ক্ষয়ক্ষতি লড়াইয়ের অংশ: ভারতের বিমানবাহিনী
Published: 12th, May 2025 GMT
পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে ভারতের বিমানবাহিনী বলেছে, ‘ক্ষয়ক্ষতি লড়াইয়ের অংশ’। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেনি। একই সঙ্গে ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ভারতের সব বৈমানিক ঘরে ফিরেছেন।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের বিমানবাহিনীর একজন মুখপাত্র প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে (৭ মে) পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
পাকিস্তান দাবি করে, তাঁরা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল। বুধবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে একই দাবি করেন। কিন্তু নিজেদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি ইসলামাবাদ। অন্যদিকে রোববারের আগপর্যন্ত নিজেদের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া নিয়ে ভারতও কোনো মন্তব্য করেনি।
বুধবার ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের চারটি সরকারি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, অঞ্চলটিতে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তারা এই কথা জানানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই ভারত জানিয়েছিল, তারা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের নয়টি ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ নিশানা করে হামলা চালিয়েছে।
ভারত জানিয়েছিল, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের হামলার মেয়াদ ছিল ২৫ মিনিট। স্থানীয় সময় ১টা ৫ মিনিটে হামলা শুরু হয়, শেষ হয় ১টা ৩০ মিনিটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত অল্প সময়ে একাধিক যুদ্ধবিমান হারানো ভারতের জন্য বিশাল ক্ষতি।
বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। এই দুই বিমানের অন্তত একটি রাফাল। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা বলেছেন। এ ঘটনা চীনের তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনচীনা যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান০৯ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আবুল কালাম (৫০) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খুনের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ৩০ মিনিট পর অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তার ফেসবুক আইডিতে। ভিডিওটি পোস্ট দিয়ে ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘আউট’। ফেসবুকে তার দেওয়া এই পোস্ট হত্যাকাণ্ডকে ইঙ্গিত করেই দেওয়া বলে অভিযোগ করেছে নিহত কালামের পরিবার।
আরো পড়ুন:
আ.লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’: গোপালগঞ্জে আরেক মামলা, আসামি ২৫২
কানের দুল ছিনিয়ে নিতে শিশুকে হত্যা, আটক ২
আবুল কালাম উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযুক্ত কাউছার মানিক বাদল স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।
গত বছরের ৭ আগস্ট বিভিন্ন অভিযোগে কাউছারকে বহিষ্কার করে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল। পরে ৩ নভেম্বর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাউছারের সঙ্গে আবুল কালামের বিরোধ চলে আসছিল।
কাউছার ভিডিওটি পোস্ট করেন তার কে এম বাদল নামের ফেসবুক আইডি থেকে। ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রামের কয়েকজন ক্রিকেট খেলছেন। এর মধ্যে একজন রানআউট হয়েছেন। তবে, ভিডিওতে কাউছারকে দেখা যায়নি।
খুনের ঘটনার পরপরই কাউছার এ ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেন নিহত কালামের স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তার। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে খুন হওয়ার পর কাউছারের পোস্ট করা ভিডিওটি কাকতালীয় নয়। এটি হত্যার ঘটনাকে ইঙ্গিত করেই করা হয়েছে।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউসার মানিক বাদল বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি লতিফপুর বাজারে ছিলাম। যা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। কালাম ভাই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার সঙ্গেই বাজারে ছিলেন। এ ঘটনায় আমি কোনোভাবে জড়িত নই।’’
নিজ দলের একজন নেতার মৃত্যুর পর ফেসবুকে ‘আউট’ লিখে ভিডিও দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কাউছার বলেন, ‘‘বাড়ির সামনে ক্রিকেট খেলেছিলাম, সেই ভিডিও দিয়ে আউট লিখেছি।’’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. ফয়েজুল আজীম বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে কাউছার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ‘আউট’ লেখা ভিডিওটি পুলিশের নজরে এসেছে। তবে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।’’
ঢাকা/লিটন/রাজীব