আমন্ত্রণপত্রে শুধু নির্মাতা তানিম নূরের নাম; ১৩ মে সন্ধ্যায় আমন্ত্রিতরা যখন সংবাদ সম্মেলনে এসে হাজির হলেন, তখনো তাঁরা জানেন না সিনেমাটার কী নাম, কারা আছেন। হঠাৎ একে একে কক্ষে এসে ঢুকলেন তারকারা, সবারই মুখে মুখোশ! একটু পর মঞ্চে ডাক, মুখোশ খোলেন তাঁরা। অচিরেই সংবাদ সম্মেলন হয়ে উঠল তারকাদের মিলনমেলা। একসঙ্গে এত তারকা! তরুণ নির্মাতা তানিম নূর ঘোষণা করলেন তাঁর সিনেমার নাম, ‘উৎসব’।
একসঙ্গে হাজির দেশের প্রথম সারির অভিনয়শিল্পীরা—জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, আজাদ আবুল কালাম, অপি করিম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সাদিয়া আয়মান। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন না, তবে নির্মাতা নিশ্চিত করেছেন, সিনেমায় আছেন জয়া আহসান, তারিক আনাম খান, সৌম্য জ্যোতি। গল্প লিখেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও সামিউল ভূঁইয়া। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন রাশেদ জামান।

শুরুতেই মঞ্চে আসেন সিনেমার পরিচালক এবং দুই প্রযোজক। তাঁদের উপস্থিতিতে প্রদর্শন করা হয় সিনেমার নাম; নামের নিচে বড় বড় করে লেখা, ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ।’ নির্মাতা জানান, এই সতর্কবার্তা নিছক চমক নয়; বরং সিনেমার মূল বার্তা। ‘উৎসব’ যেন এক আধুনিক চিঠি, পাঠানো হয়েছে নব্বইয়ের দশকের সোনালি সময় থেকে। যেখানে পরিবারের সবাই মিলে বসে নাটক বা সিনেমা দেখার রেওয়াজ ছিল। সেই চিত্রই আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। ঈদের ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সেই অভ্যাসকে স্মরণ করাতেই এ উদ্যোগ।

‘উৎসব’ সিনেমার শিল্পীরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজার পক্ষে সরব ব্যান্ডটি যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হলো

বেলফাস্টের বিভক্ত ইতিহাস, শোষণ আর সংগ্রামের মাটি থেকে উঠে এসেছেন তিন তরুণ—মো চারা, মোগলাই ব্যাপ আর ডিজে প্রোভাই। একসঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছেন আইরিশ হিপহপ ব্যান্ড নিক্যাপ। তাঁদের গান র‍্যাপ বিনোদন নয়, ইতিহাসের বিরুদ্ধে ছুড়ে দেওয়া প্রতিবাদ। গাজার আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও শুরু থেকেই স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। এই প্রতিবাদই তাঁদের যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের রোষানলে ফেলেছে। যুক্তরাজ্য সরকার তাঁদের একটি শিল্প অনুদান বাতিল করে। শুধু তা–ই নয়, ব্যান্ডের এক সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় সন্ত্রাসবাদের মামলা। যুক্তরাষ্ট্রেও পারফরম্যান্সের সময় ইসরায়েলের নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাঁদের ভিসা বাতিলের হুমকি আসে। কিন্তু নিক্যাপ এসব পাত্তা না দিয়ে তাদের প্রতিবাদ জারি রেখেছে।
ব্যান্ডটি সম্প্রতি আবার আলোচনায় এসেছে বিশ্বের অন্যতম বড় পারফর্মিং আর্টস উৎসব ‘গ্লাস্টনবারি’কে কেন্দ্র করে। উৎসবে তাদের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। নিক্যাপ উৎসবে অংশগ্রহণের ‘উপযুক্ত নয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি ছাড়াও বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচসহ আরও কয়েকজন রাজনীতিক ব্যান্ডটিকে অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে আয়োজকেরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। উৎসবের সহ-আয়োজক এমিলি ইভিস বিবিসিকে বলেন, ‘দর্শকদের জন্য দারুণ এক উৎসব আয়োজনের চেষ্টা করছি আমরা। এখানে সারা বিশ্বের শিল্পীরা অংশ নেন আর সবাইকে আমরা স্বাগত জানাই।’ এদিকে স্টারমারের কথার জবাবে ব্যান্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছে, ‘আসলে কী “উপযুক্ত নয়” জানেন কিয়ার? গণহত্যায় অস্ত্র পাঠানো।’

পশ্চিম বেলফাস্টের বিভক্ত ইতিহাস, শোষণ আর সংগ্রামের মাটি থেকে উঠে এসেছেন তিন তরুণ—মো চারা, মোগলাই ব্যাপ আর ডিজে প্রোভাই

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তোমার শেষ চিঠি
  • ‘বেহুলার লাচারি’–শিল্পীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • ‘আনটাং’ যাচ্ছে আফ্রিকায়
  • বিয়ের শর্তে জামিন: মামলা ও দাম্পত্য একসঙ্গে চলে না
  • ইতিবাচক লেখনিতে ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার: ডিবিএ সভাপতি
  • তবে কি এ আর রাহমান-জে হোপকে একসঙ্গে দেখা যাবে
  • বিটিএসের জে-হোপ আর রাহমান কি একসঙ্গে কাজ করবেন
  • সিডনিতে ‘উৎসব’–এ মেতেছেন প্রবাসীরা
  • আলকারাজের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, রাদুকানু কী বললেন
  • গাজার পক্ষে সরব ব্যান্ডটি যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হলো