ঢাকার ধামরাইয়ে দুই ব্যক্তিকে প্রাইভেকারে যাত্রী হিসেবে তোলার পর অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরানো হয়। পরে ভুক্তভোগীদের চিৎকার শুনে চার অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন পথচারীরা।  

শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে ধামরাই উপজেলার চাওনা এলাকায় ওই চার অপহরণকারীকে আটক করা হয়। তারা হলেন—জয়নাল (৩৮), মোশারফ হোসেন (৪২), মেহেদী হাসান (২৭) এবং আব্দুল আজিজ (৩২)। 

অপরণের শিকার হয়েছিলেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার কাশিয়াহাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) এবং একই এলাকার গোলাম হোসেনের ছেলে টুটুল মিয়া (৩০)।

পুলিশ জানিয়েছে, বগুড়ায় যাওয়ার জন্য শুক্রবার সকালে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে আসেন রফিকুল ও টুটুল। তারা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় সেখানে একটি প্রাইভেটকার আসে। প্রাইভেটকারের চালক রফিকুল ও টুটুলকে জিজ্ঞাসা করেন, তারা কোথায় যাবেন? রফিকুল ও টুটুল গন্তব্য জানিয়ে ভাড়া ঠিক করে প্রাইভেটকারে ওঠেন। প্রাইভেটকারে চালকসহ চার জন ছিলেন। প্রাইভেটকারটি বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হয়। জিরানী এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীবেশে থাকা তিন জন  রফিকুল ও টুটুলের হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে ফেলেন। পরে তাদের কাছে থাকা টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন এবং স্বজনদের কাছে ফোন করে আরো মুক্তিপণ দাবি করেন। অপহরণকারীরা রফিকুল ও টুটুলকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তাদের ধামরাইয়ের চাওনা এলাকায় নামিয়ে দেন। তখন রফিকুল ও টুটুলের চিৎকার শুনে পথচারীরা এসে প্রাইভেটকারসহ চার জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনিরুল ইসলাম বলেছেন, চাওনায় চার অপহরণকারীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন পথচারীরা। একটি প্রাইভেটাকারে যাত্রীবেশে থাকা তিন জন ও চালক দুই ব্যক্তিকে প্রাইভেকারে করে বগুড়ায় নেওয়ার কথা বলে অপহরণ করেছিল। অপহৃত দুই ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার সময় চিৎকার করলে স্থানীয়রা অপহরণকারীদেরকে আটক করেন। তাদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ঢাকা/সাব্বির/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণক র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ঠিকাদারকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রামে ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএমে শ্রমিক সরবরাহকারী এক ঠিকাদারকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-মো. রাশেদুল ইসলাম (৪২), মো. সালাহউদ্দিন (৪০) ও মো. কামরুদ্দিন (৩৭)। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে সীতাকুণ্ড থানা বিএনপির নেতাদের দাবি, তারা বিএনপির কেউ নয়। 

পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে আকবরশাহ থানার সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএমের কারখানা থেকে চা খেতে বের হন ঠিকাদার পবিত্র চন্দ্র বর্মণ। আগে থেকে উৎপেতে থাকা আসামিরা তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে হালিশহর সাগরপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসায় আটকে রেখে তার কাছ থেকে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস ব্যবহার করে ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া জোরপূর্বক খালি স্ট্যাম্প ও চেকে স্বাক্ষর নেয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার তিনি থানায় এসে অভিযোগ করেন। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন পবিত্র চন্দ্র বর্মণ। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেছেন, আসামিরা তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বিএসআরএমে শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতে পারবেন না বলে হুমকি দেন। তিনি রাজি না হলে তাকে অপহরণ করে টাকা আদায় করা হয়।

জানতে চাইলে আকবরশাহ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি রিমান্ডের পরবর্তীতে শুনানির জন্য অপেক্ষমান রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’ 

সীতাকুণ্ড থানা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলা হচ্ছে- এই নামে কাউকে আমি চিনি না। তারা বিএনপির কেউ নয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় শিশু অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
  • সিলেটে প্রতিবন্ধী তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩ গাড়িচালক
  • চট্টগ্রামে ঠিকাদারকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ৩