Risingbd:
2025-05-01@00:12:53 GMT

বিব্রত ও ক্ষুব্ধ ববিতা

Published: 23rd, April 2025 GMT

বিব্রত ও ক্ষুব্ধ ববিতা

সত্তর ও আশির দশকের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা। অভিনয়গুণে দর্শক মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। চলচ্চিত্রের সংকটময় এই দিনে দীর্ঘদিন ধরে ববিতাকে রুপালি পর্দায় দেখছেন না তার ভক্তকুল। চলচ্চিত্রের কোনো অনুষ্ঠানেও নেই নিযুত-কোটি দর্শকের এই প্রিয় মুখ।

এদিকে খবর রটেছে, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই নায়িকা। এমনকি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে পোস্ট করা হয়, যেখানে ববিতাকে হাতে ক্যানুলা লাগানো অবস্থায় দেখা যায় এবং বলা হয়, তিনি ঘরবন্দি ও অসুস্থ।

এই ধরনের গুজবে ভীষণ ক্ষুব্ধ ও বিব্রত অভিনেত্রী ববিতা। সম্প্রতি ছেলের সঙ্গে কিছু সময় কানাডায় কাটিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে এসব ভুয়া খবরে হতবাক। এ বিষয়ে ববিতা বলেন, “আমি একদম ঠিকঠাক আছি। ছেলের কাছ থেকে কয়েক মাস বেড়িয়ে এলাম। আপাতত দেশে আছি, নিজের মতো করে জীবনটা কাটছে।”

আরো পড়ুন:

সরকারি অনুদানের সিনেমা জমা দেওয়ার সময় বাড়লো

‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’

সবাইকে সতর্ক করে ববিতা বলেন, “আমাদের পরিবারের কেউই ফেসবুক ব্যবহার করি না। তাই এ ধরনের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। এমন আচরণ যারা করছেন, তাদের বিশ্বাস করবেন না।”

যারা এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন, তারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র বা সমাজবিরোধী তথ্য ছড়াতেও পিছপা হবেন না বলেও মনে করেন ববিতা।

কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় এটি। তারপর আর কোনো নতুন প্রজেক্টে তাকে দেখা যায়নি। তবে তার জনপ্রিয়তা এবং চলচ্চিত্রে অবদানের কথা আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন কোটি দর্শক।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ