জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এবি পার্টি তাদের সম্পূরক সংস্কার প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে সংসদ ভবন সংলগ্ন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আলী রীয়াজের কাছে এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সাংবাদিক মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “জাতীয় ঐকমত‍্য তৈরির স্বার্থে প্রথম থেকেই এবি পার্টি নমনীয়তার নীতি গ্রহণ করেছে। যেসব বিষয়ে দলীয়ভাবে আমাদের ভিন্নমত ছিল তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলাপের পর জাতীয় স্বার্থে আমরা একমত হয়েছি।এ পর্যন্ত বেশ সময় পার হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অনেক বৈঠক ও আলাপ আলোচনা হয়েছে।কিন্তু এখনো জাতীয় ঐকমত‍্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।”

তিনি বলেন, “দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নির্বাচন পদ্ধতি, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এবি পার্টির ভিন্নমত ছিল। কিন্তু অন্য সব দলের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় ঐকমত‍্য সৃষ্টির সুবিধার্থে আমরা সেসব বিষয়ে একমত পোষণ করি।”

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব‍্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বিভিন্ন কালার কোড ব‍্যবহার করে বিভিন্ন বিষয়ে একমত, ভিন্নমত ও আংশিকভাবে একমত হওয়ার বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে ব‍্যাখ‍্যা করেন।

এবি পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাব উপস্থাপনের সময় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা.

মেজর আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা জাহাঙ্গীর কাসেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব‍্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, আলতাফ হোসেইন, নারী বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, সহ-অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সহ-প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ ও আজাদুল ইসলাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াতের সঙ্গে জোট ও পিআরে একমত নুর

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে সারাদেশে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩৫৪ জন, যার মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ২৬৯ জন এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারী ৮৫ জন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০৬ জন, যার মধ্যে শিশু-কিশোরী ৬২ জন। বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮১৯ নারী ও ৭৩৬ শিশু ও কিশোরী।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তৈরি করে। 

বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু জানান, কেবল জুনে ১১৬ নারী ও ৮৭ জন কন্যাসহ ২০৩ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার ৬৫ জনের মধ্যে কন্যাশিশু ৪৩ জন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ৮ জন, এদের মধ্যে ৫ জন কন্যা। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে, যার মধ্যে ২ জন কন্যা। ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ৭ কন্যাশিশু।

উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৫ জন নারী ও কন্যা; যার মধ্যে ২ জন আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়া ১৩ জন কন্যাসহ ৬৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং ২ জন কন্যাসহ ১১ জনের মৃত্যু রহস্যজনকভাবে ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ৩ নারী, যাদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। এসিডদগ্ধ হয়েছেন ১ জন নারী। ৩ জন নারী অগ্নিদগ্ধ (যার মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে), যৌতুক নির্যাতনের শিকার ১ নারী এবং পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬ জন। আত্মহত্যা করেছেন ৬ কন্যাসহ ২২ জন। অপহরণ হয়েছে ২ কন্যা, সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ১ জন এবং বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে দুটি।

সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে নির্যাতনের শিকার ১ হাজার ৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৭ জনকে। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৪ কিশোরী। এদের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১২৭ জনকে। যৌন নিপীড়নের শিকার ৫১ জন। ৩১ জনকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন। ২১ নারী ও কন্যাশিশু পাচার হয়েছেন। একজন এসিড সন্ত্রাসের শিকার। ৬১ কন্যাসহ হত্যার শিকার হয়েছে ৩২০ নারী ও কন্যাশিশু। 

সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম সমকালকে বলেন, এ পরিসংখ্যান শুধু পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে। বাস্তবে সংখ্যাটা আরও বেশি। বিশেষ করে কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা ও দলবদ্ধ ধর্ষণের সংখ্যা উদ্বেগজনক। এটি সমাজের জন্য অ্যালার্মিং।

তিনি বলেন, ছয় মাসে হাজারের বেশি নারী-কন্যা নির্যাতনের শিকার হলেও মহিলা মন্ত্রণালয় বা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আছিয়া ধর্ষণ মামলায় তড়িঘড়ি করে বিচার হয়েছে, কিন্তু ভালো তদন্ত না হওয়ায় পরিবার সন্তুষ্ট নয়। এ ধরনের বিচারে দ্রুততা নয়, নির্ভুলতা জরুরি। তিনি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারে একমত, গঠন প্রক্রিয়ায় ভিন্নমত
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারে একমত, রূপরেখা নিয়ে মতভিন্নতা
  • লন্ডন বৈঠকের পর সংস্কার প্রস্তাব বিএনপিকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে: চরমোনাই পীর
  • সংস্কারে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
  • সংস্কারের কত প্রস্তাবে বিএনপি একমত, জানালেন সালাহউদ্দিন
  • নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্ববধায়কের বিষয়ে একমত জামায়াত
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে সব দল একমত: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
  • জামায়াতের সঙ্গে জোট ও পিআরে একমত নুর
  • সাবেক ‘শত্রু’ ক্লপের সঙ্গে একমত গার্দিওলা, তবে...
  • অপরাধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাসম্ভব দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা