দিনাজপুরে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানা পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল। কৃষি ও কৃষকের চাহিদা, কারখানা সংশ্লিষ্ট এবং সরকারের সংযোগ করতে কাজ করার কথা জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনের ফলে দাম, সময় সবক্ষেত্রেই সহজলভ্যতা বাড়বে কৃষকদের, কমবে আমদানি নির্ভরতা। কারখানা পরিদর্শন করে এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিনিধি দলটি।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বিষয়ক ওই প্রতিনিধি দলটি দিনাজপুরের উত্তরণ ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের জাতীয় সংহতি কর্মসূচির টেকসই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিশেষজ্ঞ স্কট জাসটিস, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হোসেন, উত্তরণ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফেদ উল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় জানানো হয়, এখন যেসব কৃষি যন্ত্রপাতি আসছে তার বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করা। এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে, তার যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। এতে করে দেশীয় অর্থের অপচয় হচ্ছে, সময় ও ব্যয় বাড়ছে। এমন অবস্থায় দেশের কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানাগুলো হতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিযন্ত্র সমূহ আশার আলো দেখাচ্ছে, যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে স্থানীয়ভাবেই কম মূল্যে ও সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। দেশে বাড়ছে কর্মসংস্থান, কমছে আমদানি নির্ভরতা।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হোসেন জানান, কৃষি যন্ত্রপাতি কিভাবে মানুষের কাছে প্রসারিত করা যায় এজন্য জাতিসংঘের একটি প্রর্বতনা রয়েছে কৃষক মাঠ স্কুল। কৃষক মাঠ স্কুলের সঙ্গে কৃষি যান্ত্রিকরণ সংযুক্ত। এখানে কী কী বিষয় সংযুক্ত করা যায়, কী কী যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় এজন্য আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও জানান, মাঠের কৃষকরা কী ধরনের যন্ত্রপাতি চাচ্ছে সেটির সংযোগ না থাকলে কৃষক তৃপ্ত থাকবে না। এজন্য কৃষকদের সঙ্গে সংযোগ থাকা প্রয়োজন। আমাদের গবেষণাগুলো এভাবে সাজানো। কৃষি ও কৃষক, যন্ত্রপাতি সংশ্লিষ্ট এবং সরকারের সঙ্গে সংযোগ করার কাজটি করা খুবই জরুরি। আর সেটাই আমরা চেষ্টা করছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ