তিন দফা দাবিতে রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। সোমবার দুপুরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে তাঁদের দাবিসহ একটি স্মারকলিপি জমা দেন।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—২০১৫ সালে সৃজিত ৬৩৭টি স্থায়ী পদের অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন করা, নিয়োগ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করানো হচ্ছে। প্রতিবছর এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছেন। অথচ এই বিশালসংখ্যক ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ দেশে নেই।

ইমরান হোসেন আরও বলেন, বিশেষায়িত ডিগ্রি অর্জনের পরও অধিকাংশ ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা নিজ খাতে চাকরি না পেয়ে বাধ্য হচ্ছেন অন্যান্য সেক্টরের দশম থেকে ১৬তম গ্রেডের চাকরিতে যোগ দিতে। ২০১৫ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত ৩৯৫টি ‘মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ পদসহ ৬৩৭টি স্থায়ী পদের অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়িত না হওয়ায় এমনটা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

দোষ ঢাকতে ছাত্রলীগ কর্মী দিয়ে মানববন্ধনের ঘোষণা জবি আইইআর পরিচালকের

র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহান নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাদের সহযোগিতায় মানববন্ধন আয়োজন করেছেন।

সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে ইনস্টিটিউটের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে একটি মানববন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে র‍্যাগিং সংক্রান্ত সংবাদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করা হয়। 

মানববন্ধনটি মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে (ভাস্কর্য চত্বর) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই পোস্ট ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

আরো পড়ুন:

সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে গৃহবধূকে নির্যাতনের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

জানা যায়, মানববন্ধনের ডাক যিনি দিয়েছেন, তিনি আইইআরের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং তার ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহকারী পরিচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ইনস্টিটিউটের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন এবং র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। 

গত ৩০ জুলাই আইইআরে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অমানবিক নির্যাতন চালান। এতে এক শিক্ষার্থী প্যানিক অ্যাটাকে জ্ঞান হারান এবং প্রায় সব নবীন শিক্ষার্থী নির্যাতনে শিকার হন। অভিযুক্তদের সংখ্যা প্রায় ১৭ জন।

তবে, অভিযোগ রয়েছে—ঘটনাটি যথাযথ তদন্ত ও বিচার না করে পরিচালক মনিরা জাহান ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে বিব্রত করেছেন এবং উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও বিদ্রুপ করতে উৎসাহিত করেছেন।

আইইআরয়ের র‍্যাগিং কাণ্ডে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়পরায়ণ বিচার দাবিতে সংশ্লিষ্ট মহলের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্ত জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়ার চর সাদিপুরকে পাবনায় যুক্ত করার উদ্যোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন, দুর্বৃত্তদের হামলা
  • চট্টগ্রামে চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন
  • সাদা পাথর রক্ষায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি
  • তুহিন হত্যার প্রতিবাদে নাঃগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের মানববন্ধন
  • প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগের দাবিতে মানববন্ধন
  • দোষ ঢাকতে ছাত্রলীগ কর্মী দিয়ে মানববন্ধনের ঘোষণা জবি আইইআর পরিচালকের
  • জাজিরায় ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার দাবি, অন্যথায় পদ্মা সেতু ব্লকেডের ঘোষণা
  • সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের মানববন্ধন
  • পাথর লুট বন্ধ করে সাদাপাথর রক্ষার দাবিতে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন
  • ইসলামী ছাত্রী সংস্থার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার অভিযোগ জবি ছাত্রদলের