বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আদালতের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ উদ্যোগ নিতে হবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। ভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুসংহত থাকবে। 

শুক্রবার (২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে দেশের সিপাহী-জনতাও এ বার্তাটি দিয়েছিল। গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার বার্তা উপেক্ষা করে পতিত পলাতক স্বৈরাচার দীর্ঘ দেড় দশক স্বাধীন বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। ভবিষ্যতে যাতে আর কখনো বাংলাদেশকে তবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার দুঃসাহস না দেখায় পরাজিত তাবেদার অপশক্তি, তাদের দোসররা যেন আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেটি হোক বাংলাদেশের রাজনীতির বন্দোবস্ত। লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীন বাংলাদেশ, পঁচাত্তরের আধিপত্যবিরোধী তাবেদারমুক্ত বাংলাদেশ,নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী বাংলাদেশ এবং ২০২৪ এর ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশ; বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে মানুষ কেন অকাতরে জীবন দিয়েছিলেন? কী ছিল এই শহীদদের স্বপ্ন? তারা কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন? একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এসব প্রশ্ন খোঁজার জন্য ৫৪ বছর সময় খুব কম নয় বোধহয়। সেজন্য আমি মনে করি, শুধু শহীদদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণের মধ্যে দিয়েই রাজনৈতিক কর্মী বা নেতা হিসেবে আমাদের দায়িত্ববোধ শেষ হয়ে যায় না। শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমেই কেবল আমরা তাদের সুমহান আত্মত্যাগের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করতে পারি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে সরকার গঠন ও পরিবর্তনে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো অভ্যস্ত হয়ে উঠলে বাংলাদেশকে আর কেউ তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করে রাখতে সক্ষম হবে না।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫টি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। রাজনীতির ময়দানে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে, আমি বিশ্বাস করি, দেশের স্বার্থের প্রশ্নে বাংলাদেশের পক্ষের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক ও অভিন্ন। উদ্দেশ্য এবং গন্তব্য এক ও অভিন্ন। কী সেটি? সেটি হচ্ছে দেশের স্বার্থ রক্ষা এবং অবশ্যই জনগণের কল্যাণ সাধন। তবে, যে রাজনৈতিক দলটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে, গণতন্ত্র হারিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসনের জন্ম দিয়েছিল; মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিল, গুম-খুন-অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল, বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল, রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গণতন্ত্রকামী জনগণ দেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তিকে কখনোই মেনে নেবে না।

তারেক রহমান বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে পলাতক স্বৈরাচার জনগণের ভোট ছাড়াই তিন বার অবৈধ সরকার গঠন করে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ আজ জানতে চায়, সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের আগামী দিনের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক করে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বা নিয়েছে? ব্লেইম গেম দিয়ে কিন্তু দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার আগামী দিনে অবশ্যই সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

“পলাতক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলছেন, তাদের আমি বলতে চাই, লুটপাট ও দুর্নীতির শত শত কোটি টাকা হাতে নিয়ে সারা দেশে স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার অপেক্ষায়। স্থানীয় নির্বাচন পলাতক স্বৈরাচারের জন্য পুনর্বাসিত হওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ। যারা বলেছেন, তারা হয়ত এই বিষয়টি বিবেচনা করেননি। আমি অনুরোধ করব, বিষয়টিকে এভাবে বিবেচনা করার জন্য,” যোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। 

তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে শেষ পর্যন্ত কোনো সংস্কারই হয়ত টেকসই হবে না। এ কারণেই রাষ্ট্র-রাজনীতির গুণগত সংস্কার এবং নাগরিকদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, নির্বাচিত জাতীয় সংসদ এবং নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দল নির্বাচনের দাবি জানাবে, এটাই স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রীতি। অথচ, আমরা খেয়াল করছি, কিছুদিন ধরে অত্যন্ত সুকৌশলে দেশে এমন একটি আবহ তৈরির প্রচেষ্টা চলছে, যেখানে নির্বাচনের দাবি জানানোই যেন এক অপরাধ। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অবজ্ঞাসূচক বক্তব্য-মন্তব্য কিন্তু পলাতক স্বৈরাচারকে আনন্দ দেয়। অপরপক্ষে, এটি গণতন্ত্রকামী জনগণের জন্য অপমানজনক। রাষ্ট্র-রাজনীতি মেরামতের জন্য সংস্কারের কর্মযজ্ঞ চলছে। তবে, চলমান সংস্কারের জন্য যদি রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনের দাবিকে অবজ্ঞা করতে হয়, তাহলে সংস্কারের তাৎপর্য কী? এটি বহু মানুষের প্রশ্ন আজ।

দেশের প্রতিটি দল সংস্কারের পক্ষে, এ দাবি করে তারেক রহমান বলেন, সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেন এত সময়ক্ষেপণ করছে, এই নিয়ে জনগণের মনে ধীরে ধীরে প্রশ্ন বাড়ছে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন—বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হকসহ এবি পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক ক গণতন ত র র র জন ত জনগণ র র জন য ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

শরিক ২৯ দলের বৈঠক, বিএনপির সঙ্গে দ্রুত ফয়সালার সিদ্ধান্ত

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ২৯টি দল গতকাল বুধবার বৈঠক করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে দলগুলো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের আসন সমঝোতার বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে দ্রুত একটা ফয়সালায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শরিক দলগুলোর নেতারা মনে করছেন, রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কার, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তি, গণতন্ত্রের উত্তরণে সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন প্রশ্নে বিএনপি যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল, এখন সেখান থেকে দলটির সরে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। বিশেষ করে একসঙ্গে নির্বাচনের প্রশ্নে রাজনৈতিক মিত্র দলগুলোকে এড়িয়ে চলতে দেখা যাচ্ছে। বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তাঁরা বিএনপির সঙ্গে বসতে চাইছেন।

শরিক দলের সূত্রগুলো বলছে, এ বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কথা বলার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারী সাইফুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি গতকাল রাতেই বিএনপির দুজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছেন, তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার অথবা আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে তাঁদের সঙ্গে বসতে চান।

আমরা ২৯ দল বসেছিলাম। আমরা বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কটা ছিন্ন করতে চাই না সংস্কার এবং গণতন্ত্রের উত্তরণের স্বার্থে। তবে এই সম্পর্কে যেন সবার সম্মান, মর্যাদা এবং অধিকারটা থাকে।১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা

গতকাল বিকেলে শরিক দলগুলোর এই বৈঠক হয় নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণতন্ত্র মঞ্চের সাইফুল হক ও জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক, নেজামে ইসলাম পার্টির আশরাফুল ইসলাম, ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়কারী ফরিদুজ্জামান ২৯ দলের নেতারা অংশ নেন।

সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ২৯ দল বসেছিলাম। আমরা বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কটা ছিন্ন করতে চাই না সংস্কার এবং গণতন্ত্রের উত্তরণের স্বার্থে। তবে এই সম্পর্কে যেন সবার সম্মান, মর্যাদা এবং অধিকারটা থাকে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন নেতা বৈঠক করেন।

শরিক দলগুলোর একটি সূত্র জানায়, এ বিষয়গুলো গতকাল রাতের আলোচনায় উঠেছিল। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা এসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল। কিন্তু তারা অপারগ, কারণ মনোনয়নের এ সিদ্ধান্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের আলোচনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আলোচনা অসমাপ্ত রেখে বের হয়ে আসেন। এ বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার সারমর্ম হচ্ছে, সাইফুল হক যে আসনে নির্বাচন করতে চাইছেন, সেখানে বিএনপি তাঁর মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কিছুটা অপারগতার ইঙ্গিত দেয়। এতে সাইফুল হক একমত হতে পারেননি, তিনি আলোচনা অসমাপ্ত রেখে বের হন।

জানা গেছে, সাইফুল হক ঢাকা-৮ আসনে (মতিঝিল-পল্টন-শাহজাহানপুর-শাহবাগ ও রমনা) নির্বাচন করতে আগ্রহী। সেটি সম্ভব না হলে তিনি ঢাকা-১২ আসনে (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল-হাতিরঝিল-শেরেবাংলা নগর আংশিক) নির্বাচন করতে চান। তিনি এই এলাকার বাসিন্দা।

বিএনপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, সেখান থেকে যদি বিএনপি সরে আসে, সেটার দায়দায়িত্ব বিএনপির। আমাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনা অব্যাহত আছে।সাইফুল হক, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক

যদিও দুটি আসনেই বিএনপি গত ২ নভেম্বর প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ঢাকা-৮ আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং ঢাকা-১২ আসনে ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম (নীরব)। ঢাকা-১২ আসনের প্রার্থীকে নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে বেশ আলোচনা-সমালোচনা আছে। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর তাঁর বিরুদ্ধে ‘দখল-চাঁদাবাজির’ অভিযোগ ওঠায় ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়।

শরিক দলগুলোর একটি সূত্র জানায়, এ বিষয়গুলো গতকাল রাতের আলোচনায় উঠেছিল। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা এসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল। কিন্তু তারা অপারগ, কারণ মনোনয়নের এ সিদ্ধান্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের।

আমরা কোনো দলের সঙ্গে বৈঠক করছি না, ব্যক্তিপর্যায়ে কথা বলছি। গতকাল (মঙ্গলবার) সাইফুল হক সাহেব এসেছিলেন। আলোচনা হয়েছে, কথা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম

সাইফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, সেখান থেকে যদি বিএনপি সরে আসে, সেটার দায়দায়িত্ব বিএনপির। আমাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনা অব্যাহত আছে।’

সংশ্লিষ্ট একটি জানায়, মঙ্গলবার রাতের আলোচনায় মিত্র দলগুলোর মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা না হলে বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কের ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়ে আসেন সাইফুল হক।

তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কোনো দলের সঙ্গে বৈঠক করছি না, ব্যক্তিপর্যায়ে কথা বলছি। গতকাল (মঙ্গলবার) সাইফুল হক সাহেব এসেছিলেন। আলোচনা হয়েছে, কথা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিজয় ও বিপর্যয়
  • তারেক রহমান দেশে এলে রাজনীতিতে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে: আমীর খসরু
  • ২৫ তারিখে দেশের রাজনীতিতে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে: আমীর খসরু
  • নির্বাচন না হওয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে: আমীর খসরু
  • একটি দল ভোটের প্রয়োজনে আ.লীগের নাম মুখে নেয় না: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • আওয়ামী লীগের ভোট পেতে একটি দল তাদের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে না: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া
  • তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ: ফখরুল
  • নির্বাচন যত সহজ ভাবা হচ্ছে, তত সহজ হবে না: তারেক রহমান
  • শরিক ২৯ দলের বৈঠক, বিএনপির সঙ্গে দ্রুত ফয়সালার সিদ্ধান্ত