অনেক ব্যাংক ত্রুটিপূর্ণ বিল দেখিয়ে বিদেশি ব্যাংককে আমদানি বিল পরিশোধ থেকে বিরত থাকছে। এর ফলে বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমদানি মূল্য পরিশোধে যে উত্তম চর্চা অনুসরণ করা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকেও তা মানতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিলগুলোকে অর্থ প্রদানের জন্য যোগ্য বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আমদানিকারক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ত্রুটি গ্রহণের বিষয়ে যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিল গ্রহণের ফলে সংশ্লিষ্ট আমদানি পণ্যে কোনো ধরনের পরিবর্তন না ঘটে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আমদানিকারকদের মাধ্যমে প্রাপ্ত আমদানি বিলের বিপরীতে ডেলিভারি অর্ডার প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ ধরনের ডেলিভারি অর্ডার প্রদানের সময় ব্যাংকগুলোকে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে মূল দলিলে কোনো ধরনের ত্রুটি বা বিচ্যুতির প্রশ্ন না ওঠে। এর আগে কাস্টম কর্তৃপক্ষ থেকে পণ্য খালাসের পর বিল অব এন্ট্রি দাখিল সাপেক্ষে ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিল কিংবা আমদানিকারক কর্তৃক সরাসরি প্রাপ্ত বিলের বিপরীতে মূল্য পরিশোধ করা যেত।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আমদানিকারকেরা ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিল গ্রহণ করলেও ব্যাংকগুলো সংশ্লিষ্ট বিলের বিপরীতে মূল্য পরিশোধ করতে পারতেন না। ফলে পণ্য খালাস না হওয়া পর্যন্ত বিদেশি সরবরাহকারীদের মূল্য প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করতে হতো; যা ছিল তাঁদের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে কনফারমেশন চার্জ ও আমদানি ঋণের সুদের হার কমবে, যা আমদানি ব্যয় কমাতে সহায়তা করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র ট প র ণ আমদ ন ম ল য পর শ ধ আমদ ন ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ