চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় একটি পিকআপ ভ্যান উল্টে শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন শিশুটির মা-বাবাসহ আরও সাতজন। আজ সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চৌধুরী মার্কেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম জাকিয়া ইসলাম (৫)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন (৩৮), মা লাইজু বেগম (৩০), ভাই মো.

ফয়সাল (১৪), নানি সেলিনা বেগম (৬০), খালা রিমা আক্তার (২৮) ও খালাতো বোন সুমাইয়া আক্তার (৫) ও গাড়ির চালক মো. রায়হান (২৪)।

হতাহত ব্যক্তিরা সবাই পিকআপ ভ্যানটিতে ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাঁদের ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে। এরপর প্রথমে তাঁদের সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত জাকিয়ার বাবা জামাল উদ্দিন ভোলার বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছেন জামাল উদ্দিন। তাই পরিবারসহ চট্টগ্রামে স্থানান্তর হচ্ছিলেন তিনি। আসবাবসহ মালামাল পিকআপ ভ্যানটিতে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পিকআপের সামনে চালক ও সহকারী বসা ছিলেন। জামাল উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পিকআপ ভ্যানের পেছনে রাখা মালামালের ওপর বসে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন।

একটি অ্যাম্বুলেন্সে লাশ তোলা হচ্ছে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প কআপ ভ য ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান

ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।

বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।

অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’

শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ