তিন দফা দাবিতে ঢাবি মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
Published: 13th, May 2025 GMT
তিন দফা দাবিতে রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। সোমবার দুপুরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে তাঁদের দাবিসহ একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—২০১৫ সালে সৃজিত ৬৩৭টি স্থায়ী পদের অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন করা, নিয়োগ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করানো হচ্ছে। প্রতিবছর এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছেন। অথচ এই বিশালসংখ্যক ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ দেশে নেই।
ইমরান হোসেন আরও বলেন, বিশেষায়িত ডিগ্রি অর্জনের পরও অধিকাংশ ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা নিজ খাতে চাকরি না পেয়ে বাধ্য হচ্ছেন অন্যান্য সেক্টরের দশম থেকে ১৬তম গ্রেডের চাকরিতে যোগ দিতে। ২০১৫ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত ৩৯৫টি ‘মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ পদসহ ৬৩৭টি স্থায়ী পদের অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়িত না হওয়ায় এমনটা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামুইরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি ও ইউএনওর অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় ধামুইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মঙ্গলকোঠা এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীকে মারধর করেন।
গৃহবধূ সামিরন খাতুন বলেন, ‘পৌরসভার লোকজন গাড়িতে করে আমাদের এলাকায় ময়লা ফেলতে এলে এলাকার সবাই মিলে বাধা দিই। বসতবাড়ির আশপাশে ময়লা ফেললে সমস্যা হবে বলে ইউএনওকে ময়লা না ফেলতে এলাকাবাসী অনুরোধ করেন। কিন্তু ইউএনও আমাদের কথা না শুনে আমাকেসহ মিতুকে (অন্তঃসত্ত্বা নারী) নিজেই লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমরা ইউএনওর অপসারণসহ তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ইউএনও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে তুলেছে সবার সামনে। একজন ইউএনওর আচরণ এমন হলে আমরা বিচার কার কাছে পাব?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একটি খাস জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি ওই এলাকায় গেলে এলাকার কিছু লোক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেখানে কয়েকজন অবৈধ দখলদার নারী-পুরুষ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আনসারদের গায়ে হাত তোলেন। নারীদের মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সেখানে কারও গায়ে হাত তোলা হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, আজ মানববন্ধন করে কিছু লোক ইউএনওর বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।