পথ ভুলে লোকালয়ে আসা হরিণ সুন্দরবনে অবমুক্ত
Published: 9th, May 2025 GMT
বাগেরহাটের শরণখোলায় পথ ভুলে লোকালয়ে চলে আসা একটি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন বকুলতলা গ্রাম থেকে হরিণটি উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, বেলা ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের বাড়ির পাশে হরিণটি দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন যুবক। পরে তারা হরিণটি ধরে বন বিভাগের উদ্ধারকারী দল ‘ওয়াইল্ড টিমকে’ খবর দেন।
ওয়াইল্ড টিমের সদস্য আলম হাওলাদার বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণটি উদ্ধার করে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হরিণটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণটির ওজন প্রায় ৩০ কেজি।’’
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘‘পথ ভুলে লোকালয়ে চলে আসা হরিণটিকে ওয়াইল্ড টিম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।’’
ঢাকা/শহিদুল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দরবন অবম ক ত
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল পরিচয়পত্র পাচ্ছেন সুন্দরবনের বনজীবীরা, নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকলেই আসবে খুদে বার্তা
সুন্দরবনের বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। এর মাধ্যমে বনজীবীদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখাসহ অপরাধ দমন সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন কর্মকর্তারা বলেন, ডিজিটাল পরিচয়পত্রটির মাধ্যমে কোনো জেলে বা বনজীবী সুন্দরবনের নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে বনরক্ষীরা খুদে বার্তার মাধ্যমে সহজেই তা জানতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সুন্দরবনের সম্পদ সংগ্রহকারীদের ডেটাবেজ তৈরি শেষে বনজীবীদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দিতে পারব।’
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বন বিভাগকে। মন্ত্রণালয়টির উপসচিব কামরুল ইসলামের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সুন্দরবন–সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ বনের মাছ ও কাঁকড়া আহরণ, মধু সংগ্রহ ও গোলপাতা সংগ্রহের ওপর নির্ভরশীল। বনের সুরক্ষার জন্য এই নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে তাঁদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। বনজীবী ছাড়াও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের পৃথক ডেটাবেজ তৈরির বিষয়েও বলা হয়েছে।
এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে জেলেরা বন বিভাগের কার্যালয়ে না গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে রাজস্ব জমা দিয়ে সুন্দরবনে ঢুকতে পারবেন। আর কার্ডধারী কোনো জেলে সুন্দরবনের নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে প্রবেশ করলে বনরক্ষীদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ চলে যাবে। সেখানে স্পষ্ট বোঝা যাবে, কোন জেলে নিষিদ্ধ এলাকায় যাচ্ছেন।
স্মার্টকাডটি কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, ওই স্মার্ট কার্ডে একটি কিউআর কোড থাকবে। ওই কিউআর কোড দিয়ে বনজীবীদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। তাদের ছবি, ঠিকানা, কবে বনে ঢুকেছেন, কবে বের হবেন, কোন জাল দিয়ে মাছ শিকার করবেন, কত টাকা রাজস্ব দিয়েছেন—সব তথ্য ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা যাবে।