সঙ্গে এমবাপ্পের অন্য রকম এক সম্পর্কও আছে। ২০১৩ সালে মোনাকোর একাডেমিতে যোগ দেওয়ার আগে কাঁতে নাম লেখানোর কথা ছিল তাঁর। এমবাপ্পের পরিবারের চাওয়াও ছিল তেমন।

তবে ক্লাবটি লিগ আঁ থেকে নিচের স্তরে নেমে যাওয়ায় সেখানে আর খেলা হয়নি তাঁর। শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পে নাম লেখান মোনাকোতে। সেই আক্ষেপ ভুলতেই হয়তো ক্লাবটির মালিকানা কিনে নেন এমবাপ্পে।

আরও পড়ুন২৫ বছর বয়সেই ক্লাবের মালিক হচ্ছেন এমবাপ্পে৩০ জুলাই ২০২৪

ক্লাবমালিক এমবাপ্পের শুরুটা অবশ্য খুব ভালো হলো না। গতকাল রাতে মার্তিগুয়েসের বিপক্ষে ৩-০ গোলের হারে বিব্রতকর এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলো দলটি। ৩১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিত হলো তলানিতে থাকা দলটির অবনমন। এর ফলে ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম তৃতীয় বিভাগে নেমে গেল কাঁ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ন এমব প প এমব প প র

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: এবার কাদের বিপক্ষে, কবে খেলবে বাংলাদেশ?

আইসিসির বৈশ্বিক টেস্ট লিগ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। তিনটি সফল চক্র শেষে চতুর্থ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র, ২০২৫-২৭ মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) গলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট দিয়ে শুরু হবে চতুর্থ চক্রের খেলা।

প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। যার তিনটি দেশের মাটিতে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজ হবে কমপক্ষে দুই টেস্টের। সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। এই সময়ে সিরিজ হবে মোট ২৭টি, যেখানে টেস্টের সংখ্যা ৭১টি। ২০২৭ সালের জুনে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। শেষ তিন আসরের মতো ইংল্যান্ডেই বসবে সাতাশের ফাইনাল। সম্ভাব্য ভেন্যু লর্ডস।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে বাংলাদেশ সাতটি ম্যাচ খেলেছিল। জিততে পারেনি কোনো ম্যাচ। ড্র করেছিল একটি। হেরেছিল ছয়টি। পরের চক্রে ১২ ম্যাচে মাত্র ১ জয়, ১০টাতেই হার।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট পরিসংখ‌্যান

বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দল ঘোষণা

সর্বশেষ টেস্ট চক্রে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ দেশের বাইরে, একটি দেশের মাটিতে জিতেছে। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচে চারটিতে জিতেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল। এছাড়া নিউ জিল্যান্ডকে দেশের মাটিতে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদেশে হারিয়েছিল।

এবারের চক্রে বাংলাদেশ ১২টি ম্যাচ খেলবে। মোট ছয়টি সিরিজ। তিনটি দেশের বাইরে, তিনটি দেশের মাটিতে। দেশের বাইরে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার পর কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেননা দুটি সফরই শেষবারের দুই ফাইনালিস্টদের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে দেশের মাটিতে।    

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্টের পর বাংলাদেশকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের ম্যাচের জন্য ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পাকিস্তান ২০২৬ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফর করবে। ২টি টেস্ট বাদেও ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। ওই বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দেবে। নভেম্বর বাংলাদেশ যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়।

এরপর ২০২৭ সালে ইংল্যান্ড দুই টেস্টের জন্য আসবে ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে বাংলাদেশ যাবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। ২০০৩ সালের পর ২০২৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্র শেষ হবে।

নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা গত বছর (চক্রে) ৭ নম্বরে শেষ করেছি। এই বছর তো অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে যেন ৪-৫-৬ নম্বরের মধ্যে আসতে পারি। তাহলে খুব ভালো হয়।”

“গত বছর (চক্রে) জয়ের হার সম্ভবত ৪৫ শতাংশ (আসলে ৪৫ পয়েন্ট ও ৩১.২৫ শতাংশ) ছিল। এখান থেকে যদি বাড়াতে পারি—৫০-৫৫ বা ৬০ শতাংশ হলে, একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার মনে হয়, ভালো একটা ফল হবে আমাদের।”– যোগ করেন শান্ত।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ