ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের পরবর্তী কোচ কে হবেন এই সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে হবে বলে জানিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। গোপনীয়তার কারণে এখনই আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে কথা বলা সম্ভব নয় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সিবিএফ-এর পরিচালক রদ্রিগো কায়তানো।

তিনি বলেন, ‘সিবিএফে আমি, হুয়ান (নির্বাহী কর্মকর্তা) ও সভাপতি নিয়মিত (এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েজ) নিজেদের মধ্যে বৈঠক করছি। আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব পরবর্তী কোচের নাম চূড়ান্ত করতে। আলোচনা ও গোপনীয়তার কারণে এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাচ্ছে না। আমরা জানি, ব্রাজিলের কোচ নিয়োগ জাতীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহের দিকে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো বলে মনে করছি।’

ব্রাজিলের পরবর্তী কোচ হতে পারেন কার্লো আনচেলত্তি। তিনি বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্বে আছেন। সংবাদ মাধ্যমের মতে, ২৫ মে রিয়ালের লিগ মৌসুম শেষ হবে। এরপরই ব্রাজিলের ডাগ আউটে আসবেন ডন কার্লো। এমনকি মৌসুম শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেও তিনি সেলেসাওদের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলতে পারেন।

তবে সবকিছু নির্ভর করছে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা ম্যাচের ফলের ওপর। আগামী ১১ মে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকো খেলবে দুই দল। ঘরের মাঠের ওই ম্যাচে কাতালানরা জিতলে লা লিগার আশা ছেড়ে দেবে রিয়াল। আর জিতলে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত শিরোপা লড়াই চালিয়ে যাবে লস ব্লাঙ্কোসরা। রিয়াল মাদ্রিদ ওই ম্যাচে হারলে আগেভাগেই চাকরি ছেড়ে ব্রাজিলে আসতে পারেন ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তি।

কার্লো আনচেলত্তির বিকল্পও ভেবে রেখেছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। তাকে না পেলে পর্তুগিজ কোচ হোর্হে জেসুসকে দায়িত্ব দেবে সেলেসাওরা। জেসুস সম্প্রতি সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের চাকরি ছেড়েছেন। পূর্বে তিনি ফ্লামেঙ্গো, বেনফিকা, স্পোর্টিংয়ের মতো ক্লাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল স ব এফ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লার সেই বিএনপিকর্মী ইব্রাহিম মারা গেছেন

ফতুল্লার বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম (৫২) মারা গেছেন। সে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যান।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে হাজিগঞ্জ জামে মসজিদে নিহতের নামাজের জানাজা শেষে পাঠানটুলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

নিহত ইব্রাহিম ফতুল্লা থানার ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড হাজীগঞ্জের আব্দুল জলিলের পুত্র। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।

জানা যায়,২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির ডাকা মহা সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদলের ব্যানারে সে অংশগ্রহণ করে।

সমাবেশের শেষের দিকে মুল মঞ্চের পেছনের দিকে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা,কর্মীও সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশ বিএনপি নেতা- কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

ইব্রাহিম পুলিশের হামলায় মারাত্নক আহত হয়ে রাস্তায় পরে থাকে। সে সময় সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ঘটনার চারদিন পর তার সহোযোগিরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খুঁজে পায়। দীর্ঘদিন সহোযোগিরা নিজেদের অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর আল বারাকা নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা করায়। 

পরবর্তীতে ইব্রাহিমকে নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হলে বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ  বাবুল তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই রোববার রাতে তিনি মারা যান।

ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ পারভেজ মিয়া জানান,নিহত ইব্রাহিম ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঘোষিত পল্টন পার্টি অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও  ইউনিয়ন যুবদলের সাথে ঢাকায় গিয়েছিলেন । 

সমাবেশ চলাকালে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন টিপু  ও নিহত ইব্রাহিম এবং তিনি সহ আরো নেতা-কর্মীরা পল্টন পার্টি অফিস সংলগ্ন  চায়না টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।  হঠাৎ পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়। এতে করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে  পরে।

অতর্কিত হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার  পর  প্রায় চার দিন পর  পত্রিকার নিউজে দেখতে পায় ইব্রাহিম নামে একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সেই সংবাদের পর  তার পরিবারের লোকজন  এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী ঢাকা মেডিকেলে খোঁজ নেওয়ার পরে তারা নিশ্চিত হন যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা চিকিৎসারতি হচ্ছে তাদের নিখোঁজ  ইব্রাহিম।

ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসা শেষ করে তাকে বাসায় আনা হয়। বাসায় আনার পরে উনি আবার অসুস্থ হয়ে পরে। ফলে ৮ নং ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পুনরায় তাকে মদনপুর আল বারাকা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা  শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পরেন। 

এমতাবস্থায় নাসিক ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন তাকে দেখতে আসলে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ পায়। প্রকাশিত সংবাদের পর বিএনপি নেতা শিল্পপতি  প্রাইম বাবুল ভাই তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নেন। 

বাবুল ভাই নিজে এসে তার দাত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমান ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি ইন্তেকাল করেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিত্যপণ্য আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি ব্যবসায়ীদের
  • ফতুল্লার সেই বিএনপিকর্মী ইব্রাহিম মারা গেছেন
  • সোভিয়েত–পরবর্তী দুনিয়ায় জেমস বন্ডের অভিযোজন