হাজার হাজার আফগানকে বহিষ্কার করছে পাকিস্তান
Published: 20th, April 2025 GMT
পাকিস্তান চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি আফগানকে ফেরত পাঠিয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রবিবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তান অবৈধ আফগান এবং যাদের অস্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি ছিল তাদের বহিষ্কারের অভিযান শুরু করেছে। ৮০ হাজারেরও বেশি আফগানকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তালেবান কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ পরিবারকে পাঠানো হচ্ছে। আগামী মাসগুলোতে প্রায় ২০ লাখ লোক দেশে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তালেবান কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার জন্য শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার কাবুলে গেছেন। তার প্রতিপক্ষ আমির খান মুত্তাকি আফগানদের ফেরত পাঠানো সম্পর্কে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।
সীমান্তে বহিষ্কৃত কিছু আফগান জানিয়েছেন, তাদের পরিবার সংঘাতের কারণে পালিয়ে আসার পর তারা পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, ৩৫ লাখেরও বেশি আফগান পাকিস্তানে বসবাস করছে, যার মধ্যে প্রায় সাত লাখ লোক রয়েছে যারা ২০২১ সালে তালেবানদের ক্ষমতা দখলের পর এসেছিল। জাতিসংঘের অনুমান, তাদের অর্ধেকই অনিবন্ধিত।
পাকিস্তান কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আফগানদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি এখন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে এবং জনসেবা প্রদানের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।