নতুন নিয়ম আটকাতে পারল না হেলি বেরিকে, রেড কার্পেটে জ্বলে উঠালেন ভিন্নভাবে
Published: 15th, May 2025 GMT
এবারের কানে চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় ‘Mission: Impossible — The Final Reckoning’-এর প্রিমিয়ারে অভিনেত্রী হ্যালি বেরি নতুন নিয়মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নজর কাড়লেন অনন্য এক স্টাইলে। শুরু থেকেই উৎসব কর্তৃপক্ষ এবার বেশ কিছু কড়াকড়ি নিয়ম চালু করেছে। যেমন অতিরিক্ত লম্বা ট্রেনযুক্ত গাউন বা অতিরিক্ত খোলামেলা পোশাক নিষিদ্ধ। ফলে বেরিকে শেষ মুহূর্তে তার পোশাক পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে।
এই নতুন পরিস্থিতিতে বেরি বেছে নেন ডিজাইনার Celia Kritharioti-এর তৈরি একটি কাঠামোগত হাই-লো কাটের গাউন। এর উপরের অংশ ছিল কালো রঙের, স্ট্র্যাপলেস ও সুগঠিত, আর নিচের অংশে ছিল একটি পিঙ্ক জিঞ্জার প্রিন্টের ভলিউমিনাস স্কার্ট, যা ছিল গোড়ালির খানিক ওপর পর্যন্ত।
জুতোগুলি ছিল কালো রঙের, পয়েন্টেড টো এবং উঁচু স্টিলেটো হিলে তৈরি। বিশেষ আকর্ষণ ছিল তার মুক্তার মতো চকচকে ডিজাইনের অ্যাঙ্কল স্ট্র্যাপ, যা তার লুকের মাঝে এনে দিয়েছে চমকপ্রদ ছোঁয়া। সাধারণত কান উৎসবের লম্বা গাউনের নিচে জুতো লুকিয়ে থাকে, কিন্তু বেরি এবার ব্যতিক্রমীভাবে জুতোকেই দারুণভাবে প্রদর্শন করলেন।
ছিল পরিমিত গহনা। শুধু একটি ঝলমলে ওপাল রঙের স্টেটমেন্ট নেকলেস। মেকআপ ছিল উষ্ণ টোনে। ব্রোঞ্জ আইশ্যাডো, সফট ম্যাট লিপস্টিক এবং হালকা কনট্যুরড গাল। চুল ছিল হালকা কোঁকড়ানো প্লে-ফুল বব কাটে, যা পুরো লুককে করে তোলে আরও তরতাজা ও আধুনিক।
গত ১৩ মে দক্ষিণ ফ্রান্সের কান শহরের পালে দে ফেস্টিভ্যালে শুরু হয়েছে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। এই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক লালগালিচা পর্ব। এই পর্বে বিশ্বের খ্যাতিনামা অভিনেত্রী, গায়িকা ও মডেলরা বাহারি পোশাকে হাঁটেন। এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ২২টি চলচ্চিত্র। এছাড়া ‘আঁ সার্তে রিগা’, ‘আউট অব কম্পিটিশন’, ‘মিডনাইট স্ক্রিনিংস’, ‘কান প্রিমিয়ার’ এবং ‘স্পেশাল স্ক্রিনিংস’-প্রতিটি বিভাগেই দেখা যাবে নানা ঘরানার, নানা দেশের চলচ্চিত্র।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে শুক নদীর অভয়াশ্রমে মাছ ধরা উৎসব
ঠাকুরগাঁও শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে বুড়ি বাঁধ অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরা উৎসবে মেতেছে হাজারো সৌখিন মাছ শিকারী। অনেকে শুধু দেখতে ও মাছ কিনতে গিয়েছেন সেখানে।
শুক নদীর তীরে সদর উপজেলার চিলারং ও আকচা ইউনিয়নের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত বুড়ি বাঁধটি। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে বাঁধের গেট খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই শুরু হয় মাছ ধরা উৎসব।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সারাদিন জাল, পলো আর মাছ রাখার পাত্র খলই নিয়ে আগের রাত থেকেই বাঁধ এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন শত শত মানুষ। কেউ ভেলায়, কেউ ছোট নৌকায় করে মাছ ধরছেন। এ যেন এক প্রতিযোগিতা। আর বাঁধে দাঁড়িয়ে তাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনরা।
মাছ ধরার জন্য আশপাশের কয়েক গ্রামের ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ যেন ভেঙে পড়েছে নদীর তীরে। কেবল পুরুষই নয়, নারী-শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও নেমে পড়েছেন মাছ ধরতে। কারো হাতে খেওয়া জাল, কারো হাতে লাফি জাল, কারো হাতে পলো। অনেকেই কোনো সরঞ্জাম ছাড়া খালি হাতেই নেমে পড়েছেন মাছ ধরতে।
মাছ ধরা উৎসবকে ঘিরে বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে খাবারের হোটেল, ফলের দোকান, খেলনা ও প্রসাধনীর দোকান। বাইরে থেকে আসা মানুষের মোটরসাইকেল ও সাইকেল রাখার জন্য তৈরি হয়েছে অস্থায়ী গ্যারেজও।
মাছ ধরতে আসা সকলেরই অভিযোগ, তারা মাছ পাচ্ছেন না। রাত থেকে জাল ফেলেও কাঙ্খিত মাছ মিলছে না। দেশীয় প্রজাতির মাছ এক প্রকার বিলুপ্তির পথে। গত কয়েক বছর আগেও এই বাঁধে প্রচুর দেশীয় মাছ ধরা পড়তো কিন্তু এখন মাছ নেই। কারেন্ট জাল, রিং জালসহ বিভিন্ন কারণে দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে মনে করেন মাছ ধরতে আসা অনেকে।
অপরদিকে শহর থেকে দেশীয় মাছ কিনতে যাওয়া ক্রেতারা অভিযোগ করেন মাছের দাম অনেক বেশি। দেশীয় মাছ তেমন পাওয়া যায় না এখানে। যা পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম অনেক। পুঁটি মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই অনেক ক্রেতাই মাছ কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১৯৫১-৫২ সালের দিকে খড়া মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম যাকারিয়া জানান, ১৯৫১-৫২ সালের দিকে বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধটির সামনে একটি অভয়াশ্রম আছে। প্রতি বছর বাঁধটি ছেড়ে দেওয়ার পরে মাছ ধরার জন্য এখানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। আমরা মনে করছি এটার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।
ঢাকা/হিমেল/এস